মুরশাদ সুবহানী : (পূর্ব প্রকাশের পর)
বাউল শিল্পীরা তাঁর গান গেয়ে আমাদের শুধু মুগ্ধ করেন। তাঁকে আমাদের প্রাণের মাঝে বাঁচিয়ে রাখেন।
মহাত্মা লালন সাঁইয়ের গুরু ছিলেন, সিরাজ শাহ। তিনি সিরাজ সাঁই নামেও পরিচিত। সিরাজ সাঁই সম্পর্কে সামান্য ধারণা পাওয়া যায়। কোনো কোনো গবেষক তাঁর অস্তিত্বই অস্বীকার করেছেন। তাদের মতে, সিরাজ সাঁই নামে কেউ ছিলেন না। এটা কাল্পনিক। এই লেখায় আমরা লালন শাহ, সিরাজ শাহকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন কল্প-কাহিনী, কিংবদন্তিকে এড়িয়ে যেতে চাই। কল্পনা প্রসূত বিষয় ইতিহাস এবং গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে না। এ নিয়ে কোনো ব্যক্তির জীবনী লেখা যায় না।

সিরাজ সাঁইয়ের কোনো অস্তিত্বই নেই এই মতবাদীদের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করি। লালন শাহ’র অনেক গানে সিরাজ সাঁইয়ের নাম এসেছে। এটাই প্রতিষ্ঠিত করে সিরাজ সাঁই নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি লালন শাহ’র ধর্ম পিতা ছিলেন। পাল্কী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। লালন শাহ তাঁর ঘরে প্রতিপালিত হয়েছেন।

লালন শাহ যদি তাঁর ঘরে প্রতিপালিত হন, তাহলে লালন গবেষক, কুষ্টিয়া জেলার অ্যাড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের হাফেজ মলম বসন্ত রোগে আক্রান্ত লালনকে কালিগঙ্গা নদীর ঘাট থেকে উদ্ধার করে তার গৃহে আশ্রয় দিয়ে প্রতিপালন করেন এই তথ্যের কোনো ভিত্তি থাকে না। লালন শাহকে নিয়ে গবেষণা করতে যারা গেছেন, তাদের অনেকেই লালন ও সিরাজ শাহ-এর মৃত্যুর অনেক পরে যাওয়ায় অনেক তথ্য জনশ্রুতি থেকে পেয়েছেন। সিরাজ সাঁই সম্পর্কে খুব গভীরভাবে গবেষণা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। কয়েকজন করলেও লোকের জানা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন যে তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাই করা হয়তো সম্ভব হয়নি। লালন শাহ (লালন সাঁইজী) এবং সিরাজ সাঁই দু’জনের জীবনই রহস্যাবৃত্ত। লালন শাহ নিজের সাধনায় নিমগ্ন থেকেছেন। দল নিয়ে বাউল গান করতে বেড়িয়েছেন। আবার ফিরেছেন কুষ্টিয়ায় ছেঁউরিতে নিজ আখড়ায়। মহাত্মা লালন শাহ অনেক গানেই সিরাজ সাঁইয়ের নাম উঠে এসেছে। তিনি তাঁকে গুরু হিসেবে মান্য করতেন। লালন শাহ’র একটি গান :
আশেকে গঠল বিহারী/জ্ঞানের বাতি শীঘ্র গড়ি
জ্বালাও অতি তাড়াতাড়ি?
………………….
চন্দ্রবানকে করলে সাধন/পানা দিবেন সাঁই নিরাঞ্জন
সিরাজ সাঁই কয় শোনরে লালন/সামান্যে কি হয় ফকিরি।’
মহাত্মা লালন শাহ’র অনেক গানেই সিরাজ সাঁইয়ের নাম রয়েছে। বাউল সম্রাট লালন শাহ নিজে যখন সিরাজ সাঁইয়ের অস্তিত্বের কথা বলছেন, সেক্ষেত্রে সিরাজ সাঁইয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই এ কথা আর মেনে নেওয়া যায় না।

লালন গবেষক ড. এস.এম লুৎফর রহমান অপর গবেষক জনাব মুহম্মাদ মনসুর উদ্দিনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছেন, তিনি সিরাজ সাঁইয়ের ঠিকানা জানাতে গিয়ে লিখেছেন, ‘সিরাজ শাহ নদীয়া জেলার (হরিনারায়ণপুর) গ্রামের একজন পাল্কী বাহক ছিলেন।’

আমরা জানি ভারতের নদীয়া জেলা বাংলাদেশের যশোর, কুষ্টিয়া জেলার নিকটবর্তী। মহাত্মা লালনের অপর গবেষক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য় ড. মুহম্মাদ মনসুর উদ্দিনের এই তথ্যের প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘‘তাঁর (উপেন্দ্রনাথের) বাড়ী হরিনারায়ণপুর গ্রামে। ঐ গ্রামে লালন গুরু সিরাজ সাঁই বলিয়া কোন পাল্কী বাহক ছিল- তাহা তিনি কোন দিন শোনেন নাই।’ অপরদিকে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাসিন্দা ভোলানাথ মজুমদার বলেছেন, ‘লালন গুরু সিরাজ সাঁইয়ের বাড়ী ফরিদপুর জেলার কালুখালী স্টেশনের নিকটে কোন গ্রামে।’ তিনি সুনিদির্ষ্ট করে গ্রামের নাম বলতে পারেননি।

মহাত্মা লালন সাঁইয়ের অঙ্কন করা ছবি – সংগৃহিত

বহু ভাষাবিদ, ইতিহাস-সচেতন (মরহুম) মৌলভী ওয়ালী’র ভাষ্য মতে, সিরাজ শাহ এবং লালন শাহ একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। In his language, ‘Both were born at the village Horishpur, Sub-division Jhenedah, District Jessore.’
তাঁর এই তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায়, লালন শাহের একজন একনিষ্ঠ শিষ্য দুদু শাহ’র লেখায়-
তিনি লিখেছেন, ‘কুলবাড়ী হরিশপুর সিরাজ শা’র বাস।’
পাল্কি টানিয়া করে জীবিকার অন্বাষ।’

আমরা তার্কিক বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না আর সিরাজ সাঁই আমাদের লেখার প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। সিরাজ সাঁই ছিলেন, লালন শাহ তাঁর গানে নিজেই এই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
সাধক মরমী এবং আধ্যাত্মিক তত্তে¡র বাউল লালন শাহ দেহ ও আত্মার মধ্যে যোগ সূত্র স্থাপন করার চেষ্টাই শুধু করেননি, তিনি মারফতি তত্তে¡র মধ্য দিয়ে বাতেনি তত্ত¡ জানার চেষ্টাও করেছেন। বাউল কবি লালন শাহ’র গান:-
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি/কেমনে আসে যায়/ধরতে পারলে মনবেড়ি/দিতাম পাখির পায়/আটকুঠরী নয় দরজা আঁটা/তার মধ্যে ঝরকা কাঁটা
…/ খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার/কোন বনে পালায়।
….।’
অচিন পাখি বলতে আত্মাকে বুঝানো হয়েছে। এই আত্মা কেমন বুকের মধ্যে আসে এবং চলে যায়।

মানুষের জীবন এবং মৃত্যু নিয়ে তত্ত¡ কথা। লালন বলছেন, এই আত্মাকে যদি তিনি ধরতে পারতেন তাহলে তার পায়ে বেড়ি দিতেন, যাতে আত্মা আর চলে যেতে না পারে।
কিন্তু তা কি সম্ভব? সম্ভব নয়। তাই লালন সাঁই বললেন, খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার কোন বনে পালায়। দেহ ও আত্মার মধ্যে সম্মিলন হলো, যা ক্ষণিকের। একদিন এই আত্মা চলে যাবে।অর্থাৎ মানুষ মারা যাবে। এখানে বলে রাখা ভাল শুধু মানুষ নয়, যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে।
বাউল সাধক লালন সাঁই গেয়েছেন,
আমার এ ঘর খানায় কে বিরাজ করে/আমি জনম ভরে একদিন দেখলাম না রে
লড়ে চড়ে ঈষাণ কোণে দেখতে পাই না এ নয়নে
ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ/বাঞ্ছা করি পরকে চেনা,
লালন বলে, …/আমি কি রূপ, সে কিরূপ ওরেৃৃ./আমি কি কব রে ….।’

