অনলাইন ডেস্ক : দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার পর এবার বাড়ি ছাড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী। শনিবার (৫ আগস্ট) ১৮ বছরের সম্পর্কের বিচ্ছেদের পর তাদের ব্যক্তিগত বাসভবন রিডো কটেজ ছাড়েন সোফি গ্রেগোয়ার। বাড়ি ছাড়লেও সন্তানদের সহ-অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সোফি। বর্তমানে তাই ট্রুডোর বাসভবনের কাছাকাছিই একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে উঠছেন তিনি।
কানাডার আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী তার সমর্থনে থেকে দেশের প্রতিনিধিত্বে ভূমিকা পালন করতে পারেন। তবে দাফতরিক কোনো উপাধি বহন করতে পারেন না। বিচ্ছেদের পর তাই সোফি সরকারের পক্ষে আর কোনো বক্তৃতা বা জনসাধারণের সম্মুখে আসবেন না। রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন না বা বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভ্রমণ করবেন না। নিরাপত্তায় সরকারি বিশেষ কোনো সুবিধাও পাবেন না সোফি।
বিচ্ছেদ হওয়ায় বিশ্বনেতাদের সঙ্গে যে কোনো দাফতরিক বৈঠকেও আর ট্রুডোর পাশে দেখা যাবে না সোফিকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও থাকবে না কোনো অধিকার। তবে বাসভবনে তিনি আসতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে গ্রেগোয়ার বিভিন্ন দাতব্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি নারীদের অধিকার, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, খাওয়ার ব্যাধি, শারীরিক কার্যকলাপ এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছেন। কানাডার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সব সময়। বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও তিনি এসব সামাজিক কার্যকলাপ অব্যাহত রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে লিবারেল পার্টি প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পর রিডো কটেজ ছিল ট্রুডো দম্পতির আবাসস্থল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও ট্রুডো সরকারি বাসভবন সাসেক্সে যাননি।