হাসান জাহিদ : কথা শিল্পী হাসান জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে, আর কানাডায় পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা ও কালচার এন্ড হেরিটেজ বিষয়ে। তিনি ইকো-কানাডা স্বীকৃত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক হাসান জাহিদ ‘বালুকা বেলা’ কলামে ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন তাঁর প্রিয় সব বিষয়ের অনুসন্ধিত্সু ক্যানভাস।
‘বালুকা বেলা’য় আজ আমার একটু মিশ্র অনুভ‚তির কথামালা গাঁথব। বিশেষত, কানাডায় আমার আগমনের গোড়ার দিকের কিছু আনন্দঘন অভিজ্ঞতা ও কানাডার মাল্টিকালচার সম্পর্কে আলোকপাত করব।
বালুকা বেলায় এটি আমার সপ্তম লেখা। আগের সংখ্যায় লিখেছিলাম ঐতিহাসিক বেলভিউ হাউস সম্পর্কে, যা কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ড-এর বাসভবন।
পরবর্তী কিস্তিগুলোতে আমার অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণ, কানাডায় পদচারণা প্রভৃতি সম্পর্কে তো লিখবই, এছাড়াও আমি কানাডায় পরিবেশবিদ হিসেবে পরিবেশ-জলবায়ু আর কানাডায় কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ বিষয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে ঐতিহাসিক বিষয়াদি, এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে লিখব ।
সিয়িং ইজ বিলিভিং সামারে গোটা কানাডা নববধূর মতো সাজে। প্রায় আটমাস নিরেট বরফে স্থবির হয়ে থেকে এপ্রিলের শেষদিকে প্রকৃতি নড়েচড়ে ওঠে। ন্যাড়া গাছের ডালে পাতা গজাতে শুরু করে। চঞ্চল হয়ে ওঠে কাঠবেড়ালির দল। গাছের শাখায় পাখিরা তীক্ষè কলরবে মেতে ওঠে। স্কাঙ্ক ও র্যাকুন তত্পর হয়ে ওঠে। দুইপাশে মনকাড়া সৌন্দর্যের বাড়িঘর, দোকানপাটের মাঝখান দিয়ে অ্যাসফল্টের (ব্ল্যাকটপ) কালো রাস্তা রোদ্দুরে ঝিকিয়ে ওঠে। তার বুকের ওপর দিয়ে চলে অসংখ্য যানবাহন। চওড়া ফুটপাথজুড়ে কংক্রিটের স্কোয়্যার সাইজ বিশাল টবে হরেক রকমের বহুবর্ণিল ফুলগুলো মন কেড়ে নেয়।
গ্রেটার টরোন্টো এরিয়া (জিটিএ) জুড়ে যে পরিমাণ বনানী তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসস করাটা রীতিমতো কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। টরন্টোর গাছ-বৃক্ষ-তরুলতা বর্ণে আর পুষ্টিতে অপূর্ব। কোনোটার পাতা গোলাপি। কোনোটি কমলা রঙের। কোনোটি টিয়ে রঙের কোনোটি আবার গাঢ় সবুজ বা হলুদ। ক্যানেডি রোডে একদিন কাচঘেরা বাসস্টপে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছিলাম। কাচের ঘরটার মাথায় আর আমার মাথার ওপরে তিনচারটে আপেলগাছে দেখলাম টকটকে আপেল ধরে আছে। পাতার চাইতে আপেলের সংখ্যাই বেশি। নাগালের মধ্যেই ছিল। একটা আপেল পেড়ে খেয়েছিলাম। বিশাল ফাঁকা জায়গা, স্থানে স্থানে পার্ক, গল্ফ কোর্স আর টেনিসকোর্টে গোটা টরন্টোকে একটা বড় পার্ক বলা যেতে পারে। “The term ‘multiculturalism’ emerged in the 1960s in Anglophone countries in relation to the cultural needs of non-European migrants. It now means the political accommodation by the state and/or a dominant group of all minority cultures defined first and foremost by reference to race or ethnicity; and more controversially, by reference to nationality, aboriginality, or religion, the latter being groups that tend to make larger claims and so tend to resist having their claims reduced to those of immigrants.”
