স্পোর্টস ডেস্ক : পর্দা উঠেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টটি। আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) প্রথম দিন মাঠে নেমেছে স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। রাতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড।
এবারের আসরে মোট ১৬টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডে লড়াই করছে ৮টি দেশ। বাকি আটটি দেশ সরাসরি মূল পর্ব বা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। আর প্রথম রাউন্ডের দুটি গ্রুপের শীর্ষ চার দল মূল পর্বে আগে থেকেই থাকা দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে।
বিশ্বকাপের এই আসরে বেশ কয়েকজন তারকা অলরাউন্ডার অংশ নিচ্ছেন, যারা মুহূর্তেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও কাইরন পোলার্ড, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাদের দিকেই সবার নজর থাকবে। এছাড়া আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া ও পাকিস্তানের শোয়াইব মালিক নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে নিজ নিজ দেশকে দারুণ কিছু এনে দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
সাকিব আল হাসান: বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার গত এক যুগের অধিকাংশ সময় আইসিসির তিন ফরম্যাটেই শীর্ষস্থানে ছিলেন। বর্তমানে তিনি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের্ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন এবং ওয়ানডেতে শীর্ষে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১১টি উইকেট শিকারের পাশাপাশি রান করেছিলেন ৬০৬।
এছাড়া বিগত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোর পারফরম্যান্সও সাকিবের পক্ষে কথা বলছে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটিতে তিনি ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন। এতে ২৮.৩৫ গড়ে রান করেছেন ৫৬৭ এবং ৬.৬৫ ইকোনোমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ৩০টি। এই ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিও অন্যতম। তাই এবারের বিশ্বকাপে যে তার দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আন্দ্রে রাসেল: ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারকে বলা হয় টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। বিশ্বের প্রায় সব ফ্রাঞ্জাইজি টুর্নামেন্টে তিনি খেলে থাকেন। ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারের পাশাপাশি পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য তার সুনাম রয়েছে। মোটকথা, একাই একটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি। বিশেষ করে দলের জরুরি মুহূর্তে যখন অল্প বলে অধিক রানের প্রয়োজন হয়, তখন অধিকাংশ সময় তার ব্যাট হাসে। বিশ্বের যেকোনো টি-টোয়েন্টি একাদশে অধিনায়কের প্রথম পছন্দ তিনি থাকবেন, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
কাইরন পোলার্ড: তিনিও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের আরেক ফেরিওয়ালা। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার বিশ্বের প্রায় সব ফ্রাঞ্জাইজি টুর্নামেন্টে খেলে থাকেন। পাশাপাশি বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এই ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিও একজন। তার বিশেষ বৈশিষ্ট- ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারের পাশাপাশি পাওয়ার হিটিং এবং ম্যাচ বের করে নিয়ে আসার ক্ষমতা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার তার ব্যাটিং দক্ষতার কারণে সবসময়ই আলোচনায় থাকেন। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারেন। আবার দলের প্রয়োজনের জরুরি মুহূর্তে ব্যাক-থ্রু এনে দিতে পারেন।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা: শ্রীলঙ্কান এই অলরাউন্ডারকে স্বদেশি থিসারা পেরেরার যোগ্য উত্তরসূরিও বলা যায়। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি পাওয়ার হিটিং করতে পারেন।