Home কলাম বিবাহ: ক্যাঙারুর দেশে

বিবাহ: ক্যাঙারুর দেশে

ডঃ বাহারুল হক : স্বপন আমার কাকার ছেলে, কাকার জ্যেষ্ঠ পুত্র, বয়সে আমার দশ বছরের ছোট। আমি আমার আব্বার জ্যেষ্ঠ পুত্র। চিন্তা ভাবনা রুচিবোধের বিচারে আমরা দুই জ্যেষ্ঠ আছি খুব কাছা কাছি। বয়সের ব্যাবধান টুটে গেছে সেই কবে! আমরা দুই ভাই আমাদের জীবন নাও বয়ে যাচ্ছি একই কায়দায়। আমরা একজন আরেকজনের সাথে শেয়ার করি আমাদের জীবনের ভালো মন্দ সব কিছু। মনের দিক থেকে আমরা কাছাকাছি হলেও বসবাস আমাদের দুই জনের দুই মহাদেশে। আমি থাকি উত্তর আমেরিকার মস্ত বড় দেশ কানাডায় আর স্বপন থাকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের সব থেকে বড় দেশ অস্ট্রেলিয়ায়। আমরা দুই জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ফ্যাকাল্টির এবং ফজলুল হক হলের প্রাক্তন ছাত্র। পঠিত বিষয়ও প্রায় এক রকম। আমার ছিল প্রাণিবিদ্যা আর স্বপনের ছিল ফার্মেসি; দুটোই বায়োলজিভিত্তিক বিষয়। আমরা দুই জনই বিবাহিত এবং দুই জনের সন্তান সংখ্যা দুই- প্রত্যেকের একটা ছেলে একটা মেয়ে। তবে স্বপনের বিবাহটা অন্য রকম, আমার মত নয়। আমি ডিপার্টমেন্ট থেকে শুধু অনার্স মাস্টার্স দুটো সার্টিফিকেট নিয়ে চলে এসেছি কিন্তু স্বপন এ দুটো সার্টিফিকেটের অতিরিক্ত একজন জীবন সঙ্গীনীও নিয়ে এসেছে ডিপার্টমেন্ট থেকে। সে জীবন সঙ্গীনী আর কেউ নয় তার সুযোগ্যা সহপাঠিনী তামান্না। তামান্নাকে সে দেখেছে চিনেছে বুঝেছে, পরস্পর পরস্পরকে ভালোবেসে হেঁটেছে দীর্ঘ পথ দীর্ঘ দিন ধরে। তারপর বিবাহের মাধ্যমে থিতু হয়েছে। বিবাহের পর অপূর্ব এক ছন্দে দুই জনের পথ চলা চলছে। সেই পথ চলতে চলতে সময়ের দাবিতে জীবনে নানা রঙের তাল রাগ যোগ হয়েছে। কখনো রাগ দরবারি, কখনো রাগ ভৈরভী, আবার কখনো বা রাগ বাগেশ্রী। কিন্তু ছন্দ কখনো পরিবর্তিত হয়নি। শুরু থেকে দুই জনে এক মধুর ছন্দে পথ চলছে। ওরা দুই জনই আমার ছোট। আমি মুগ্ধ হয়ে তাদের দুই জনের পথ চলা দেখে যাচ্ছি। আজ যে সুন্দর দিন পার করছে কাল আরো সুন্দর একটা দিনের অপেক্ষায় তারা থাকছে। তাদের জীবনে চলছে প্রতিদিন নতুন নতুন আশার সদীপ্ত বন্দনা, জীবনের নতুন নতুন অর্থের ব্যাঞ্জনা।

আমাদের দুই জনেরই মেয়ে বিবাহিত এবং ওদের বিয়েও হয়েছে কাছাকাছি সময়ে। প্রথমে স্বপনের মেয়ের বিয়ে হলো এবং তার পর বিয়ে হলো আমার মেয়ের। দুই জনের কারো মেয়েই বাবার শহরে থাকে না। স্বপন থাকে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী শহর ক্যানবেরা, কিন্তু তার মেয়ে থাকে দূরে অন্য এক প্রদেশ ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্ণ শহরে। আমি থাকি কানাডার টরন্টো নগরীতে; অপরদিকে আমার মেয়ে থাকে দূরের অন্য এক প্রদেশ বৃটিশ কলাম্বিয়ার বৃহত্তম নগরী ভ্যানকুভারে। চাকুরিতেও আমার আর স্বপনের বোঝাপড়া এক রকম। চাকুরি কাল শেষ হওয়ার আগে আমি যেমন চাকুরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছি স্বপনও একই ভাবে আমার মত চাকুরির মেয়াদ থাকা সত্তে¡ও স্বেচ্ছায় তার চাকুরি থেকে অবসর নিয়েছে। বই পড়া যেমন আমার শখ তেমনি স্বপনেরও শখ বই পড়া। দুই জনেরই অবসর জীবন কাটছে শুধু বই পড়ে পড়ে। স্বপন একবার কানাডা এসেছিল, কিন্তু আমার কখনো অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার একটা বাসনা মনের মধ্যে ছিল। স¤প্রতি আমার সে ইছা পূরণ হয়েছে। জারিফের বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমার এবার অস্ট্রেলিয়া যাওয়া।