বাউল লালন সাঁইয়ের এই গানটিও দেহ তত্তে¡র। আমি আগেই বলেছি, এলমে মারেফত হলো জানা তত্তে¡র একটি বিষয়। এই তত্তে¡র মাধ্যমে লালন সাঁই বাতেনি ভেদ তত্ত¡ জানার চেষ্টা করেছেন এবং জানাতে চেয়েছেন। তিনি বলছেন, তাঁর ঘরে অর্থাৎ দেহের মধ্যে কে বিরাজমান? এখানে সৃষ্টিকর্তার অবস্থানকেই বুঝাতে চেয়েছেন। লালন সাঁই তাঁর দেহ-ঘরে বিরাজমান সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু উপলব্ধি করছেন তাঁর অস্তিত্ব। লালনের জিজ্ঞাসা, লালন কি রূপের আর সৃষ্টিকর্তার রূপ কেমন। বাউল লালন সাঁই আর একটি গানে বললেন,
‘বেদ-বেদান্ত পড়বি যত/বাড়বে রে তোর লগনা
আপন খবর আপনার হয় না।’
এখানে লগন অর্থে লগনা বলেছেন। বেদ-বেদান্ত পড়লে বাড়বে লগনা। অর্থাৎ দৈবানুক‚ল্যে।
লালন সাঁই গাইলেন,
বাড়ির কাছে আরশী নগর/(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে/গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,/বাঞ্ছা করি দেখব তারে
ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ…
ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর/(ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,/যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-/তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।
মহাত্মা লালন সাঁইয়ের এই গানটিও মারফতি ও দেহ তত্তে¡র এই তত্তে¡র মধ্য দিয়ে তিনি বাতেনি তত্তে¡র ভেদ জানার চেষ্টা করেছেন। এটি এলমে মারেফত দর্শনের এবং মনের ভাব জগতের কাব্যগীতির মাধ্যমে তিনি আধ্যাত্মিক এক গুঢ় তত্তে¡র কথা ব্যক্ত করেছেন। লালন সাঁই বলছেন বাড়ীর কাছে আরশী নগর। সেখানে পড়শী বসত করে। এই পড়শী বলতে তিনি সৃষ্টিকর্তাকে বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু লালন শাহ একদিনও তার দেখা পাননি।‘ ক্ষণেক থাকে শূন্যের উপর ক্ষণেক ভাসে নীরে।অর্থাৎ পানিতে। ‘আয়তাল কুরশীতে’ আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের আসন সম্পর্কে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আসমান এবং পৃথিবীব্যাপী আল্লাহর কুরশী (আসন)।’ আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সর্বত্র বিরাজমান। লালন আরশী নগরের সেই পড়শী সৃষ্টিকর্তার দর্শন লাভের চেষ্টা করেছেন, তাঁর গানের মধ্য দিয়ে।

[নুহ (আ:) নবীর আমলে প্লাবনের কথা স্মরণ করে লালন শাহ গাইলেন,
‘এলাহি আলামিন গো আল্লা বাদশা আলমপানা তুমি /ডুবায়ে ভাসাইতে পার, ভাসায়ে কিনার দাও কার/রাখ মার হাত তোমার, তাইতে তোমায় ডাকি আমি।।
নুহ নামরে এক নবীরে ভাসালে অক‚ল পাথারে/আবার তারে মেহের করে আপনি লাগাও কিনারে
জাহের আছে ত্রিসংসারে আমায় দয়া কর স্বামী /নিজাম নামে বাটপার সেত, পাপেতে ডুবিয়া রইত/তার মনে সুমতি দিলে, কুমতি তার গেল চলে
আউলিয়া নাম খাতায় লিখলে জানা গেল এই রহমি /নবী না মানে যারা, মোয়াহেদ কাফের তারা
সেই মোয়াহেদ দায়মাল হবে বেহিসাব দোজখে যাবে/আবার তারা খালাস পাবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি।।

