হাসান জাহিদ : কথাশিল্পী হাসান জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে, আর কানাডায় পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা ও কালচার এন্ড হেরিটেজ বিষয়ে। তিনি ইকো-কানাডা স্বীকৃত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক হাসান জাহিদ ‘বালুকা বেলা’ কলামে ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন তাঁর প্রিয় সব বিষয়ের অনুসন্ধিৎসু ক্যানভাস।

লিখতে বসে স্মৃতিপটে অনেক মুখই আনাগোনা করে। আজ হঠাৎ মনের কোণে উঁকি দিয়ে গেলেন মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস।
তখন আমরা মগবাজার নয়াটোলায় থাকতাম। সেখানে থাকতেন মঞ্জু দিদি। বিলের ধার ঘেঁষে তার একতলা বাড়িটি। দিদির সাখে কীভাবে পরিচয় আমার, সেটা ঠিক মনে পড়ছে না। সেটা বহুবছর আগের কথা। ১৯৭৬ সাল। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। মঞ্জু দিদির ছেলে সুমনকে পড়াতাম আমি। সুমন জন্মগতভাবে পোলিও-আক্রান্ত। সে হুইলচেয়ার ব্যবহার করত। এতটুকু বাচ্চা ছেলের এই দুর্দশায় আমার মন খারাপ হতো। তাই দরদ দিয়ে, মন দিয়ে ওকে পড়াতাম। মঞ্জু দিদির যে গুণটি আমাকে মুগ্ধ করেছিল, সেটা হলো মাসশেষে তিনি আমাকে টাকা না দিয়ে দামি শার্ট পিস ও প্যান্ট পিস দিয়েছিলেন। আমি সে দু’টি ভীষণ পছন্দ করেছিলাম। সবাইকে দেখিয়ে বেড়াতাম। দিদি আমাকে কারুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার সময় আব্বার নাম উল্লেখ করে আব্বা বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন, সেটা উল্লেখ করতেন। দিদির ব্যবহার ছিল চমৎকার। তিনি সবসময় হাসিখুশি থাকতেন। আমাকে তিনি ভীষণ স্নেহ করতেন।

এখানে একটু বলা প্রয়োজন যে, এখন মোবাইল-ইন্টারনেট-স্যাটেলাইটের যুগ। সবাই বিশে^র সব খবরই রাখেন কিন্তু একটা খবর অনেকেই রাখেন না বা রাখলেও এ বিষয়ে অধিক সময় ব্যয় করেন না। বিষয়টি হলো কারুর চিরতরে প্রস্থান। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিও প্রায় অলক্ষ্যেই চলে গেছেন। তেমন একজন বিখ্যাত ব্যক্তির অতীত জীবন বা তার কীর্তি ও এদেশীয় সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যে তার অবদান স্যাটেলাইটের চেয়েও বিশাল বা মহান হতে পারে, তা আমরা ভুলে গিয়ে মেতে থাকি ইন্টারেনেট বা আইফোনে নানা অ্যাপ্স ও বিনোদনের ব্যবহারে। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই প্রয়াত ব্যক্তিদের, তাদের অবদানের কথা।
যাইহোক, সেসময় সাংবাদিক ফরিদউদ্দিন নীরদ মগবাজারের সেই বাসাটায় দিদির সাথে থাকতেন। পরে অবশ্য তারা বিয়ে করেন। অনেকেই মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস সম্পর্কে বিষোদগার করত, আজেবাজে মন্তব্য করত। কিন্তু দিদি আমার কাছে ছিলেন ভালো মানুষ। এবং তিনি প্রকৃতই ভালো মানুষ।

তারপর আমরা মগবাজার ছেড়ে চলে আসি নয়াপল্টনে। জামাতখানার পাশে চারতলা বাড়ির একতলায় থাকতাম আমরা। একদিন দিদির সাথে দেখা হয়ে গেল হঠাৎ। তিনি আমাদের বাসার পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন। তিনি তখন শান্তিনগরে বা নয়াপল্টনে এক ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার সাথে আবার যোগাযোগ হলো। তিনি দুইবার আমাকে জোনাকি সিনেমা হলের টিকিট দিয়েছিলেন। একবার আমি আর আমার বড়বোন প্রয়াত ইভা আপা দিদির দেয়া টিকিটে সিনেমা দেখেছিলাম জোনাকি হলে।

