অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার আসনে বসেছিলেন। ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জোয়ানকে হত্যা করেছেন। খালেদা জিয়া এবং তার উত্তরাধিকারও একই পথ অনুসরণ করেছে। তিনি তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার আয়েশে ও খায়েশে শেখ হাসিনাকে একুশে আগস্ট হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় যে, হত্যার রাজনীতিটাই হচ্ছে বিএনপির মূল প্রতিপাদ্য।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দায় খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের একার নয়। কানাডার আদালতও বিএনপিকে রায় দিয়েছে যে, এটি একটি সন্ত্রাসী দল। সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবেও বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, গতকাল ছিল একুশে আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। যেদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিবালোকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।
খালেদা জিয়াকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে তবে এখনও কার্যকর হয়নি। এই মামলায় যদি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা না হয় তাহলে অনেকেই মনে করেন না-এই বিচার সঠিক হয়েছে এবং আমিও তাদের সাথে একমত। আমি গ্রেনেড হামলা মামলার একজন সাক্ষী। সুতরাং সাক্ষী হিসেবে বলব, এই বিচার পরিপূর্ণ করার জন্য খালেদা জিয়াকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গতকাল বিএনপির নেতারা নানা কথা বলেছেন। যখন এই কথাগুলো আলোচিত হচ্ছে, তখন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই নাই’ তাদের বক্তব্যগুলো এমন। ওরা সবাই বিএনপি নেতা। যেটি একটি খুনিদের দল। যাদের রাজনীতি খুনের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই আমি আজকে মনে করি, বাংলাদেশ থেকে এমন খুনের রাজনীতি চিরতরে বিদায় করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।