কীভাবে মাল্টিকালচার পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে? উদারণরূপে সুইডেনের রাজধানি স্টকহল্মের মেডবোরগারপাত্সন-এর নাম করা যায়। এখানে ক্যাটেরিনা চার্চ ও স্টকহল্ম মসজিদের সহাবস্থান চমত্কার একটি মাল্টিকালচারের আবহ তৈরি করেছে। শুধুমাত্র টরোন্টোর ডান্ডাস স্কোয়্যারের কথাই ভাবা যাক: এখানে কত যে রীতিনীতি আর সংস্কৃতির প্রদর্শনী হয়, তা বলে শেষ করা যাবে না। মিডিয়া আর স্যাটেলাইটের অভূতপূর্ব প্রসারের ফলে বলিউডের তারকা ও বলিউড সিনেমা সুদূর কানাডাতেও জনপ্রিয়। তাই বিভিন্ন উপলক্ষে বলিউড তারকাদের মেলা বসে ডান্ডাস-চত্বরে। আর সেটা উপভোগ করতে আসে বিভিন্ন অভিবাসী, আদিবাসী ও খোদ কানাডীয়রা। তাছাড়া, উইকএন্ড বা বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে স্থানীয় এথনিক শিল্পী গোষ্ঠিদের পারফরমেন্স দূরান্তের দর্শকদের টেনে আনে এই চত্বরে। চত্বরে এবং আশেপাশের এলাকায় মেলা ও মুখরোচক বহুসাংস্কৃতিক খাবারের স্টল গোটা এলাকা জমজমাট করে রাখে। মাল্টিকালচার কানাডার জীবনের একটা বিশেষ দিক-তার জ্বলন্ত স্বাক্ষর বহন করছে টরোন্টোতে (ইউনিয়ন স্টেশনের সামনে, ৬৫ ফ্রন্ট স্ট্রিট ওয়েস্ট) ফ্রান্সেস্কো পিরেলির বিখ্যাত ‘মনিউমেন্ট টু মাল্টিকালচারালিজম।’
আফ্রিকা, এশিয়া, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি ইয়োরোপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিবাসীরা এসে সমৃদ্ধ করছে মাল্টিকালচারালিজম চর্চাকে। স্ট্যাটিস্টিক্স-ক্যানেডা’র সূত্রমতে, এদেশে ৩৪টি এথনিক গ্রুপ রয়েছে। অভিবাসীদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দক্ষিণ এশীয়রা দখল করে আছে।
মাল্টিকালচার আপনাকে শিখতে হবে না, বরং আপনিই নিজস্ব সংস্কৃতির কিছু উপাদান উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মাল্টিকালচারকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন। আপনি যদি অভিবাসীরূপে এখানে স্থায়ীভাবে থেকে যান তবে পরিবেশ-পরিস্থিতি, চারপাশের উপাদান, মানুষের আচার-ব্যবহার দেখে বুঝে যাবেন মাল্টিকালচার। হয়তো আপনি কানাডীয়দের হ্যালোইন (৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চলে গেলেন বাঙালিদের মেলায় যোগ দিতে-আপনি মাল্টিকালচারের একটি উত্কৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফেললেন।
কানাডা বহুসংস্কৃতির এক অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে এখানে গ্রহণ করা হয় রাষ্ট্র ও সমাজের প্রায় সব ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্য হচ্ছে কানাডীয় সমাজের অহংকার ও আনন্দ। বহুজাতি গোষ্ঠির মানুষদের একত্রিত করে একটা সাংস্কৃতিক মোজেইক তৈরিতে সক্ষম হয়েছে এই দেশ। উত্তর গোলার্ধের অতিকায় এদেশটিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত জনগোষ্ঠির বসবাস। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির পরে টরোন্টো নগরী হচ্ছে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় বহুসাংস্কৃতিক মহানগর। কানাডা যদি হয় বহুসংস্কৃতির দেশ, টরোন্টো তাহলে তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যমণ্ডিত রাজধানি। টরোন্টো এমন একটি নগর যেখানে বহুবিধ শেকড় থেকে আগত মানুষ মিলেমিশে একটি জটিল এবং উদ্দীপনাময় বহুসাংস্কৃতিক বাগান তৈরি করেছে। বাঙালি সংস্কৃতিও এই বহুসাংস্কৃতিক মোজেইকের একটি মূল্যবান খণ্ড।
