অনলাইন ডেস্ক : ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি গণহত্যার পর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরে আসছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরে ফিলিস্তিনিরা তাদের জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে তথাকথিত নেটজারিম করিডোর দিয়ে পায়ে হেঁটে উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করে।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করিডোর খোলার প্রথম দুই ঘণ্টায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরেছে ২ লাখ মানুষ।

এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে পায়ে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে গাড়িতে করে সালাহ আল-দ্বীন সড়ক অতিক্রম করতে দেওয়া হবে।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি আল জাজিরাকে বলেন, আমি আমার বাড়ি পুনর্নির্মাণ শুরু করব। আমরা ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আবার এটি পুনর্নির্মাণ করব।

গাজা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলের লোকজনের ঘরে ফেরার সময় ঘোষণার পর সেখানে ‘উত্তেজনা ও আনন্দের অনুভূতি’ শুরু হয়েছে। আমরা সবার কোথায় পরিবর্তন দেখেছি। গত ১৫ মাসে এত সুখী মানুষ আমরা গাজায়ত দেখিনি।

গাজার মানুষ এই মুহূর্তটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করছে। তারা বলছেন, এটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য এটি একটি বিজয়ের দিন।

হামাস এই প্রত্যাবর্তনকে ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে। আরেক মিত্র ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ বলেছে, যারা আমাদের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার স্বপ্ন দেখেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে এটি একটি জবাব।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ফিরে আসা মানুষেরা তাদের ভূমির সঙ্গে নিজেদের যোগসূত্র নিশ্চিত করছে। আবারও লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করা ও তাদের দৃঢ় ইচ্ছা ভঙ্গের আগ্রাসী লক্ষ্য অর্জনে দখলদারদের ব্যর্থতার প্রমাণ এটি।

যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েল স্থল আগ্রাসনের প্রস্তুতির জন্য উত্তর গাজা থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছিল। গতকাল রোববারও ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নেটজারিম ক্রসিংয়ের কাছে যেতে বাধা দেয়। বেশ কয়েকবার জনতার ওপর গুলি চালায় এবং কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।