অনলাইন ডেস্ক : আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকমের কাছে মেসি তার নিরবতা ভেঙেছেন। উপায় নেই বলেই বার্সাই থাকছেন সেই কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।

বার্সেলোনার বিপক্ষে কখনই আদালতে যাবেন না জানিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি বলেছেন, ‘এটা আমার প্রাণের ক্লাব। আমি এই ক্লাবের বিপক্ষে কখনই আদালতে যাব না। আমি যদি জানতাম, আইনি মাধ্যমই ক্লাব ছাড়ার একমাত্র পথ তাহলে আমি বার্সাতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতাম।’

বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট মারিও বার্তামেউ কথা রাখেননি উল্লেখ করে ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে, মৌসুম শেষেই আমি ক্লাব ছাড়ার জন্য মুক্ত। প্রেসিডেন্ট সব সময় সেটাই বলেছেন, মৌসুমে শেষে আমি থাকবো কি-না সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এখন তারা বলছেন, ১০ জুনই না করে দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তখন ছিল করোনাকাল এবং মৌসুমের মাঝামাঝি। সেজন্য আমি খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’

বার্সায় থেকে যেতে হচ্ছে জানিয়ে মেসি বলেন, ‘এখন আমি বার্সার সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কারণ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ক্লাব ছাড়ার একমাত্র পথ ৭০০ মিলিয়নের রিলিজ ক্লজ শোধ করা এবং সেটা দেওয়া কারই পক্ষেই সম্ভব না। পুরো মৌসুম ধরেই আমি ক্লাব প্রেসিডেন্টকে বলে এসেছি আমি দল ছাড়বো। বুরোফ্যাক্স পাঠানোটা ছিল ক্লাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো।’

বার্সায় তার সময় শেষ। সেজন্য সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বলেছেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, বার্সায় ক্যারিয়ার শেষ করবো। কিন্তু আমি দুঃখিত। আমার মনে হয়েছে, বার্সায় এখন আরও বেশি তরুণ ফুটবলার দরকার। নতুন ফুটবলার দরকার। বার্সায় আমার সময় শেষ হয়েছে।

এছাড়া বছরটা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে। অনুশীলনে আমি বিপাকে পড়েছি, ড্রেসিং রুমে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাঠে আমার অসুবিধা হয়েছে। আমার তাই মনে হয়েছে অন্য কোথায় গিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ নেই। আমি সিদ্ধান্তটা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে হারের জন্য নেইনি। অনেক আগেই থেকে এটা ভেবে রেখেছিলাম।’

বার্সা ছাড়তে চাওয়া তার জন্য সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না বলেও উল্লেখ করেছেন এই নাম্বার টেন। তিনি শহর ছাড়ছেন শুনে তার স্ত্রী, সন্তানরা কেঁদে ফেলেছে। অনুরোধ করেছে থেকে যাওয়ার। কিন্তু মেসি তাদের বুঝিয়েছেন, এটা এখন কঠিন। থিয়াগো সবার বড় বলে টিভি থেকে সে কিছু একটা দেখেছে। বাবার কাছে জিজ্ঞেস করেছে কী হচ্ছে। কিন্তু মেসি তাকে কিছু বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন