অনলাইন ডেস্ক : সোমবারই ৮১ বছরে পা রাখলেন বাইডেন। বয়সকে নেহাতই সংখ্যায় পরিণত করেছেন এই নেতারা। সত্তরের পরও তারা সমান সক্রিয়। সত্তর পেরিয়েও তারা রাষ্ট্রনেতার ব্যস্ত কর্মসূচির সঙ্গে নিজেদের দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন। কারা আছেন এই তালিকায়? আসুন একবার দেখে নেয়া যাক –

জো বাইডেন: ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল দুই প্রার্থীর বয়স। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ছিল ৭৪, বাইডেনের ৭৮। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, তিনি আদৌ শারীরিকভাবে মার্কিন প্রেসিজেন্ট হওয়ার ধকল নিতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। আজ তিনি ৮১ হলেন। মাঝে মধ্যে দু-এক জায়গায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভুল বকা ছাড়া, বাইডেন দিব্যি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এমনকি, ২০২৪-এ তিনি ফের প্রার্থী হতে পারেন।

লুলা দ্য সিলভা: ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লুলা দ্য সিলভা। বোলসোনারোকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরাতে, ২০২২-এ তিনি ফের প্রার্থী হন এবং জয়ী হয়ে বর্তমানে ফের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৮।

আনওয়ার ইব্রাহিম: মালয়েশিয় সংসদে বেশ কয়েকবার বিরোধী দলনেতার আসনে বসা এবং মাহাথির মহম্মদের মন্ত্রীসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন ক্যাবিনেট পদের দায়িত্ব সামলানোর পর, ২০২২-এ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আনওয়ার ইব্রাহিম। বর্তমানে তাঁপর বয়স ৭৬।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু: পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের জেরে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের চর্চায় রয়েছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৯, ২০২১, ২০২২ – পাঁত-পাঁচবার ইজরায়েলের প্রদানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বেঞঅজামিন নেতানিয়াহু। সম্ভবত ইজরায়েলের ইতিহাসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ হলেন তিনি। বর্তমানে ৭৪ বছর বয়সে, হামাস বিরোধী যুদ্ধ এবং সেই যুদ্ধকে ঘিরে আরব দেশগুলি-সহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সামলাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

নরেন্দ্র মোদী: পরপর দুই দফায় বিপুল ভোটে দেতার পর, ২০২৪ সালে ফের ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ৭৩ বছর বয়সে তিনি ভারতের মতো বিশাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শুধু নয়, শাসক দল বিজেপির প্রধান নেতা বা দলের মুখের ভূমিকাতেও তিনি সমান সক্রিয়। প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও দলের প্রধান প্রচারক হন তিনিই।

বোলা তিনুবু: নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবুর বয়স এখন ৭১।

ভ্লাদিমির পুতিন: সেই ১৯৯৯ সাল থেকে হয় প্রধানমন্ত্রী নয়তো প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাশিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ভোট হয় ঠিকই, কিন্তু তাকে একপ্রকার একনায়কই বলা যায়। বর্তমানে তার দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। যার জেরে, পশ্চিমী দেশগুলির একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার অন্দরেও পুতিন-বিরোধী হাওয়া ক্রমে জোরাল হচ্ছে। ৭১ বছর বয়সে এই সমস্ত হাসিমুখে সামলাচ্ছেন পুতিন। তবে, পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রায়শই তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ক্যানসার, পার্কিনসনস ডিজিজ-র মতো রোগে আক্রান্ত তিনি বলে দাবি করা হয়। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বরাবরই এই সকল অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

সিরিল রামাফোসা: ২০১৮ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের পদে আছেন সিরিল রামাফোসা। ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। বর্তমানে তঁর বয়স ৭১।

শি জিনপিং: ২০১৩ সাল থেকেই চীনের প্রেসিডেন্ট তথা সর্বময় নেতা শি জিনপিং। তার আগে পর্যন্ত চীনে নিয়ম ছিল, যে কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন। কিন্তু, ২০১৮ সালে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সংবিধান সংশোধন করে নিয়মটি বদলে নিয়েছিলেন জিনপিং। ফলে এখন তিনি যতদিন খুশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন। বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর।

আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ অর্বাদোর: ২০১৮-র ডিসেম্বর থেকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে আছেন আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ অর্বাডোর। বর্তমানে তারও বয়স ৭০ বছর।