সোনা কান্তি বড়ুয়া : মনের একুশে অগ্নিগিরি জেগে ওঠে শহীদ মিনারের পাশে। হে মোর চিত্ত গণতীর্থে জাগোরে ধীরে / বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে। বাংলাদেশে রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ক্ষেত্রে বাঙালির অখন্ড সাধনা এবং এই অখন্ড সাধনার ফলেই সালাম, বরকত, রফিক, সহ অনেক নাম না জানা শহীদদের জীবন দান!
১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের ইতিহাসে জয় বাংলার শহীদ দিবস! এসো স্মরণ করি সালাম বরকত রফিক জব্বারের স্মৃতি, ভাইদের কুরবানি। ভাষা শহীদদের আন্দোলনের স্মৃতির সাগর তীরে বাংলা ভাষা এবং বাঙালির ধর্ম উদ্ভাসিত বাংলাদেশে! রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিশ্বষসঘাতক ধর্মান্ধ ইসলাম রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা! বাংলাদেশে বাংলা ভাষা বলার অধিকার কেড়ে নিতে ঢাকায় এসেছিল পাকিস্তানের কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ধর্মান্ধ পাকিস্তানের আক্রমণের শিকার বাংলাদেশের বাংলা ভাষা কেন?
বাংলাদেশে রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ক্ষেত্রে ধর্মান্ধ ইসলাম রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ-বাঙালির সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “মাতৃভাষার জন্য পাকিস্তানের বিশ্বষসঘাতক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন, তার মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিলবাংলাদেশের স্বাধীনতা! “এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র। ভাষার মাসে ভাষাকে নিয়ে নানা আয়োজন শুরু হয়। তবে শুধু ভাষা নয়, বরং জাতি হিসেবে আমাদের করণীয় প্রসঙ্গেও আলোচনা চলে। শিল্প-সাহিত্য-সংগীতসহ শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রে একুশে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে আসে। ভাষা আন্দোলনের প্রেরণাদীপ্ত বইমেলা আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির মননের প্রতীকে।
আমার দেশ আমার পরম তীর্থভূমি এবং অমর একুশের রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠত “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” আলোকিত বিশ্বের গৌরবোজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি। বিশ্বশান্তি স্থাপন করতেপৃথিবীর সর্বপ্রথম বাংলা বইয়ের নাম ‘বৌদ্ধ চর্যাপদ! একুশের আলোকে হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়। আসে ফাল্গুন লাগলো যে আগুন / শহীদের অমর বলিদানি / শহীদ দিবসে চোখে আসে পানি / এসো স্মরণ করি সত্তর বছর আগের কুরবানি। মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে / বাঙালী মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং প্রশাসকগন রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন। “পিস কমিটির ইচ্ছানুযায়ী বিবাহযোগ্য নব মুসলিম কন্যাদের একটি অংশ পিস কমিটির অনুগত যুবকদের বাড়ীতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হয় (মুনতাসীর মামুন, রাজাকারের মন, পৃষ্ঠা ৯১)।”
১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রæয়ারী সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব দলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ছাত্র আবদুল মতিন ওগাজীউল হক উভয়ই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার প্রস্তাব করলে চতুর্দিকে গগন বিদারী শ্লোগান ওঠে, ১৪৪ ধারা মানি না। ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে পাকিস্তান ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রæয়ারী বাংলা ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তান রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জয় বাংলার সালাম বরকত রফিক জব্বারসহ অনেক নাম না জানা শহীদদের হত্যা করেছিল! ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে বাংলাদেশে বাঙালি জাতির dignity respect ও মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই ছিল পাকিস্তানের বিশ্বষসঘাতক রাজনীতির ইসলাম ধর্ম! ধর্মের নামে অবিচারকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতি এক তাবদ্ধ হয়ে মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্যে প্রান দান!
বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞের ফল আল্লার গজব এবং ইউরোপের কোরআন পোড়ানোর ঘটনা! মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! ফেসবুকে কোরআন অবমাননার দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস!
