হাসান জাহিদ: কথা শিল্পী হাসান জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে, আর কানাডায় পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা ও কালচার এন্ড হেরিটেজ বিষয়ে। তিনি ইকো-কানাডা স্বীকৃত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক হাসান জাহিদ ‘বালুকা বেলা’ কলামে ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন তাঁর প্রিয় সব বিষয়ের অনুসন্ধিত্সু ক্যানভাস।

আজ একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। কানাডীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে কিছু কথামালা। সেই সাথে সামান্য স্মৃতিচারণ। আর কানাডার আদিবাসী নির্যাতনের আরেকটি অধ্যায়, যে অধ্যায় রচনা করেছিলেন কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী জন এ. ম্যাকডোনাল্ড।

আমি যখন প্রথম জন এ. ম্যাকডোনাল্ড সম্পর্কে পড়ি, তখন তাকে কানাডার কনফেডারেশনের একজন নায়ক আর কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেই বেলভিউ হাউস সম্পর্কেই পাঠ করেছি আর সেই ঐতিহাসিক বাড়ি সম্পর্কেই লিখেছি, পড়েছি। সেই বাড়িটি অনটারিও প্রদেশের কিংস্টনে অবস্থিত আর পার্কস ক্যানেডা এর দেখভালের দায়িত্বে।

যদিও আদিবাসী নির্যাতনে তার বর্ণবাদী ভ‚মিকা প্রবল ছিল, তথাপি সেটা আমাদের পাঠে ও অ্যাসাইনমেন্টে কোনো কারণে তেমন গুরুত্ব পায়নি। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় যে, কানাডার আদিবাসী নির্যাতন ও তাদেরকে বঞ্চিত করার বিষয়ে আলাদা কোনো কোর্স ছিল না। ছিল ঐতিহ্য, ইতিহাস ও কানাডার ক্রমান্বয়ে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। সেইসাথে হেরিটেজ আর কানাডার পরিণত হবার বিষয়টি।

জন এ. ম্যাকডোনাল্ডের বিষয়টি অনেকটা ছিল প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো। জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম মৃত্যু অর্থাত শে^তাঙ্গ কর্তৃক কৃষ্ণাঙ্গের প্রতি যে বৈষম্যমূলক মনোভাব আর অবজ্ঞা, সেটা যে এই গ্লোবালাইজেশনের চরম উত্কর্ষতার মাঝেও ছাইচাপা আগুনের মতো গনগনে, নিজের জীবন দিয়ে ফ্লয়েড তা প্রমাণ করে দিলেন। বর্ণবাদের সহিংসতা বিদ্যমান ছিল আদিকাল থেকেই, আধুনিকতার আর দৃষ্টিভঙ্গির চরম উত্কর্ষতার সময়টাতেও যদি আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখি তখন সভ্য মানুষের সভ্যতার প্যারামিটার প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারে।

কানাডায় আমার কালচার ও হেরিটেজ বিষয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। যদিও বহু আগে থেকেই আমি পেশায় একজন পরিবেশবিদ, এখানেও। কানাডায়, যার শুরু অবশ্য বাংলাদেশে। পরিবেশে চাকরি ও পরিবেশ বিষয়ে লেখালেখির সুবাদে উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম পরিবেশ সংস্থা ইকো-ক্যানেডার আমি সার্টিফায়েড মেম্বার।
বাংলাদেশ ও কানাডায় আমি নানারকম চাকরি করেছি। সাংবাদিকতাও করেছি। ব্যক্তি মালিকানাধীন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানেও চাকরির অভিজ্ঞতা আমার আছে বাংলাদেশে। দেশে পরিবেশে সরকারি চাকরি করে আমার একটা লাভ হয়েছে। বহু দেশ ভ্রমণ; সেমিনার ও ট্রেনিং উপলক্ষে। আর সেই সুবাদে কানাডাতেও আমি পরিবেশবিদ। আমাকে ‘Jack of all trades, master of none’ মনে করতে পারেন পাঠকেরা। তবে আমি নিজেকে লেখক, বিশেষত কথাশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করি।

আজকে কালচার ও হেরিটেজ বিষয়ে কিছু লিখব। বেলভিউ হাউস ও কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী জন এ. ম্যাকডোনাল্ড সম্পর্কে আলোকপাত করব নয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে।
বহুদিন পর্যন্ত আমরা কানাডার দশ ডলার বিলে জন এ. ম্যাকডোনাল্ড-এর ছবি দেখেছি।
কানাডার নতুন ১০ ডলার বিলটি সাম্প্রতিককালে প্রচলিত হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। নাগরিক অধিকার কর্মী ভায়োলা ডেসমন্ড ব্যাংকনোটের মুখ হিসাবে স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এটি প্রথম নিয়মিত কানাডীয় বিল যা রানী নয় এমন একজন মহিয়ষী নারীকে ব্যাংকনোটে আনা হলো।
কিন্তু এমনটা কেন ঘটল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সতেরোশ শতাব্দীতে ঝুলে আছে ব্যাংকনোটে জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি নিয়ে সেখানে কানাডায় কেন এতো র‌্যাডিকেল পরিবর্তন?

উত্তরটা সহজ ও কঠিন একইসঙ্গে। জর্জ ওয়াশিংটনের ছবি বদলাবার মতো বড় কোনো কারণ এখনও ঘটেনি; তেমনি ইংল্যান্ডের বিলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি বদলাবারও কোনো ইস্যু তৈরি হয়নি।

ভায়োলা আইরিন ডেসমন্ড (Viola Irene Desmond) (জুলাই ৬, ১৯১৪- ফেব্রুয়ারি ৭, ১৯৬৫) ছিলেন একজন কানাডীয় নাগরিক অধিকার কর্মী এবং কৃষ্ণাঙ্গ নোভা স্কোশিয়া বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। ১৯৪৬ সালে, তিনি নিউ গ্লাসগো, নোভা স্কোশিয়ার একটি সিনেমা হলে রোজল্যান্ড থিয়েটারের শে^তাঙ্গদের নির্দিষ্ট আসন ছাড়তে অস্বীকার করে জাতিগত বিচ্ছিন্নতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

এর জন্য, তিনি যে আসনটির জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন এবং যে আসনটি তিনি ব্যবহার করেছিলেন তার মধ্যে এক-শতাংশ করের পার্থক্যের জন্য তাকে একটি ছোটোখাটো কর লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যা আরও ব্যয়বহুল ছিল। ডেসমন্ডের ঘটনা কানাডীয় ইতিহাসে জাতিগত বৈষম্যের সবচেয়ে প্রচারিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি এবং এটি কানাডায় আধুনিক নাগরিক অধিকার আন্দোলন শুরু করার পথ করে দিয়েছিল।
একটু পেছন ফিরে তাকালে আমাদেরকে শিউরে উঠতে হয় বর্ণবাদের অশিব বর্ণিল রূপ দেখে।

কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ডের ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলা হয়। ভাস্কর্য নামানোর পর উল্লাস করতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
সূত্রমতে, স্যার জন এ ম্যাকডোনাল্ড এমন কিছু নিষ্ঠুর নীতি গ্রহণ করেছিলেন যার ফলে বহু আদিবাসী মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। কেবেক সরকারের প্রধান ফ্রঙ্কোইস লিগাল্ট ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলার এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের ইতিহাসের অংশ ধ্বংস করে ফেলা কোনো সমাধান বয়ে আনবে না।