শুরু থেকে বলি। স্বপন তার বিবাহযোগ্য ছেলে জারিফের বিবাহের কথা ভাবছে, আমিও আমার ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজে যাচ্ছি। ২০২২ সনের জানুয়ারি মাস। টরন্টোতে তীব্র ঠান্ডায় আমরা কাঁপছি। ঠিক সে সময় অস্ট্রেলিয়া থেকে আসলো অতি গরম খবর। স্বপন ফোন করলো ক্যানবেরা থেকে। হৃষ্ট চিত্তে উদাত্ত কন্ঠে বললো- দাদা ভাইয়া, জারিফের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমি এরকম একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ দিন থেকে। তাই গালভরা হাসি দিয়ে বললাম- কবে বিয়ে? বললো – বিবাহ সংশ্লিষ্ট সব অনুষ্ঠানের তালিকা তারিখসহ আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি আর ভাবি দুই জন লম্বা সময়ের জন্য চলে আসবেন। আপনারা উইন্টারে চলে আসবেন। কানাডায় যখন উইন্টার অস্ট্রেলিয়ায় তখন সামার। আমাদের সামারে আপনি আমাদের সাথে থাকবেন। কানাডার হাড় কাঁপানো শীত আর বরফের দাবড়ানি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। টেলিফোনে আরো কথাবার্তা হলো। জানলাম তাকে জারিফের জন্য পাত্রী খোঁজায় নামতে হয়নি। পাত্রী জারিফ নিজেই খুঁজে নিয়েছে (যেমন আমার কাকাকেও স্বপনের জন্য পাত্রী খুঁজতে নামতে হয়নি)। বললাম- বড় ভালো কাজ করেছে। আমারটা সে রকম কিছু করলেতো বেঁচে যেতাম। পাত্রী খোঁজা বড় পেরেশানির একটা কাজ। পাত্রী সম্বন্ধে জানলাম। পাত্রী সর্ব গুণে গুণান্নিতা। খুব খুশি হলাম জেনে। দুই পক্ষ (পাত্র আর পাত্রী পক্ষ) বসে সময় তারিখ ঠিক করলো এবং বিলম্ব না করে তা আমার কাছে পাঠিয়ে দিল। বিয়ে হবে ২০২৩ সনে। জানুয়ারি মাসে শুরু এবং সে মাসেই সব অনুষ্ঠান শেষ হবে। প্রথম অনুষ্ঠান ডালা বিনিময়। এ অনুষ্ঠান হবে ২০২৩ সনের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে। ২০২৩ সনের আগমন ঘটবে কবে, কবে!! আরোত প্রায় এক বছর বাকি! দিন যেন আর কাটে না। অগাস্টের ২৩ তারিখে আমাদের (আমি এবং আমার স্ত্রী) অস্ট্রেলিয়া যাওয়া আসার টিকেট হয়ে গেল। ২০২২ এর শেষ মাস ডিসেম্বর।