আজ ইউরোপের সুইডেন, নেদারল্যান্ডের পর এবার পবিত্র কোরান পোড়ানো হলো ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে! একের পর এক কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা মুসলিম বিশ্ব। যে ইউরোপকে বলা হয় সভ্যতার মানদণ্ড, রাজনীতির নামে সে ইউরোপেই চলছে সা¤প্রদায়িক উস্কানি? (PROTHOM ALO 28 JANUARY 2023)! সত্য কখনো চাপা থাকে না! ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম! ইউরোপে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশে ১০ বছরে ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ বিচার কাজ শেষ হয়নি! রামুর বৌদ্ধপল্লী ট্র্যাজেডির ১০ বছর! কোরাআনের নামে বাংলাদেশে ধর্মান্ধতার শেষ কোথায়? আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা! আইনের শাসনে বাংলাদেশে কোরআন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই জামাতের হিংসায় উন্মত্ত সা¤প্রদায়িক রাজনীতিরআল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা! বাংলাদেশে ১০ বছরে ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞের বিচার কাজ শেষ হয়নি!
বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ মানে বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT” শীর্ষক বইটিতে পলিটিক্যাল ইসলাম পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলেন! বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? বাংলাদেশে পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT” বইটিতে মুসলমানরাজনীতির জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর! সোনা কান্তি বড়ুয়া! ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT” শীর্ষক বইটিতে দেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ মানে বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT” শীর্ষক বইটিতে পলিটিক্যাল ইসলাম পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলেন!
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই (A father made her daughter prostitute) আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও (Buddhist family life is not good) বটে। (১) Mr. Azizul Hoq Khan (২) Mr. Mahamudul Ala (৩) Mr. Bilas Mallik and (৪) Mr. Ujjal Chakraborty “লেখকগণ “Gender, Society and Development শীর্ষক বইটি লিখেছেন (For B.A (Honours) Fourth Year Social Science students in Bengali” গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত, better! বাংলাদেশে জনঅরণ্যের নরদেহধারী বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান লেখক মানুষের কি মা বোন নেই? বুদ্ধের দোষ খুঁজে বের করতে প্রথমে বুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলার সাহস পেয়েছেন? (The Bhikkhuni Council (The Enlightened Women Council), First Female Prime Minister of the World বৌদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শ্রী মাভো বন্দর নায়কে (শ্রীলংকা) এবং বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের সাবেক সভাপতি থাইল্যান্ডের রাজকুমারী পুনপিসমাই ডিসকুল সত্বে ও কোন কারনে লেখকগণ বুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলার সাহস পেয়েছেন!
পলিটিক্যাল ইসলাম পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলেন কেন? বাংলাদেশে ধর্মান্ধ রাজনীতির জামাত মৌলবাদীরা ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় পাঠ্য বইতে বলছে “অমুসলিমরা (হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান) ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম!”
আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং পাকিস্তানে জাতির নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশের বাংলা ভাষা বন্ধ করে দিল! গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেম কে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নাম বৌদ্ধ চর্যাপদ!