তার সাথে আবারও যোগাযোগ কাট হয়ে গেল। কারণ আমরা চলে এসেছিলাম গোপিবাগে। আমি যখন দি নিউনেশন পত্রিকায় ডিস্ট্রিক্ট এডিটরের দায়িত্ব পালন করছিলাম, সেইসময় আবার দেখা হয়ে যায় মঞ্জু দিদির সাথে। কী একটা দরকারে তিনি ও নীরদ ভাই নিউ নেশন পত্রিকায় এসেছিলেন। মঞ্জুদি খুশি হয়েছিলেন আমার দ্রুত উন্নতি দেখে। তেমনটি অবশ্য তিনি আশাও করতেন। মানুষজনকে বলে বেড়াতেন- এই ছেলে একদিন শাইন করবে।
এখানে আজাচৌ-এর প্রসঙ্গ এসে যাচ্ছে। আজাচৌ চিত্রালীর সম্পাদক ছিলেন। আমার আব্বা ও আজাচৌ-এর কর্মস্থল এক জায়গায়, মানে অবজারভার ভবনে ছিল, যদিও তাদের দু’জনের খুব একটা দেখা সাক্ষাৎ হতো না। তারা একই ভবনে কাজ করলেও দু’জন ছিলেন দ্ইু প্রান্তের মানুষÑএকজন চলচ্চিত্র জগতের, অন্যজন বিশুদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মননশীল প্রবন্ধ জগতের মানুষ। ঈদসংখ্যা বা অন্যান্য সময়ে আব্বা চিত্রালীতে লিখতেন। আমাদের বাসায় চিত্রালীর সৌজন্য কপি আসত। বড়আপা ও মেজপা’র দুয়েকটি লেখা চিত্রালীতে ছাপা হয়েছিল। আব্বা মারা যাবার পর বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অবজারভারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক আবদুর রহিম চিত্রালীতে তাঁর নিয়মিত কলাম ‘নিশাচরের নিশিদিন’-এ আব্বা সম্পর্কে কলাম লিখেছিলেন।

আজীবন অকৃতদার আজাচৌ বা আহমদ জামান চৌধুরী ৬ মে, ২০১৩ মারা যান। এখানে আহমদ জামান চৌধুরী আমার মূল উপজীব্য না। যেদিন আজাচৌ-এর মৃত্যুর নিউজটা দেখি, সেদিন ইন্টারনেটে আজাচৌ সম্পর্কে মঞ্জুশ্রী বিশ্বাসের স্মৃতিচারণমূলক একটা লেখা পেয়ে গেলাম। যেহেতু মঞ্জুদিদির সাথে বহুবছর আর কোনো যোগাযোগ নেই, তাই আমার এই স্মৃতিচারণ পর্বে দিদির লেখাটা হুবহু তুলে ধরলাম:
‘খোকা দা’র সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল ১৯৬৫ সালের দিকে। সেসময় সুভাষ দত্তের হাত ধরে নাটকে কাজ শুরু করি আমি। এরপর তাঁর ‘সুতরাং’ ছবিতে অভিনয় করলাম। তখন আমি ঢাকাতেই থাকা শুরু করি। সেই সময়ই একদিন চিত্রালী পত্রিকায় সম্পাদক এস এম পারভেজ আমার সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য ডাকলেন। সেখানে যাওয়ার পর আমার সাক্ষাৎকার নিলেন আহমদ জামান চৌধুরী খোকা দা। সেটাই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। এই সাক্ষাৎকারের পর এস এম পারভেজ দা এবং খোকা দা আমাদের ঘরের লোক হয়ে গেলেন। ধীরে ধীরে খোকা দা’র সঙ্গে সখ্যতা বাড়তে থাকে আমাদের।