বাংলাদেশ থেকে যোজন যোজন দূরের টরোন্টো, ভ্যাঙ্কুভার, মন্ট্রিয়্যালসহ সারা কানাডায় প্রবাসী বাঙালিদের সংস্কৃতিচর্চা চোখে পড়ার মতো। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিচরণ করলে সর্বত্রই বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। যেমন পাওয়া যায় টরোন্টোর চায়নাটাউনে চীনাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। নির্দিষ্ট কোনো জাতি অধ্যুষিত স্থানগুলোকে ‘এথনিক এনক্লেভ’ বলা হয়। এরকম আরেকটি এনক্লেভ হচ্ছে গ্রিকটাউন, যা টরোন্টোর একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান। একে বলা হয় গ্রিকটাউন অন দ্যা ড্যানফোর্থ। এটি অবস্থিত ড্যানফোর্থ অ্যাভেনিউতে (চেস্টার অ্যাভেনিউ ও ডিউহার্স্ট বুলেভার্ড-এর মাঝে)। অন্যদিকে ড্যানফোর্থ ও ক্রেসেন্ট টাউন এলাকার বাঙালিদের চিহ্নিত করা হয় ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে। ক্রেসেন্ট টাউন ছাড়াও আরও অনেক এলাকা, যেমন রিজেন্ট পার্ক, এগলিন্টন অ্যাভেনিউ ও মার্কহাম রোড এলাকা, হাইওয়ে ৪০১-এর সিঙ্গেল অ্যাপার্টমেন্ট এবং ডন মিল্স রোড এলাকায় বহু বাঙালির বসবাস। এছাড়া অনেক বাঙালি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন মন্ট্রিয়্যাল, ওটাওয়া, ভ্যাঙ্কুভার, মানিটোবা প্রভৃতি স্থানে। ক্রেসেন্ট টাউনে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা কানাডার মোট বাংলাদেশিদের চব্বিশ শতাংশ।
প্রবাসী বাঙালিরা অমর একুশে, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং দুই ঈদ, পূজা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিনসহ বাঙালি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় উল্লেখযোগ্য উত্সব, অনুষ্ঠান ও দিন পালন করে থাকেন। প্রবাসী বাঙালিরা তাদের কর্মব্যস্ততার মাঝেও দেশের মাটি, মানুষ আর জীবনভিত্তিক নাটক রচনা ও পরিচালনা করে থাকেন। মাঝেমধ্যেই দেশীয় নামিদামি শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রচুর দর্শক সমাগমও হয় এই অনুষ্ঠানগুলোতে।
টরোন্টো থেকে অনেক সাপ্তাহিক ও মাসিক ও সাপ্তাহিক অনলাইন/প্রিন্ট ভিত্তিক বাংলা পত্রিকা বের হচ্ছে যা বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। টরোন্টোতে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, যেমন উদীচী, ছায়ানট ইত্যাদি। এছাড়া আছে বিভিন্ন কমিউনিটি সংগঠন। বাঙালি সংস্কৃতির ক্রমান্বয় প্রসারে এসব সংগঠনগুলো সচেষ্ট রয়েছে। কানাডায় ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালিদের সর্ববৃহত সাংস্কৃতকি উত্সব ফোবানা বা ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ অ্যামেরিকা।
