অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই মামলা চালিয়ে যাওয়ার রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক আদালত। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দেন। শনিবার (২ মার্চ) ফিলিপাইনের গণমাধ্যম এনকোয়ারার ডট নেট এ তথ্য জানিয়েছে।
রায়ে নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, তিনটি ‘কজ অব অ্যাকশনের’ আইনি ভিত্তি নেই। আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিত ক্যাপিনা, রোমুয়ালদো আগারাদো ও নেস্তর পিনেদা।
তবে নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছেন, ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে, যেমন যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেয়া। এ বিষয়ে আরসিবিসি জানিয়েছে, আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের আশায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে আসামি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ।
তবে মামলার বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারের বাইরে-এই কথা বলে আরসিবিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পাল্টা মামলা করেন এবং বাংলাদেশের করা মামলাটি খারিজের আবেদনও করেন তারা।