এরপর একপর্যায়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিনোদন সাংবাদিক ফরিদউদ্দিন নীরদের। পারভেজ দা আমাদের বিয়ে দিতে চাইলেন। সেসময় ফরিদই আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরত। তো একসময় সেখান থেকেই আমার লেখালিখি শুরু। একসময়ে ফরিদ ও আমার প্রেম বিয়েতে রূপ নেয়। এভাবেই বেশ ভালো চলে যাচ্ছিল জীবন। হঠাৎ করেই একসময় এস এম পারভেজ মারা গেলেন। তার মারা যাওয়ার পর আহমদ জামান চৌধুরী খোকা দা চিত্রালীর সম্পাদক হলেন। তিনি আমাকে নিয়মিত এ পত্রিকায় লেখার জন্য বললেন। তাঁর কথামতো আমি লেখা শুরু করলাম। সিনিয়র থেকে এই সময়ের অনেকের সাক্ষাৎকার ও সংবাদ আমি করেছি। সে সময় আসলে দুধের মতো পরিষ্কার ছিল চলচ্চিত্র। বিশেষ করে আমি ও খোকা দা বাচসাসের সদস্য ছিলাম। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের সখ্যতা আরও বেড়ে ওঠে। তিনি আমার আপন বড় ভাইয়ের চেয়েও বেশি আপন হয়ে উঠলেন।
এরপর দেশ স্বাধীন হলো। তখন পান্থপথে থাকতেন খোকা দা। তিনি তখন থেকেই অনেক আধুনিক চিন্তা-চেতনার একজন মানুষ ছিলেন। চিত্রালী পত্রিকায় তাঁর আজাচৌ কলাম বেশ খ্যাতি পেয়েছিল। এক সময় আমার স্বামীর কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। তখন খোকা দা সবসময় তাঁকে দেখতে আসতেন। তিনি সবসময় সাধারণ খাবার পছন্দ করতেন। ইলিশ মাছ ভাজা, ভর্তা ছিল তাঁর অনেক প্রিয় খাবার। এদিকে আমি একটা সময় অভিনয় ও ছবি প্রযোজনা ছেড়ে দিলাম। অভিনয় ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে লেখালিখি শুরু করি। সেসময় আমি খোকা দা’র বিয়েও ঠিক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিয়েটাকে তিনি এড়িয়ে গেছেন। তিনি হয়তো কাউকে ভালবাসতেন। না পাওয়ার কষ্টটা তাঁর মাঝে ছিল সবসময়। আমরা মাঝেমধ্যেই গাড়ি দিয়ে ববিতার বাসায় গিয়ে আড্ডা দিতাম। অনেক ভালো একটা সময় পার করেছিলাম আমরা।

২০০৮-এর ৮ অক্টোবর আমার স্বামী মারা যান। ৯ অক্টোবর খোকা দা আসেন আমার বাসায়। তখন মগবাজার আমবাগানে ২৮৫/এ, রজনীগন্ধা নামের আমার বাড়িতে তিনি থাকা শুরু করেন। আসলে বড় ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিলেন খোকা দা। তাছাড়া সেই সময় তিনিও একাকীত্ব অনুভব করতেন। আমাকে নিজের ছোটবোনের মতোই দেখতেন। ২০০৭ সালের দিকে আমিও চলে আসি মগবাজারের বাড়িতে। আমি থাকতাম পাঁচতলায় আর তিনি থাকতেন দোতলায়। আমরা অনেক আড্ডা দিতাম একসঙ্গে। আমার রুই মাছ অনেক প্রিয় ছিল। কখনও রুই মাছ রান্না হলেই আমাকে ডাকতেন খোকা দা। তিনি খাওয়াতে পছন্দ করতেন।

২০০৪ সালের শেষ থেকে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আমার মগবাজারের বাড়িতেই ছিলেন। আসলে খোকা দা’কে সব সময়ই দেখতাম একা থাকতে পছন্দ করতেন। যদিও একাকীত্ব তাকে কুরে কুরে খেত। হয়তো কোনো অজানা ব্যথা লুকিয়ে ছিল তাঁর মনে। সর্বশেষ ২ তারিখ খোকা দা’র সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। একজন আহমদ জামান চৌধুরী খোকার মতো মানুষের পাশে সব সময় থাকতে পেরেছি, তাঁর কাছ থেকে বড় ভাইয়ের ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন সবার ভালবাসা আর শ্রদ্ধা পেয়ে গেছেন। অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ ছিলেন তিনি। আর তিনি ছিলেন চলচ্চিত্রের আয়না। তাঁর লেখা অসংখ্য গল্প ও গান ছিল অসাধারণ। একটা বিষয় অনেকেই জানেন না, তিনি অনেক ভালো নাচতেও পারতেন। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে বেহেশত নসিব করুন- এটাই চাই।’

