অনলাইন ডেস্ক : জন্মহার বাড়াতে অভিনব পদক্ষেপ নিচ্ছে জাপান। দেশটির সরকার বিয়েতে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে নবদম্পতিদের বেশি অর্থ দেওয়ার কথা ভাবছে। ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ নামের ওই প্রকল্পে নবদম্পতিদের নতুন জীবন শুরুর সময় বাসাভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ইয়েন বা ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সে দেশের সরকার। এই প্রকল্পে বিয়ের বয়সের সীমাও খানিকটা বাড়তে পারে।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার নতুন এ নিয়ম চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।
জাপান সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাতে কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, যেসব পৌরসভা ইতিমধ্যে ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে শুধু সেসব এলাকার বাসিন্দারাই এ অর্থ পাবেন। এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বয়সই ৪০-এর নিচে থাকতে হবে। আর দুজনের সম্মিলিত আয়ও কোনোভাবেই ৫৪ লাখ ইয়েনের বেশি হতে পারবে না।
‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামে’ এখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩৫-এর কম এবং সম্মিলিত আয় ৪৮ লাখ ডলারের নিচে হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ইয়েন পর্যন্ত সহযোগিতা মেলে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত জাপানের মাত্র ২৮১টি পৌরসভা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, যা দেশটির ছোট-বড় শহর ও গ্রাম মিলিয়ে থাকা পৌরসভার মাত্র ১৫ শতাংশ। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, নবদম্পতিদের সহযোগিতার অর্ধেক অর্থ বহন করে পৌরসভা; বাকিটা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অবিবাহিত থাকতে চাওয়া ও দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার কারণে জাপানে এমনিতেই শিশু জন্মহার অত্যন্ত কম। জন্মহার বাড়াতেই দেশটির সরকার এখন বিয়েতে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতা বাড়ানোর কথা ভাবছে।
জাপানে জন্মহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা বেশ কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশটিতে ২০১৫ সালে এক জরিপে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী অবিবাহিত পুরুষদের ২৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং অবিবাহিত নারীদের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই বিয়ে না করার জন্য অর্থের অভাবকে দায়ী করেছিলেন। জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ ওই জরিপটি করেছিল।