অনলাইন ডেস্ক : স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে আনা হয়েছে। এখন তার মরদেহ লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে রয়েছে। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রানির মরদেহবাহী গাড়িবহর বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানির মরদেহ একটি সামরিক বিমানে করে লন্ডনে আনা হয়। লন্ডনের নর্থহল্ট বিমানঘাঁটিতে মরদেহ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ওই সময় রানির কফিনের সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিমানঘাঁটি থেকে বাকিংহাম প্যালেসের দূরত্ব ১৪ মাইল। পুরোটা পথের দুই ধারেই হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ গ্রহণ করেন প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি।

বাকিংহাম প্যালেস লন্ডনে রানির সরকারি আবাসস্থল ও দপ্তর। এর আগে গতকাল সোমবার এডিনবার্গের সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ।

বিমানঘাঁটি থেকে বাকিংহাম প্যালেস পর্যন্ত ১৪ মাইল পথের দুই পাশে হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বিবিসি জানিয়েছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আজ বুধবার থেকে চারদিন তার কফিনটি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হবে। সেখানে সাধারণ মানুষ রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ৫০০ জনের বেশি বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

ইতিমধ্যে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৭০ বছর সিংহাসনে ছিলেন। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলংকৃত করেছেন তিনি।