অনলাইন ডেস্ক : কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। বিমানবন্দরে তাকে জানানো হয় লালগালিচা সংবর্ধনা।
আমির ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ বিমান বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আমিরের অবতরণের সময় ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
এরপরে আমিরকে অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পরে কাতারের আমির প্যারেড পরিদর্শন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরকে প্রেজেন্টেশন লাইনে অপেক্ষমাণদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমিরও তার প্রতিনিধিদের সাথে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ বিপু, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির।
বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করছেন।
আগামীকাল সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
পরবর্তী সময়ে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।
এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন।
সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।