সে মাসের ২৫ তারিখে আমরা সিডনির উদ্দেশ্যে টরন্টো ত্যাগ করবো ইনশাল্লাহ। ভাবতে ভাবতে স্বপ্ন দেখতে দেখতে এসে গেল ডিসেম্বর মাস। ২৫ তারিখে আমাদের ফ্লাইট। ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২। আমরা সকাল এগারটায় পৌঁছে গেলাম টরন্টো বিমানবন্দরে। ফ্লাইট দুপুর দুইটায়। ইমিগ্রেশন, সিকিউরিটি, ইত্যাদি সেরে পৌঁছে গেলাম গেটে। এখানে অন্য যাত্রীদের সাথে বসে বসে অপেক্ষা করছি ওখন বিমানে উঠার জন্য ডাকবে। পৌনে দুইটা বাজে, ডাকে না। দুইটায় জানালো যে বিমান সাড়ে তিনটায় ছাড়বে। না, ডাকে না। তিনটায় জানালো চারটায় ছাড়বে বিমান। বিমান ছাড়লো যখন তখন দেখি বেলা চারটা বিশ মিনিট। ক্যাথি প্যাসিফিক এয়ার লাইন্সের বিশাল বোইং চারশত যাত্রী নিয়ে এখন আকাশে। পনের ঘন্টা বিশ মিনিট পর এটি অবতরণ করবে হংকং বিমানবন্দরে। সঠিক সময়ে আমাদের বিমান হংকং বিমানবন্দরে অবতরণ করলো। এখানে আমরা তিন ঘন্টা থাকলাম। তিন ঘন্টা পর উঠলাম সিডনিগামী অন্য এক বিমানে। হংকং থেকে সিডনি পর্যন্ত উড়াল পথ অতিক্রম করতে আমাদের বিমানের লাগলো নয় ঘন্টা। বিমানবন্দরে আমার ভায়রা ভাই সাজ্জাদ আমাদের অপেক্ষায় ছিল তার গাড়ি নিয়ে। বিমানবন্দর থেকে সাজ্জাদের বাসা দূরে নয়। ত্রিশ মিনিট পর আমরা বাসায় পৌঁছে গেলাম। আমরা সিডনি ছিলাম এক জানুয়ারি পর্যন্ত। দুই জানুয়ারি আমরা চলে গেলাম মেলবোর্ণ। সেখানে আছে আমার দুই চাচাতো বোন – মিতু আর আলো। মিতুর জ্যেষ্ঠ পুত্র মিহানের বিবাহ উত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল আট জানুয়ারি। সেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলে এগার জানুয়ারি আমরা আবার সিডনি ফিরে আসি। স্বপনের ছেলে জারিফের বিবাহ সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের শুরু ১৩ জানুয়ারি থেকে। ১৩ জানুয়ারি হলো ডালা বিনিময় অনুষ্ঠান- স্থান: ব্লুজ পয়েন্ট রিজার্ভ। সিডনি হার্বারের গা ঘেষে এর অবস্থান। এখান বসে খুব কাছে থেকে এবং মন ভরে অবলোকন করা যায় হার্বারের অপরুপ স্থাপনাবলী, যেমন সিডনি হার্বার ব্রিজ, সিডনি অপেরা হাউজ, ইত্যাদি। জলের উন্মাদনা নেই বলে এই রিজার্ভে মৎস্য শিকারিদেরকে চোখে পড়ে বেলা অবেলায় সব সময়। পিগ বৃক্ষ আর পিকনিক টেবল বুকে নিয়ে থাকা এই রিজার্ভ মুলত একটি চমৎকার পিকনিক স্পট। বৃক্ষহীন খোলা জায়গাও আছে এখানে যা লোকজন সমবেত হয়ে যে কোন ধরনের প্রোগ্রাম করার জন্য নিঃসন্দেহে ভারি উপযুক্ত। পরিবারের শিশু কিশোর সদস্যদের নিয়ে বেড়ানোর জন্যও এটি একটি অতি উত্তম স্থান। ডালা বিনিময় অনুষ্ঠান যে কোন বিচারে একটি কার্যকর অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে বর পক্ষের এবং কণে পক্ষের পরিবারের মুল সদস্যবৃন্দ (মাতা-পিতা, ভাই-বোন) এবং পরিবারের ঘনিষ্ট স্বজনরা একত্রিত হন এবং তারা পরস্পরের সাথে পরিচিত হন, কথা বলেন, চিনেন। এ অনুষ্ঠানে আরেকটা কাজ হয় যার জন্য এ অনুষ্ঠানের নাম হয়েছে ডালা বিনিময় অনুষ্ঠান। ডালা ভরে কনের জন্য বর পক্ষ অনুরুপভাবে ডালা ভরে বরের জন্য কনে পক্ষ যথাক্রমে কনে এবং বর সাজানোর জন্য নানা প্রকার দ্রব্যাদি নিয়ে আসে এবং এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো বর এবং কনে পক্ষের মধ্যে বিনিময় হয়। ফলে অনুষ্ঠানের নাম যে ডালা বিনিময় অনুষ্ঠান তা সর্বাংশে যথার্থ।

১৩ জানুয়ারি ছিল শুক্রবার ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি পবিত্র দিন। ঝাঁ চক চকে রোদ ছিলনা ঠিক তবে মেঘলাও ছিলনা। সুর্য্য পশ্চিমে ঢলে পড়লে আকাশে একটা প্রশান্ত তন্ময় ভাব এসে গেল। রিজার্ভটা আগে থেকে এই অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা ছিল। পরিস্কার রিজার্ভ আর প্রশান্ত আকাশ মিলে সেখানে তৈরি হয়েছে অনুষ্ঠানের জন্য চমৎকার একটা পরিবেশ। দুই পক্ষের লোকজন বিকালে হাজির হয়েছে রিজার্ভে। দুই পক্ষের ডালায় ডালায় ভরে গেছে প্রায় অর্ধেক স্থান। মিস্টি সহ নানা রকম খাবারের বিপুল সমাহার ঘটেছে। আগত অতিথিবৃন্দের কেউ চেয়ারে, কেউ বেঞ্চে, কেউ নরম সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন মৎস্য শিকারিকেও পেলাম; তারা আছে তাদের কাজে নিমগ্ন। কি হচ্ছে এখানে সেদিকে তাদের কারো মন নেই। অনুষ্ঠানের সকল উপকরণ যেমন, দ্রব্যাদি, অতিথি, ইত্যাদির আগমনে অনুষ্ঠান শুরুর তাগিদ অনুভব করলো সকলে। বর তার বন্ধু ও কাজিনদের নিয়ে ছিল ফিগবৃক্ষ তলায়, যেমন কৃষ্ণ ছিল কদম্ব তলায়। বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়েছে রাধারুপে কনে ফারাহ। আমরা বয়স্কশ্রেণী ডালা- খানা নিয়ে মধ্য খানে। ইঙ্গিত পেয়ে বর ফিগবৃক্ষ তলা থেকে আসতে থাকল। শুরু হলো খুশির বান। নানা রকম শব্দে, উল্লাস ধ্বনিতে ভরে উঠলো প্রাঙ্গন। খুশির জোসে বরের এক ছোট ভাই বরকে কোলে তুলে নিয়ে পাহলোয়ানের ভঙ্গিতে হাঁটতে লাগলো। এটা খুশির অনলে যেন ঘৃত নিক্ষেপ করলো। এভাবে কনে পক্ষের সকলে এবং মধ্যখানে উপস্থিত অতিথি দের সকলে বরকে বরণ করে নিল। কনেকে সামনে রেখে কনে পক্ষ মধ্যখানে মুল অনুষ্ঠান স্থলের দিকে আসতে লাগলো। বর পক্ষের সকলে এবং মধ্যখানে উপস্থিত অতিথিদের সকলে বিপুল উদ্দীপনা আর উল্লাস ধ্বনি দিয়ে কনেকে বরণ করে নিল। এবার পরিচয়ের পালা। আনুষ্ঠানিকভাবে এক পক্ষ অপর পক্ষের কাছে তাদের পরিচয় তুলে ধরলো। বর পক্ষকে পরিচিত করার দায়িত্ব নিল বরের এক চাচা আমেরিকার ডালাস থেকে আসা মানিক। এক চমৎকার ভঙ্গীতে মানিক বর পক্ষের উপস্থিত সকলের পরিচয় তুলে ধরলো। অনুরুপভাবে কনের এক খালা দায়িত্ব নিল কনে পক্ষের সকলের পরিচয় তুলে ধরতে। পরিচয় পর্ব শেষ হলে শুরু হলো গল্প আর খাওয়া দাওয়া। তারপর হলো ডালা বিনিময়। কনে পক্ষ তুলে দিল বর পক্ষের হাতে বরের ডালা অনুরুপভাবে বর পক্ষ কনে পক্ষের হাতে তুলে দিল কনের জন্য আনা ডালা সমুহ। বর পক্ষের ডালায় ছিল কনের বিয়ের দিন পরার জন্য কনের সাজ পোশাক (লেহেঙ্গা সহ সব ধরনের বসন-ভ‚ষণ, ব্যাগ, জুতা, কসমেটিক্স, ইত্যাদি), কনের স্বজনদের জন্য নানারকম উপহার সামগ্রী। ছিল গায়ে হলুদের দিন কনেকে সাজাতে যা যা লাগে তার সব। কনের পক্ষ থেকে যে সব ডালা আনা হয়েছে সেগুলোতে ছিল বরের বিয়ের পোষাক, যেমন পাগড়ী, শেরওয়ানী, জুতা, ইত্যাদি; গায়ে হলুদের দিন বরের সাজের জন্য যে রকম পরিধেয় প্রয়োজন তার সব। এ ছাড়া ছিল বরের জন্য কমপ্লিট স্যুট, সার্ট, বরের মা-বাবা, বোন- ভগ্নিপতি, ফুফু-ফুফা, চাচা-চাচী, মামা-মামী,খালা-খালু এদের জন্য উপহার সামগ্রী। সবাই ইচ্ছে মত ছবি তুললো। এভাবে সঁন্ধা প্রায় ঘনিয়ে এল। অস্তগামী সুর্য্যের সোনালী রোদে অনুষ্ঠান স্থল হয়ে উঠলো সোনা ঝরা এক বিসতৃত আঁচল। সকলে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে যার যার গন্তব্যের পথে চলছে। রিজার্ভ পার হয়ে আমরা রাস্তায় উঠলাম। একবার পেছনে তাকালাম। মনে হলো বøæজ পয়েন্ট রিজার্ভ কি এক আনন্দে সোনা রোদ গায়ে মেখে যেন দোল খাচ্ছে। (চলবে)

Exit mobile version