লালন শাহ নুহ (আ:) নবী সম্পর্কে বলেছেন। এটি জাহেরী তত্তে¡র একটি মারফতি গান। পবিত্র কোরআনে নুহ নবী’র প্লাবন সর্ম্পকে বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র বাইবেলেও এই বিষয়টি এসেছে একটু ভিন্নভাবে। লালনের রচনা ও সুর করা এই গানের গীতিকাব্যে যে শব্দ এসেছে, সেগুলোর অর্থ আলোচনার দাবি রাখে। এলাহী-যার কোন ইলাহ নেই, লা-শরিক। আল আমিন অর্থ-সত্য।মোয়াহেদ মানে হলো-যারা পরমে বিশ্বাস করেন না।কাফের বিস্তৃত অর্থ আছে। সহজ মানে হলো-যারা সত্যকে গোপন করে রাখে। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো- কাউকে হঠাৎ করে কাফের বলা আল্লাহ’র রাছুল(স.) নিষেধ করেছেন। এবার লালন শাহ’র এই গানের সম্যক আলোচনায় আসি- তিনি নুহ (আ:) সময়ে প্লাবনের কথা স্মরণ করেই বলেছেন, ‘এলাহি আলামিন গো আল্লা বাদশা আলমপানা তুমি।
ডুবায়ে ভাসাইতে পার, ভাসায়ে কিনার দাও কার/রাখ মার হাত তোমার,
তাইতে তোমায় ডাকি আমি।।

লালন সাঁই বলছেন, এলাহী ‘তিনি’ এই জগতের বাদশা। ইচ্ছা করলে কাউকে ডুবিয়ে দিতে পারেন, আবার দয়া করে ডুবন্ত কাউকে তুলে আনতে পারেন।এরপর তিনি নুহ নবী সম্পর্কে বলছেন, তাঁকে অক‚ল পাথারে ভাসিয়ে আবার ‘মেহের’ (দয়া) করে তাঁকে কিনারে আনা হলো। মরা, বাঁচা ‘তাঁর’ সৃষ্টিকর্তার হাতে। লালন সাঁই বলছেন, এই বিষয়টি জাহের আছে ত্রিসংসারে। সঠিক কথা, আগেই বলেছি এটা মারেফাতি তত্ত¡ (জাহেরী তত্ত¡ –যা প্রচার করা হয়েছে আমাদের জানার জন্য)। তিনি নিজাম নামে একজনকে বাটপার উল্লেখ করে বলেছেন, তাকে সুমতি দিলে সে কুপথ ত্যাগ করে সুপথে এলো এবং একজন আউলিয়া (দরবেশ) হয়ে গেলেন। এই কথাটি সবার মধ্যে প্রচারিত আছে। মোয়াহেদ এই শব্দের অর্থ হলো- যারা পরমে বিশ্বাস করেন না এবং কাফের (সত্য গোপনকারী) যারা দোজখে যাবেন। আবার সৃষ্টিকর্তা তাদের ক্ষমা করে দিলে তারা বেহশত বা স্বর্গে যাবেন। লালন সাঁইয়ের নিজের চিন্তা- ‘আবার তারা খালাস পাবে, লালন কয় মোর কি হয় জানি।।’

মহাত্মা লালন সাঁই চেষ্টা করেছেন, দেহ ও আত্মার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করার। তিনি জাহেরী তত্তে¡র মধ্য দিয়ে জানার চেষ্টা করেছেন, বাতেনী তত্ত¡ কথা। তিনি দেহ ও আত্মার মধ্যে যোগ সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। লালন সাঁই-এর দর্শন তত্তে¡র বিস্তৃত আলোচনার দাবি রাখে। এখনও তাঁকে নিয়ে গবেষণা, আলোচনা-
সমালোচনা চলছে। এখানেই মহাত্মা লালন সাঁই সার্থক এবং তাঁকে আধ্যাত্মিক তত্তে¡র বাউল গানের একজন যুগ স্রষ্টা বলে অবহিত করা যায়। আর আধ্যাত্মিক তত্ত¡ হলো একটি শৃংখলার নাম। আমরা এই লেখায় মহাত্মা লালন শাহকে বাউল গানের যুগ স্রষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করছি। তিনি একটি যুগের স্রষ্টা।
তিনি ১৭ অক্টোবর ১৮৯০, ছেঁউরিয়া, কুষ্টিয়ায় মৃত্যু বরণ করেন। বাউল যুগ স্রষ্টা মহাত্মা লালন শাহ-এর ১৩১তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।
ফ্লোরিডা, ইউএস প্রবাসী
লেখক : (শিল্প-সাহিত্যের সেবক, বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক রাইটার, অ্যাডভোকেট জজকোর্ট, পাবনা, বাংলাদেশ) ফ্লোরিডা, ইউএস প্রবাসী