এই লেখাটুকু পড়ে আমি যতভাবে পারলাম ইন্টারনেট সার্চ করলাম মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস নাম দিয়ে। দুঃখজনক যে, তার নামে আলাদা কোনো বিবরণ আমি পেলাম না। অথচ তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, গল্পকার, প্রযোজক ও বিনোদন লেখক। সত্তর ও আশির দশকে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছিলেন।
টরোন্টো থেকে ঢাকায় আমার আগমনের বিভিন্ন সময়ে আমি মঞ্জু দিদিকে অনেক খুঁজেও কোনোভাবে তার সন্ধান পাইনি। তিনি আমাদের নয়াপল্টনের বাসায় দুয়েকবার এসেছিলেন। শেষবার তিনি আমাকে হাতে ধরে নিয়ে গেলেন জোনাকি সিনেমা হলেÑসেটা সম্ভবত ১৯৭৮ বা ৭৯ সালের ঘটনা। তখন পর্যন্ত অনেক দর্শক তাকে মনে রেখেছিল। অনেকে চেঁচিয়ে বলল, ওই যে মঞ্জশ্রী বিশ্বাস।
যতটুকু জানতাম আমি, সর্বশেষ তিনি একটা পত্রিকা সম্পাদনা করতেন এবং বাচসাস নেত্রী ছিলেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ছিলেন।

অবশেষে ইন্টারনেটের বদৌলতেই আমি তার প্রয়াণ সংবাদটা দেখলাম টরোন্টোতে অবস্থান করে। ৭৭ বছর বয়সে ২১ জুলাই ২০১৯ সালে তিনি পরলোকগমন করেন।
নয়াটোলায় তার বাসায় যেতাম। অনেক ভালো ভালো খাবার দিয়ে তিনি আমাকে আপ্যায়ণ করতেন। যে মেয়েটি আমাকে খাবার বেড়ে দিত, তার নাম ছিল ছবি। দিদির আশ্রিতা একটি মেয়ে, আমার সমবয়সী। ছবি’র মতো দেখতে না হলেও মেয়েটি ছিল প্রাণচঞ্চল। অনবরত আর দ্রুত কথা বলত বাংলা ভাষার কোনো এক আঞ্চলিক শব্দে ও উচ্চারণে। গুনগুন করে গান গাইত। একহারা গড়ন আর মাথাভর্তি এলোচুলে আর শ্যামলা বরণের মেয়েটিকে আমি শেষবারের মতো নয়াটোলাতেই দেখেছি।
মেয়েটির গুনগুনানির প্রেক্ষিতে একদিন আমি একটা জলজ্যান্ত গান শুনিয়ে দিলাম। মেয়েটি অবাক হলো। ছোটোকাল থেকেই গায়েন হিসেবে আমার যৎকিঞ্চিৎ পরিচিতি ছিল। এটা ছিল আমার কৈশোরের প্রথম অর্ধ প্রেম।

আমরা মগবাজার থেকে বাসা বদলে নয়াপল্টন চলে এসেছিলাম। আমি ভুলে গিয়েছিলাম মেয়েটির কথা। আমার ভেতর থেকে গভীর প্রেমের কোনো দানা বাঁধেনি বলেই হয়তো। এর তিনটি কারণ হতে পারে: প্রথমত, মেয়েটির গেঁয়ো ভাষা, দ্বিতীয়ত, মেয়েটি ছিল অশিক্ষিত আর তৃতীয়ত, বোধহয় কল্পনায় আমি যে ধরনের কিশোরীকে লালন করতাম, তার সাথে আমি ছবিকে মেলাতে পারিনি।
দিদি মহল্লার অনেক দরিদ্রদের সাহায্য করতেন। তাদেরকেও সাহায্য করতেন যারা সিনেমার মেয়ে মানুষ বলে আড়ালে-আবডালে দিদির নিন্দা করত।
দিদির প্রকৃত নাম ছিল মাসুমা বেগম। পাকিস্তান আমলে কোনো মুসলিম মহিলা অভিনয় জগতে অভিনয় করতে গেলে অনেক বাধাবিপত্তির সম্মুখিন হতে হতো বলেই তিনি মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস নাম ধারণ করেছিলেন।
যতটুকু জানি তিনি আজিমপুর কবরস্থানে সমাধিস্থ হয়েছেন। আল্লাহ্ তাকে জান্নাতবাসী করুন, এই প্রার্থনা করি।