অনলাইন ডেস্ক : পূর্ব আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির সরকার শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বলে এএফপি এক প্রতিবেদনে বলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) সীমান্তবর্তী ভুগিজো শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিও রয়েছে।

রেড-তাবারা বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ সদস্যকে হত্যা করেছে।

সরকার বলেছে, সন্ত্রাসীরা জঘন্য ও বর্বর কাজ করেছে। তারা বেসামরিকদের লক্ষ্য করেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী পাঁচজনসহ ১২ শিশু, দুজন গর্ভবতীসহ তিন নারী এবং বেসামরিকদের সাহায্য করতে আসা একজন পুলিশ সদস্যস্য পাঁচ পুরুষ নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া আরো ৯ জন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুরুন্ডির প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেড-তাবারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি বার্তায় বলেছে, ‘বুরুন্ডিতে অবস্থিত যোদ্ধারা…ভুগিজো সীমান্ত পোস্টে আক্রমণ করেছে’ এবং ‘৯ জন সামরিক এবং একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।’

এ ছাড়া দুটি সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, হামলাটি ‘একটি সামরিক অবস্থান’ লক্ষ্য করে হয়েছে।

একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা ২০ নিশ্চিত করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেছেন, ‘বেসামরিক ব্যক্তিরা ক্রসফায়ারে পড়ে নিহত হয়।

এএফপি অনুসারে, বুরুন্ডির অভ্যন্তরে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্রোহীদের দ্বিতীয় আক্রমণ এটি। বিদ্রোহীরা বুজুম্বুরা বিমানবন্দরসহ একাধিক জায়গায় আক্রমণ চালানোর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সক্রিয় ছিল না। ওই সময় থেকে ডিআর কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশে তাদের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর তারা বুরুন্ডির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি করে।

২০১১ সালে গঠিত, রেড-তারাবার ৫০০ থেকে ৮০০ যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হয় এবং ২০১৫ সাল থেকে বুরুন্ডিতে অধিকাংশ মারাত্মক হামলার পেছনে তারা দায়ী। গোষ্ঠীটি এক্সে এক বার্তায় বলেছে, ‘রেড-তাবারা আন্দোলন সারা দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।’