স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। এ জয়ে আসরটির শেষ ষোলো পর্বে পৌঁছে গেল সান্তোসের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
সোমবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। তবে প্রথমার্ধ একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও পর্তুগাল কোনো গোল করতে পারেনি। কিন্তু বিরতির পর জ্বলে উঠে দলকে দারুণ জয় এনে দেন ব্রুনো।
এদিন খেলার শুরু থেকে বল পজিশন ও আক্রমণে পর্তুগালের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে উল্টো ধারার বিপরীতে ৩২তম মিনিটে এক প্রতি-আক্রমণ চালায় উরুগুয়ে। ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো বেন্তানকুর। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই মিডফিল্ডার।
কিন্তু প্রথমার্ধের বাকি সময় কোনো দলই আর সেভাবে লড়াই করতে পারেনি।
বিরতির পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় পর্তুগাল। ফলাফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৫৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ব্রুনোর দারুণ এক উড়িয়ে মারা ক্রসে বল কিছুটা বাঁক খেয়ে সরাসরি লক্ষ্যভেদ হয়। যদিও বল হাওয়ায় থাকা অবস্থায় হেড করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন রোনালদো। তার হেডেই গোল হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। প্রথমে ফিফা গোলদাতা হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়কের নামই ঘোষণা করে। তবে পরে সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে গোলদাতা ফার্নান্দেজকে করা হয়।
৭২তম মিনিটে এডিনসন কাভানি ও দারউইন নুনেসকে তুলে উরুগুয়ে কোচ মাঠে নামান লুইস সুয়ারেজ ও গোমেসকে। ৩ মিনিট পরেই গোল পেতে পারতেন গোমেস। কিন্তু তার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পোস্টে বাধা পায়।
এ সময় আক্রমণ বাড়ে দলটির। খানিক পর আরেক বদলি সুয়ারেসও ভীতি ছড়ান, কিন্তু তার কাছ থেকে নেওয়া শট পাশের জাল কাঁপায়। তাদের একটি শট পোস্টেও বাধা পায়। ফলে সমতায় ফেরা হয়নি।
কিন্তু লড়াইয়ে কি ফিরবে, উল্টো নির্ধারিত সময়ের যোগ করা তৃতীয় মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে উরুগুয়ে। রোনালদোকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ায় পেনাল্টি থেকে গোল করে পর্তুগালের ব্যবধান বাড়ান ব্রুনো। তিন মিনিট আগে উরুগুয়ের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার হোসে হিমেনেসের হ্যান্ড বলের জালে ধরা পড়েন। পর্তুগাল ফুটবলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
শেষ অবধি ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট অর্জন করে তৃতীয় দল হিসেবে নকআউটে গেল পর্তুগাল। তলানিতে থাকা উরুগুয়ের অবশ্য আশা শেষ হয়ে যায়নি। ২ ম্যাচে তাদের ১ পয়েন্ট।