অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিমের দেশগুলোতে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ এবং ছিনতাই এখানকার জনসাধারণ প্রায় তাদের প্রতিদিনকার অনুশীলনের একটি অঙ্গ হিসাবে ধরে নিয়েছে। তেমনিএকটি
বেলজিয়াম-জার্মান সীমান্তের লাগোয়া ডিজন পৌরসভার একটি দোকানে (লাইব্রেরি তাজ) ডাকাতির ঘটনা। দোকানটির স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশ সিলেট হবিগঞ্জের চয়ন রায়। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এঘটনা ঘটে।
শীতের বিকেলে বাইরে অন্ধকার থাকায় হঠাৎ দোকানে মাঝারি চেহারার ট্র্যাকস্যুটপরা দু’টি লোক প্রবেশ করেন। দু’জনেরই মাথা-মুখ ঢাকা ছিল। তবে বুঝাতে পারা যায়- একজন কৃষ্ণাঙ্গ, অন্যজন আরবীয়। চয়ন রায় ক্যাশ বাক্সের সামনেই দাঁড়িয়ে স্মার্টফোন দেখছিলেন, এমন সময় হঠাৎ আরবী যুবকটি একটি ছুরি নিয়ে চয়নকে জাপটে গলার উপর ছুরিটি ধরে বলে- সিন্দুক কোথায়? চয়নের উত্তর- আমার কোন সিন্দুক নেই। সম্ভাব্য সিন্দুকের আশায় গলায় ছুরিটি ধরে জাপটে চয়নকে টানতে টানতে দোকানের পেছনের ঘরে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। ক্যাশ বাক্সর চাবিটি লাগানোই ছিল। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি ক্যাশবাক্স খুলে নিয়ে একটি সাদা কাপড়ের ব্যাগে ক্যাশের সব টাকা ঢুকিয়ে নেয়। এরই মাঝে প্রচণ্ড ধস্তাধস্তির মধ্যে চয়ন আরবী যুবকটির কাছ থেকে ছুরিটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন। ছুরিটি চয়নের হাতে আসার পরই দুই ডাকাত দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চয়ন ছুরি নিয়ে ওদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তিতে দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী মেঝেতে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ডাকাতদের একজন চয়নের ছুরির আঘাত নিয়ে অন্য জনের সহযোগিতায় পালিয়ে যেতে সামর্থ হয়। দোকানের ক্লোজ সার্কিট টিভি ঘটনার প্রতিটি অনুক্রম তখনও রেকর্ড করে যাচ্ছিল।
পুলিশ এবং ফরেনসিক বিভাগের লোকজন এসে সবধরনের আলামত নিয়ে যান। পুলিশের ভাষ্যমতে, তদন্ত করে খুব তাড়াতাড়ি ডাকাতদের বের করতে সক্ষম হবে।
এদিকে ডিজন শহরের মেয়র ম্যাডাম – ভেরনিক বনি এবং CPAS এর প্রেসিডেন্ট মি: রেজিস এঘটনায় চয়ন রায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন ডাকাত দলদের ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।