তা হয় তো আনবে না। কিন্তু ইতিহাস তো কথা বলে। ম্যাকডোনাল্ডের মূর্তি ফেলে দেয়া হোক বা সরিয়ে নেয়া হোক, কিংবা তাকে ফ্র্যাংঙ্কেনস্টাইন আখ্যা দিয়ে জাদুঘরে স্থানান্তর করা হোক, তাতে আমাদের অন্তত গাত্রদাহ হবার কথা নয়। আমি বলছি বেলভিউ হাউসের কথা, যেখানে বাস করতেন ম্যাকডোনাল্ড আর রূপরেখা তৈরি করতেন কানাডার। বেলভিউ হাউসটি কানাডার অন্যতম ঐতিহ্য ও জাতীয় হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। একে লালন করা উচিত।

কিন্তু একটা বেদনাদায়ক বিষয় যে, তিনি বর্ণবাদী ছিলেন। তিনি আদিবাসীদেরকে নির্মম পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, যা তার মতো বড় মাপের ব্যক্তিত্বের পক্ষে বেমানান ও অমানবিকতার পরিচয়। প্রকৃত অর্থে কানাডার আদিবাসীদের অবদান সেই প্রাচীনকাল থেকেই। তারাই কানাডার মূল¯্রােত ছিল একটা সময়। তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, জীবিকা প্রভৃতি নানাভাবে কানাডার হেরিটেজকে গাঢ় করেছে, সমৃদ্ধ করেছে। বৃহত্তর সাংস্কৃতিক মোজেইকের তারাও একটা বড় অংশ।

স্যার জন আলেকজান্ডার ম্যাকডোনাল্ড (১০ বা ১১ জানুয়ারি, ১৮১৫-৬ জুন, ১৮৯১) কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি ১৮৬৭ থেকে ১৮৭৩ এবং ১৮৭৮ থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব¡ পালন করেছিলেন। কানাডীয় কনফেডারেশনের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বিচারে তার একটি রাজনৈতিক কর্মজীবন ছিল যা প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বিস্তৃত ছিল।
স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ড টানা ১৯ বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আবাসিক স্কুল ব্যবস্থা চালু করেছিলেন অসম ও বিদ্বেষপূর্ণ কাঠামোয়, যা জের ধরে এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা এ আবাসিক স্কুল ব্যবস্থায় দেড় লাখ আদিবাসী শিশুদের জোর করে নিয়ে আসা হয়। তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা, নিজস্ব সংস্কৃতির অনুসরণ নিষিদ্ধ করা হয়। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব বোর্ডিং স্কুলে অনেক শিশু হয়রানির শিকার হয় এবং মারা যায়। ২০১৫ সালে একটি সরকারি প্রতিবেদনে এটিকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ বলে অভিহিত করা হয়।

একদিকে তিনি কানাডাকে গড়ে তুলেছিলেন, অন্যদিকে তিনি বর্ণবাদের কালো মুখোশ পড়ে অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার মূর্তি সরিয়ে ফেলা হলেও ইতিহাস কিন্তু মুছে ফেলা যাবে না। অতীত কানাডার বৈষম্যময় দিকগুলো শুধু তুুলে ধরা যাবে।
আসলে সময়ের দাবিতে, কালের আবর্তে অতীত ইতিহাসের অনেক অজানা বা ধামাচাপা পড়া বিষয়গুলো উন্মোচিত হয়, কোনো ইসুতে, বা অতীতের বিষময় কোনোকিছু বর্তমানকালে পুনরাবৃত্তি হলে, দেশ-সমাজ-সম্প্রদায়ের সচেতন ব্যক্তিরা প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। তখন দূর অতীতে ঘটে যাওয়া ক্ষত দগদগে কাঁচা ঘায়ের মতো বিবেকবান মানুষকে যন্ত্রণা দেয়। তারা তাত্ক্ষণিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখান। সেই প্রতিক্রিয়ার চ‚ড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১২৯ বছর পর ২০২০ সালে।

কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না, আর চেষ্টা করেও ইতিহাস বিকৃত করা যায় না। যা সত্য, তা চিরদিনই সত্য। হোক সেটা ইতিহাসের পাতায়, লোকমুখে, মিথ আকারে বা আধুনিক গবেষণার ফলাফলে।
অন্টারিওর কিংস্টনের ওয়েস্টার্ন লিবার্টিজ এলাকায় ৩৫ সেন্টার স্ট্রিটে অবস্থিত বেলভিউ হাউসটি স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ডের বাড়ি ছিল, যিনি পরে কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিংস্টন টরোন্টো থেকে পূর্বে ২৫০ কি.মি. অন্টারিও হ্রদের পূর্ব তীরে ৪০১ হাইওয়ের কাছে অবস্থিত।
বাড়িটির টাওয়ার থেকে মনোরম দৃশ্যের জন্য ম্যাকডোনাল্ড এবং তার স্ত্রী ‘বেলভিউ’ নামকরণ করেছিলেন। ম্যাকডোনাল্ডের আইন পেশায় ধস নামার কারণে, পরিবারটিকে মাত্র একবছর পরে আরও সস্তা বাড়িতে চলে যেতে হয়েছিল।

বাড়িটি চার্লস হেলস ১৮৩৮ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে নির্মাণ করেন। হেলস কিংস্টনের একজন উঠতি উদ্যোক্তা ও মনিহারী ব্যবসায়ী ছিলেন, যার বাণিজ্যের ধরন থেকে বাড়িটির নামকরণ হয়েছিল ‘টি ক্যাপি ক্যাসল’ (Tea Caddy Castle).
১৮৪৮ সালের অগাস্টে এটি জন এ. ম্যাকডোনাল্ডকে ভাড়া দেয়া হয়। তিনি তখন ছিলেন কিংস্টনের আইনসভার সদস্য এবং প্রদেশের রিসিভার জেনারেল।

বাড়িটি ১৮৪০ এর দশকের আদলে পুনরুদ্ধার করায় ইতালীয় ভিলা স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি বাড়ির একটি সুন্দর উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিংস্টনকে কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার জন এ. ম্যাকডোনাল্ডের বাড়ি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়, যদিও তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ৫ বছর বয়সে তার পিতামাতার সাথে এখানে অভিবাসিত হয়েছিলেন।
ঐতিহাসিক তাত্পর্য বেলভিউ হাউস কিংস্টনের ওয়েস্টার্ন লিবার্টিজ এলাকার একটি খুব ভালো উদাহরণ যা শহরটি ইউনাইটেড কানাডার রাজধানি হওয়ার প্রত্যাশায় ভিলা শহরতলি হিসেবে বিকশিত হয়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী চার্লস হেলস এখানে বেলভিউ তৈরি করেছিলেন, এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন।
ওয়েস্টার্ন লিবার্টিজ শহরতলিতে অবস্থিত, কানাডার ভিলা আন্দোলনের সর্বোত্তম সংরক্ষিত উদাহরণ, বেলভিউ হাউস কানাডায় ইতালীয় স্থাপত্যের একটি বিরল ও গোড়ার দিকের চমত্কার উদাহরণ। এর চরিত্রটি তার তাসকান ভিলা শৈলী দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়, যা তার অনিয়মিত ভর, বৈচিত্রময় উপকরণ এবং বিস্তৃত প্রাঙ্গন, মনোরম বৈশিষ্ট্যে ও প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে নির্মিত হয়।

একটি জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে, বেলভিউ হাউস তার সযত্ন-লালিত বাগানের জন্য অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করে, কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সাথে এর সম্পর্ক এবং নির্মাণশৈলীর রোম্যান্টিক গুণাবলীর জন্য এটি স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক।
বেলভিউ সাইটটি মানুষের আগ্রহ ও কৌতুহলের একটি সাইট। কানাডা এবং অন্যান্য দেশ থেকে লোকেরা এই ঐতিহাসিক স্থানটি পরিদর্শন করতে এবং পার্কস কানাডার আয়ে অবদান রাখতে আসে।
বেলভিউ সাইট যেন কানাডার হেরিটেজ ও ঐতিহাসিক সাইট হয়েই থাকে? এই বোধটুকু আমাদেরকে লালন করতে হবে।