অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারীর নাম ফ্রাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার।

বিশ্বের খ্যাতনামা প্রসাধনী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইউজিন পল লুই স্কালিয়র। ইউজিনের নাতনি এ ফ্রাঙ্কোইস। পারিবারিক সূত্রে ব্যবসা সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তিনি এখন ল’ওরিয়াল প্রসাধনী সংস্থার মালিক।

অবসর সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিয়ানো বাজান তিনি। ধর্মের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বলে সেই সংক্রান্ত একাধিক বইও লিখে ফেলেছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বাদশ স্থানের অধিকারী হন ফ্রাঙ্কোইস বেটেনকোর্ট মেয়ার্স।

ফোর্বস সূত্রে জানা গেছে, ‘সম্পত্তির নিরিখে সারা বিশ্বে ধনীদের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে রয়েছেন ফ্রাঙ্কোইস। দশ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে ফ্রাঙ্কোইসের।’

শৈশব থেকে বাইবেল ধর্মগ্রন্থ মেনে চলেন ফ্রাঙ্কোইস। বাইবেল নিয়ে চর্চাও করেছেন প্রচুর। তাই বাইবেল নিয়ে দু’টি বই লিখেছেন তিনি।

বাইবেলের পাশাপাশি গ্রিক দেব-দেবী নিয়েও বই লিখেছেন ফ্রাঙ্কোইস। ব্যবসার কাজ নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবুও কাজের ফাঁকে সময় বের করেন।

পিয়ানো বাজাতে পছন্দ করেন ফ্রাঙ্কোইস। তাই কাজের ফাঁকে নিজের জন্য অবসর সময় পেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টাও পিয়ানো বাজিয়ে যেতে পারেন তিনি।

২০১৭ সালে মা মারা যান ফ্রাঙ্কোইসের। কানাঘুষা শোনা যায় যে, মায়ের সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল তার। দুই নারীর মধ্যে নাকি এক সময় এমন অশান্তি হয় যে, তাদের মধ্যে আইনি লড়াইও হয়েছিল।

মায়ের মৃত্যুর পর জোরকদমে ব্যবসার কাজে নেমে পড়েন ফ্রাঙ্কোইস। শোনা যায়, করোনার সময় ব্যবসার পতন হতে শুরু করে তাদের।

সমীক্ষায় জানা যায়, অতিমারির সময় প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবহার কম হয়েছিল বলেই প্রসাধনী সংস্থার ব্যবসার পতন হয়।

পরে অবশ্য তার প্রসাধনী সংস্থার ব্যবসা সঠিক ছন্দে ফিরে আসে। শেয়ার বাজারেও তার সংস্থার বাজারমূল্য ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়।

প্রসাধনী সংস্থা ছাড়াও অন্য একটি কোম্পানির প্রধান ফ্রাঙ্কোইস। স্বামী-সহ পুত্রকন্যাকেও সংস্থার উচ্চ পদে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তিনি।

গুজব আছে যে ইউজিনের সঙ্গে নাৎসিদের যোগাযোগ ছিল। তার প্রভাব নাকি ফ্রাঙ্কোইসের বিবাহিত সম্পর্কে পড়েছিল।

ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সম্পত্তির নিরিখে বিশ্বের ধনী নারীদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে নাম লিখিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কোইস।

সূত্র : এবিপি