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে কবিতা লিখি:
হে মোর চিত্ত গণতীর্থে জাগোরে ধীরে
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে।
বাঙালীর অন্তর জগতে সালাম-জব্বার-রফিকের কবর, কল্পবৃক্ষের তলে-
পঞ্চাশটি বছর ভিজিয়ে রেখেছে কোটি নয়নের জলে।
হেথায় দাঁড়িয়ে দু’বাহু বাড়ায়ে নমি ভাষা সৈনিকদের সুর্বণ জয়ন্তি।
বাংলা ভাষার অর্ঘ্যে পরমানন্দের বন্দন করি তাঁদের নীতি বিশ্বশান্তি।
ব্রহ্মপুত্র পদ্মা মেঘনা নদ-নদী ভরা বাংলাদেশ আমার,
সুরমা কর্ণফুলির বঙ্গোপসাগর
আনন্দ বেদনা সুখ দুঃখের স্মৃতি ঘেরা এদেশ আমার।
সালাম বরকত রফিক জব্বারের ইহলোক কেড়ে নিল।
পাকিস্তানের রাক্ষুসী বুলেট রাত্রি অন্ধকার।
চলেছে শহীদদের জীবনদান যজ্ঞ, যুগ হতে যুগান্তর পানে-
শত্রæর সকল বন্ধন মাঝে ধরিয়া সাবধানে বাংলা ভাষার মশাল।
শুনিয়াছি মাতৃভাষার জন্য কত যে শহীদ অকাতরে দান করে গেল,
সাধ অহ্লাদ দুর্লভ মানব জীবন। শহীদ প্রাণ যুদ্ধক্ষেত্রে ও সহিয়াছে;
পলে পলে শক্রর আক্রমন বিষাদের জ্বালা-
নাম না জানা শহীদের অলিখিত স্মৃতিতে বিদ্যমান শহীদ মিনারে।
মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে
বাঙালী মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে।
শহীদের আত্মদান দেখিয়াছি আমি, তাই কোরবানির মর্মার্থ
বিশ্লেষণ করতে চাই না আর। অগ্নিগিরি জেগে ওঠে শহীদ মিনারের পাশে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শহীদ মিনার অভিমুখে মশাল! প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা ‘সওয়াব এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, না হলে মৃত্যু। ধর্মান্ধ মুসলমানদের নরহত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শহীদ মিনারের স্মৃতির সাগর তীরে দাঁড়িয়ে আজ আমরা সগৌরবে উচ্চারণ করি আমার লেখা কবিতা:
হে আমার বাঙালি ভাইবোন!/একুশের ডাকে আমি আত্মহারা-
আসলো নেমে দুঃখের ছায়া/বাঁচাতে বাংলা ভাষা ভাঙ্গলো শিখল-
ভাষার দেশ গড়তে আত্মবলিদান।/বাংলা বর্ণমালায় প্রাণ গাহে গান।
বাঙালীর মনে ৮ই ফাল্গুন জ্বললো/যারা আসবে না কখনো ফিরে।
জয় বাংলার স্মৃতির সাগরে শহীদ মিনার! কারণ দেশ ও ভাষা বাঙালীর কাছে নিরেট বাস্তব, অতিশয় অপরিহার্য। চর্যাপদ পাঠ এবং গবেষণার সময় মনে হবে বাংলা কেবল একটি দেশ নয়, সে একটি সভ্যতা, একটি সংস্কৃতি, একটি অপাপবিদ্ধ জীবনাদর্শ বা জীবন দর্শনের প্রতীক, যার মর্মবাণী হল বিশ্ব মানবতাবাদ “আমার এই ঘর ভাঙিয়াছে যেবা / আমি বাঁধি তার ঘর। / আপন করিতে গুরিয়ে বেড়াই,/ যে মোরে করেছে পর। (কবি জসীম উদ্দীনের লেখা)! বিশ্বসভায় বাংলা সাহিত্যের সন্মান থাকলে ও বাংলা ভাষা ও বাঙালি হত্যাযজ্ঞই কি পাকিস্তানের বিশ্বষসঘাতক মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ?
রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ক্ষেত্রে বাঙালির অখন্ড সাধনা এবং এই অখন্ড সাধনার ফলেই সালাম বরকত রফিক জব্বারের স্মৃতি, এসো স্মরণ করি ভাইদের কুরবানি। জয় বাংলার শহীদ দিবসে চোখে আসে পানি / বাংলা ভাষার জন্যে বাঙালির জীবন কুরবানি। আমার লেখা কবিতা:
অগ্নিগিরি জেগে ওঠে শহীদ মিনারের পাশে।
আটই ফাল্গুনে দেখি কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে আগুন,
যেন বাঙালী মনের অগ্নিগর্ভ।
কবি সরহপাদ বাংলাভাষা ও সাহিত্যের আদি পুরুষ চর্যাপদ যুগের!
মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে
বাঙালী মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে।
মৃত্যুর পর মৃত্যু পেরিয়ে বাঙালির ৮ই ফাল্গুন
বা একুশ প্রত্যহ বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান।
শহীদের আত্মদান দেখিয়াছি আমি, তাই কোরবানির মর্মার্থ –
বিশ্লেষণ করতে চাই না আর।
ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার বাংলাদেশে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞ কেন? জঙ্গিবাদের উত্থানে রামুর মুসলমান হয়ে বাংলাদেশে ফেইসবুকে CARTOON কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ করল ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে!
বাংলাদেশে মৌলবাদীরষ বৌদ্ধবিহার ধ্বংস করেছে এ কেমন আস্ফালন! রামুর ইসলামি জঙ্গীরা বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিতে ইসলামি ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন রচনা করেছিল! পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাংলা বইয়ের বৌদ্ধ চর্যাপদ) বিশ্ব মানবতাবাদ। মসজিদ মন্দিরে যাবার আগে / বাঙালী মন হঠাৎ করে চলে যায় শহীদ মিনারে। বিশ্বসভায় বাংলা সাহিত্যের সন্মান থাকলে ও বাংলা ভাষা ও বাঙালি হত্যাযজ্ঞই কি পাকিস্তানের বিশ্বষসঘাতক মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ? ইসলাম ধর্মের নামে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে ঢাকায় এসেছিল কায়দে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ধর্মভিত্তিক চোরাবালির রাজনৈতিক মঞ্চে ধর্মের মুখোষ পরে।
বৌদ্ধ চর্যাপদ পাঠ এবং গবেষণার সময় মনে হবে বাংলা কেবল একটি দেশ নয়, সে একটি সভ্যতা, একটি সংস্কৃতি, একটি অপাপবিদ্ধ জীবনাদর্শ বা জীবন দর্শণের প্রতীক, যার মর্মবাণী হল বিশ্ব মানবতাবাদ। পরকে আপন করে দেখা। ‘এই সব মূঢ় ম্লান মুখে দিতে হবে ভাষা, / এই সব শ্রান্ত শুস্ক-ভগ্ন বুকে ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা’ নিয়ে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন করার অধিকার ছিল! “রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি।” আজও বাঙালি বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। রক্তে কোথাও জাত ধর্ম লেখা নেই। ধর্ম মানুষের মনের মহাবস্তু এবং হিংস্র মনে “আশরাফুল মাখলুকাত” থাকে না।
পাহাড়ে ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ কায়েমের তৎপরতা (বিপ্লব রহমান, মনু ইসলাম ও তোফায়েল আহমেদ (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২ কালের কণ্ঠ)! গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া চার জঙ্গি হলো আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল্লাহ হেল কাফি (২৫), ওমর ফারুক ওরফে কাজী ফারুক (৩৩), আব্দুল মতিন (৩৭) ও রুবেল (১৮)। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, জঙ্গিদের গোপন মিশন ছিল পাহাড়ে একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। দেশের ভেতরে রাষ্ট্রদ্রোহী অপতৎপরতা চালানোর পাশাপাশি তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের পেশোয়ার হয়ে আফগানিস্তান আর সিরিয়ায়ও যেতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে আরাকান নামে নবগঠিত একটি জঙ্গি গ্রæপের ব্যানারে সংগঠিত দলের এই সদস্যরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি), বাংলাদেশের সাবেক সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিল- এমন নিশ্চিত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দেশে গত পাঁচ বছরে সংঘটিত জঙ্গি মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র আগামী ১৯ জানুয়ারি ২০২২ প্রকাশ করা হবে। শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যালয়ে গণকমিশনের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় (দৈনিক সমকাল, 02 January 2022)! শ্বেতপত্রে ২০১৬ সালে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলা থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গি মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের পাঁচ বছরের ঘটনাবলী তুলে ধরা হবে।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!