ড্যানফোর্থে অবস্থিত টরোন্টো ফিল্ম ফোরাম, এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশি সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। টরোন্টোর ৩০০০ ড্যানফোর্থে অবস্থিত টরোন্টো ফিল্ম ফোরামের ‘মাল্টিকালচারাল ফিল্ম স্ক্রীনিং সেন্টার’-এ বাংলা সংস্কৃতি ও শেকড়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় নিয়মিত। এছাড়াও, সম্প্রতি প্রদর্শিত হয়েছে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্নস্থানের মানুষের কাছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা পৌঁছে দিতে মূল্যবান ভ‚মিকা রাখছে।
টরোন্টো শহরের ম‚ল বাঙালি কমিউনিটি ড্যানফোর্থ এলাকায় কেন্দ্রীভূত। এখানে ভিক্টোরিয়া সাবওয়ে স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি সুপারমার্কেট, দোকানপাট ও রেস্তরাঁ। এখানে আড্ডা হয়। বাঙালিরা এখানে মত বিনিময় করেন, এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ও মূলস্রোতের বিভিন্ন ইস্যূ নিয়ে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে পরিচালিত হয় মানববন্ধন, এমনকি মিছিল। বাংলাদেশি নতুন ইমিগ্রেন্টসরা ক্রেসেন্ট টাউনে এসেই আস্তানা গাঁড়েন বাঙালি লোকজন, দোকানপাট, ডাক্তার, সহজ যাতায়াত-ইত্যকার কারণে। তবে একটা ট্রেন্ড এখানে কাজ করে। অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল হওয়া মাত্রই লোকজন এই এলাকা ত্যাগ করেন। এদেশে আগমনের পর থেকেই অনেকে সচেষ্ট থাকেন ভালো চাকরি পেতে; অন্যত্র ভালো চাকরি পাওয়া মাত্রই তারা এই এলাকা ত্যাগ করেন। আর বিপুল সংখ্যক লোকজন, যারা অড জব বা ব্লু কলার জব করেন বা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারে থাকেন তারা মোটামুটি কানাডীয় জীবনটা পার করে দেন এই এলাকাতে। এখানে কয়েকটি বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স আছে যা বাঙালি অধ্যুষিত-ক্রেসেন্ট টাউন, ম্যাসি স্কোয়্যার। ছারপোকা, তেলাপোকা আর নোংরা আশপাশ অনেক বাসারই কমন সমস্যা এখানে। অন্যদিকে যারা এখানে ছিলেন অথচ অন্যত্র চলে গেছেন, তারাও এখানে আসেন-বাজার করতে, দেশে টাকা পাঠাতে, ট্যাক্স ফাইল করতে, দেশি নাটক/সিনেমার সিডি বা বইপত্র কিনতে, বাঙালিপাড়ায় আড্ডা দিতে বা রেস্তরাঁয় খাবার খেতে।
তবে সব মিলিয়ে, এখানকার সংস্কৃতিতে বাঙালিরা অনেককিছু যোগ করেছেন-একথা বলা যায়। অন্যদিকে বাঙালিরাও এখানকার অনেককিছু গ্রহণ করেছেন। যেসব বাঙালিরা হোয়াইট কলার জব (অফিসে, মূলত টেবিলে বসে কাজ) করে এসেছেন বাংলাদেশে, তাদের অনেকেই এখানকার ব্লু কলার জব বা ওড জব (ম্যানুয়াল লেবার) মেনে নিতে না পারায় মনোযন্ত্রণায় ভোগেন। তবে একথা ঠিক যে, বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশে বাঙালিরা অবদান রাখছেন নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, এবং ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে বাঙালি স্বাতন্ত্র।
কাজকর্মের ফাঁকে ও অবসরে মন ও মননকে ধারালো করতে টরোন্টোর বিভিন্ন ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আর অবশ্যই মনোরম পার্কগুলো ঘুরে দেখা যেতে পারে।
বাঙালি কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে, সতেজ হবে আর কানাডীয় সংস্কৃতিতে বাঙালিদের অবদান উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে?এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।