অনলাইন ডেস্ক : ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটকারীদের আরও সুযোগ বৃদ্ধির বাজেট বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, এসএমই, গ্রামীণ অর্থনীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ব্যয় বরাদ্দের ফলে এদেশের জনগণের মাঝে সীমাহীন ‘হতাশা ও ক্ষোভের’ সৃষ্টি হয়েছে। করোনার সময়ে বীভৎস স্বাস্থ্য সংকটে পড়া মানুষের নাভিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবার বাজেট, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া কোটি কোটি অনাহারি মানুষকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ঠেলে দেয়ার বাজেট, কৃষিকে ধ্বংস করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলার বাজেট, দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার না করে আরও গভীর মন্দায় ফেলে দেয়ার বাজেট, সামষ্টিক অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার বাজেট, দেশের কর্মক্ষম বেকার মানুষকে এবং নতুন করে বেকার হওয়া মানুষকে বেকার রেখে দেয়ার বাজেট। এ বাজেট গরিব মানুষের সুবিধা কমিয়ে ধনীদের সুবিধা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধির বাজেট।
বৃহস্পতিবার উত্তরার নিজ বাসা থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিব এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, যদিও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের কারণে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতাহীন একটি একদলীয় সরকারের আচরণে কাল্পনিক সাফল্যের দিবাস্বপ্ন দেখানোর অপপ্রয়াসই স্বাভাবিক। জনগণের কাছে ন্যূনতম জবাবদিহিতাহীন, আমলাচালিত, ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট সরকারের কাছে এমন বাজেটই প্রত্যাশিত। এ বাজেট আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার বাংলাদেশকে একটি লুটেরা আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে। এ বাজেট লুটপাটকারী, ধনিকশ্রেণি ও আমলাতন্ত্রনির্ভর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে প্রস্তুত হয়েছে এবং বাজেটে তাদেরই স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে।
ব্যাংকে আমানত কমে যাচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন, ব্যাংকে ১০ লাখ টাকার ওপরে রাখলেই ৩ হাজার টাকা কর দিতে হবে। ১ কোটি টাকার ওপরে থাকলে ১৫ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হবে। এতে আমানত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।