অনলাইন ডেস্ক : কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই, নেই লেনদেনের কোনো গ্যারান্টি, নিয়ন্ত্রণের জন্য নেই কোনো কর্তৃপক্ষ, মুদ্রা খোয়া গেলে বা দরপতন ঘটলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের চাহিদা এখন তুঙ্গে। হু-হু করে বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। ২০০৯ সালে মুদ্রাটির যাত্রার শুরুতে প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল এক ডলার বা ৭৯ টাকার নিচে। এখন তা বেড়ে ৫৭ হাজার ৩৫২ ডলার বা ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে যে শুধু এর দাম বেড়েছে তা নয়, ওঠানামাও করেছে ব্যাপক হারে। তবে দাম কমার চেয়ে বেড়েছে বহুগুণ বেশি। যে কারণে বিটকয়েনে বড় ঝুঁকি নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের অনেকে রাতারাতি ধনী হয়েছেন।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিটকয়েন কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও থেমে নেই এর লেনদেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ব্যবসা বেআইনিভাবে বাংলাদেশেও প্রসারিত হচ্ছে। আবার প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। বিদেশে কেনা পণ্যের দাম যেমন বিটকয়েনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে, তেমনি এতে বিনিয়োগ করাও হচ্ছে। আবার আন্তর্জাতিক লেনদেনেও এর ব্যবহার বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বিটকয়েন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ এর লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকেন এবং সেটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসে সে ক্ষেত্রে অবৈধ মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নজর রাখছে।
জানা গেছে, বেআইনি এই মুদ্রা নিয়ে ব্যবসা করার দায়ে ইতোমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বগুড়া থেকে তিনজন, সিলেট থেকে ৩ জন ও গাজীপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের বিরুদ্ধে বেআইনি মুদ্রা ব্যবসার দায়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন মুদ্রার সঙ্গে এর বিনিময় হারের তথ্য-উপাত্ত কারেন্সিভিত্তিক ওয়েব পেইজগুলোতে ‘লাইফ’ সম্প্রচার করা হচ্ছে। অনেক দেশে এর লেনদেন নিরাপদ করতে ও প্রতারণার ঘটনা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। তবে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত বিটকয়েনকে স্বীকৃতি দেয়নি। ওইসব দেশে অনলাইনে কেনাবেচা হচ্ছে। কেননা অনলাইনে এই মুদ্রা কেনাবেচায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে কোনো এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই মুদ্রার প্রচলন করেন। ওই ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের এখন পর্যন্ত কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিন্তু মুদ্রার লেনদেন হচ্ছে। এবং বাজারে ক্রমেই এটি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় আড়াই কোটির বেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনে বিটকয়েন দিয়ে মূল্য পরিশোধ করা যায়। এছাড়া হুন্ডি, মুদ্রা পাচার, চোরাচালানের দেনা পরিশোধ, জুয়ার আসরে বিটকয়েন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, কানাডা, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়াসহ কমপক্ষে ৬৫টি দেশে বিটকয়েনের ব্যবসা চলছে। ভারতেও এর ব্যবসার পরিধি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ অনেক দেশে এ মুদ্রার মাধ্যমে যাতে কোনো প্রতারণার ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে। চীনও তাদের দেশে ব্যক্তিগত কারেন্সি হিসাবে বিকল্প ভার্চুয়াল মুদ্রা বাজারে ছেড়েছে। বিটকয়েনের সঙ্গে পাল্লা দিতে অনেক দেশ ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করেছে। এর মধ্যে চীন বেশি এগিয়েছে। তারা ডিজিটাল মুদ্রায় দেশের ভেতরে লেনদেন করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও লেনদেন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জার্মানিতে বিটকয়েন ‘ব্যক্তিগত মুদ্রা বা প্রাইভেট কারেন্সি’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশে অনলাইন লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে বিটকয়েন। পাশাপাশি সঞ্চয়ের উপকরণ হিসাবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে কালো টাকা বিনিয়োগ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিটকয়েন। এর মূল্য অনেক বেশি এবং দাম বাড়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা এ থেকে অতি দ্রুত ভালো মুনাফা পাচ্ছেন। এ কারণে অনেক দেশে বিটকয়েন বিনিয়োগে পরামর্শ দিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ, নেপাল, ইকুইয়েডর, বলিভিয়া, আলজিরিয়াসহ অনেক দেশে এর লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তার পরও এসব দেশে অনলাইনে এ মুদ্রার লেনদেন হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সরকারের ই-গভর্মেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, বিটকয়েন বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যে কারণে দেশে থেকে এটি লেনদেন করা যায় না। তবে বিদেশে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে বা আত্মীয়স্বজন রয়েছে তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই মুদ্রা কেনাবেচা করছে। যেহেতু অনেক দেশে এটি লেনদেন করতে কোনো বাধা নেই, সে কারণে বিদেশের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করলে কিছু করার থাকে না।
তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মুদ্রাটির কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ নেই। সে কারণেই সরকার এটি নিষিদ্ধ করেছে। ফলে আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এর লেনদেন থেকে বিরত থাকবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংগঠন ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টসের (বিআইএস) বিধি অনুযায়ী যে কোনো দেশের মুদ্রা ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এই ধরনের মুদ্রা দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে। এর বাইরে অন্য কোনো মুদ্রা গ্রহণযোগ্য হবে না। বাস্তবে বিটকয়েন কোনো দেশের মুদ্রা নয়, কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এটি অনুমোদন করেনি। এর কোনো নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষও নেই। এ মুদ্রার নিয়ন্ত্রক হিসাবে কোনো দাবিদারও নেই। এটি কিনতে হলে অনলাইনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ওই অ্যাকাউন্টে বিটকয়েন কিনতে হলে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় বা বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় একে নগদায়নও করা যাবে। অনেকটা বাংলাদেশ শেয়ার কেনাবেচার মতো। তবে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে হয়। এখানে তা নেই। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। শুধু অনলাইনে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে এটি কেনাবেচা হয়। এটি কেনাবেচা করার মাধ্যমে কেউ প্রতারিত হলে প্রতিকার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গণবিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশে বিটকয়েনের লেনদেন শুরু হয় ২০১২ সালের দিকে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে এলে কিছু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। এর ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, দেশে বিটকয়েন নামীয় অনলাইনভিত্তিক কৃত্রিম মুদ্রা লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু বিটকয়েন কোনো দেশের বৈধ কোনো মুদ্রা নয়। বিটকয়েন বা বিটকয়েনের মতো বা অন্য কোনো কৃত্রিম মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সরকারের কোনো সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনবহির্ভূত এসব লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ১০১২-এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। এতে আরও বলা হয়, সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের মতো কৃত্রিম মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনে সহায়তা প্রদান ও এর প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পরও বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। উল্টো আরও জনপ্রিয় হয়েছে। এমনকি ২০১৬ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমসের নিউইয়র্ক শাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১০ কোটি ডলার ফিলিপাইনে যায়। সেখানের রিজল ব্যাংক থেকে তা চলে যায় ক্যাসিনোতে। সেখান থেকে বিটকয়েনের মাধ্যমে তা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যায়। ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা ও কয়েন অবাধে লেনদেন হয়। এক দেশের ক্যাসিনোর সঙ্গে অন্য দেশের ক্যাসিনোর একটি যোগসূত্র থাকে। যে কারণে এসব ডিজিটাল মুদ্রা বা কয়েন অবাধে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অনলাইনে স্থানান্তর করা যায়। এর মাধ্যমে যেমন টাকা পাচার হচ্ছে, তেমনি চোরাচালানের দেনা শোধ করা হচ্ছে।
এ ঘটনা জানার পর ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরও একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বাংলাদেশে বিটকয়েন নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এর কোনো লেনদেন করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিটকয়েনের মতো অন্য মুদ্রা : জানা গেছে, বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা দেখে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর মতো ইথেরিয়াম, রিপল ও লিটকয়েন নামে বিভিন্ন ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে এসেছে। এছাড়া সিলবার কয়েন, গোল্ড কয়েন ও প্লাটিনাম কয়েন নামেও বিভিন্ন মুদ্রা ক্যাসিনোগুলোতে লেনদেন হচ্ছে। এসব মুদ্রায় লেনদেন করতে নাম-ঠিকানা ছাড়াই শুধু একটি কোড নম্বরের ভিত্তিতে হিসাব খুলে লেনদেন করা যায়। এতে গ্রাহককে শনাক্ত করা যায় না। যে কারণে কালো অর্থের মালিকদের কাছে বিটকয়েনসহ এসব মুদ্রা বেশ জনপ্রিয়। এসব মুদ্রায় ক্যাসিনোগুলোতে চড়া সুদে ঋণও মেলে। ডলার, পাউন্ড, ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও করপোরেট হাউসগুলো যেমন বিনিয়োগ করে, তেমনি বিটকয়েনেও বিনিয়োগ করে। ফলে বিটকয়েন এখন একটি সঞ্চয়ী উপকরণে রূপ নিয়েছে।
দামে ওঠানামা : ২০০৯ সাল থেকে বিটকয়েন লেনদেন শুরুর পর এর দামে ব্যাপক ওঠানামা করেছে। তবে গড়ে এর দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিল ৯৯ ডলার, ২০১৪ সালে তা বেড়ে ৯৫১ ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৫ সালে এর দাম কমে ২৫০ ডলারে নেমে যায়। ওই বছরে কয়েকজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা কয়েন চুরি করলে এর দরপতন ঘটে। এরপর ২০১৬ সাল থেকে এর দাম আবার বাড়তে থাকে। ওই বছরে প্রতিটির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪০২ ডলার। ২০১৭ সালে আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯১৮ ডলারে। ২০১৮ সালে এর দাম লাফিয়ে বেড়ে ১০ হাজার ৭৬০ ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালে আবার বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়ে মুদ্রাটি। ওই বছরে এক লাফে কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৩৬ ডলারে। ২০২০ সালে আবার বেড়ে ওঠে ৮ হাজার ৯০০ ডলারে।
চলতি বছরের শুরুতে এর দাম আবার আকাশচুম্বী হয়। এ বছরের শুরুতে দাম বেড়ে ৩৩ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। গত ১২ ফেব্র“য়ারি তা আরও বেড়ে ৪৭ হাজার ৮৩২ ডলারে ওঠে। ২০ ফেব্র“য়ারি এর দাম আরও এক ধাপ বেড়ে ৫৭ হাজার ৩৫২ ডলারে ওঠে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় হারের তথ্যগুলো বিভিন্ন ওয়েবপেইজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। ওইগুলোতে টাকার বিপরীতে বিটকয়েনের বিনিময় হারও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সে তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ছিল ৮ হাজার ৩১৭ টাকা। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দর ওঠানামায় টাকার সঙ্গে বিটকয়েনের দামও ওঠানামা করে। ২০২১ সালের শুরুতে এর দাম ছিল ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, গত ১২ ফেব্র“য়ারি এর দাম আরও বেড়ে ৪১ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ওঠে। ২০ ফেব্র“য়ারি এর দাম আরও বেড়ে ৪৮ লাখ ৭৩ হাজারে উঠেছে।