সোনা কান্তি বড়ুয়া : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল, “আমি হিন্দু” “আমি মুসলমান” এই কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। কিন্তু আমি মানুষ এ কথা কাহাকেও বলতে শুনি না। যারা মানুষ নয় তারা হিন্দু হোক বা তারা মুসলমান হোক, তাদের দিয়ে জগতের কোন লাভ নেই।”
দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদন মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ জন ধর্ম ব্যবসায়ীর সম্পদ ও মৌলবাদী তৎপরতায় অর্থ খরচের সঙ্গে জড়িত ১ হাজার মাদ্রাসা পরিচালনার কার্যক্রম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে কমিশন। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে (Samakal গত ২১ জুন ২০২২)! গণকমিশন সূত্র আরও জানায়, এক হাজার মাদ্রাসা ও ওয়াজকারীদের নাম শ্বেতপত্রে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। এতে সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের বেআইনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে সা¤প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে বিপুল অংকের অর্থ খরচ করছে। এতে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে!
বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ধর্মের অবমাননায় মৌলবাদী গোষ্ঠী কেন? দেশে আইনের শাসনে জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী রাজাকার, আলবদর চক্র ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বই অমুসলিম (হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান) ধর্ম নিয়ে নিয়মিতই কটূক্তি করে যাচ্ছেন! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ রাজনীতির জামাত মৌলবাদীরা ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় পাঠ্য বইতে বলছে ““অমুসলিমরা (হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান) ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম! “বাংলাদেশে মৌলবাদীরা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ধর্মের অবমাননা করেছে কেন? বাঙালি জাতির একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রহরে জামাত মৌলবাদীরা পাকিস্তানীদের বন্ধু হয়ে আত্মঘাতী ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠি ঘরের শত্রæ বিভীষণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পহেলা নম্বরের দুশমন। দেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতির সমাজে মানুষ কই, দিন দিন বাড়ছে হিন্দু-মুসলমানের সংখ্যা! কিন্তু আমি মানুষ এ কথা কাহাকেও বলতে শুনি না কেন? ভারতে ইসলাম ধর্মের অবমাননায় নরহত্যা জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার! ধর্মান্ধ মুসলমানদের নরহত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক বিষবাষ্পতে জন্ম থেকে জ্বলছি!
২০২২ সালে ভারতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা কিন্তু ২০১৭ সালে ভারত ও বাংলাদেশে আমি মানুষ: এ কথা কাহাকেও বলতে শুনি না কেন? বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য “GENDER, SOCIETY AND DEVELOPMENT“ শীর্ষক বইটিতে দেশে আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইটিতে অপরাধের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই (A father made her daughter prostitute) আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও (Buddhist family life is not good) বটে। (১) Mr. Azizul Hoq Khan (২) Mr. Mahamudul Ala (৩) Mr. Bilas Mallik and (৪) Mr. Ujjal Chakraborty “লেখকগণ “Gender, Society and Development শীর্ষক বইটি লিখেছেন (For B.A (Honours) Fourth Year Social Science students in Bengali“ গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত, নবঃঃবৎ.
দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের শ্বেতপত্র ও বাংলাদেশে হিন্দু হত্যায় মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের দুই হাজার দিন- প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড সম্বলিত শীর্ষক ২ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে (Samakal গত ২১ জুন ২০২২); বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে কমিশন। গণকমিশনের ওই শ্বেতপত্রে মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ ধর্ম ব্যবসায়ী ও মৌলবাদী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার মাদ্রাসার তালিকা রয়েছে। ওইসব ধর্ম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন! গণকমিশনের চেয়ারপারসন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত ১১ মে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর হাতে ওই শ্বেতপত্র তুলে দেন। কমিশন শ্বেতপত্রটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিমের অপর দুই সদস্য হলেন কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও মো. আহসানুল কবীর পলাশ। গণকমিশন সূত্র জানায়, তারা নয় মাস তদন্ত করে ২ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র তৈরি করেন। তাতে বহু ভুক্তভোগীর স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। জঙ্গিবাদ ছড়াতে জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করে- এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ও দুর্নীতির তথ্য দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা ১১৬ জনকে ওয়াজ ও ধর্ম ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ যারা এই গোষ্ঠীকে উস্কানি দিচ্ছেন শ্বেতপত্রে তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে ইসলাম ধর্মের অবমাননায় বাংলাদেশে হিন্দু হত্যা কেন? বাংলাদেশে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ! গত ১৮ জুন স¤প্রতি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের রাজনীতিবিদ বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে হিন্দু রাহুল দেব ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নড়াইলে মির্জাপুরে ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশে সামনে’ জুতার মালা দিয়ে চরমভাবে (হত্যা) অপমান করে করেছে (SAMAKAL ,18 June 2022)! একদল উত্তেজিত ছাত্র সেই কলেজের একজন হিন্দু ছাত্র ভারতের নূপুর শর্মার পক্ষে পোস্ট দিয়ে ইসলামধর্মের অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ জানায়। মির্জাপুরে ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বুদ্ধিমানের মতোই সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করেন। এই ফোন করাই নাকি তার অপরাধ। এই ফোন করাটাই ধর্মের অবমাননা। পুলিশে ফোন দিয়ে মির্জাপুরে ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস নাকি ঐ অভিযুক্ত ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন।
(১) স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের সামনে’ জুতার মালা দিয়ে চরমভাবে অপমান করে পিটিয়ে হত্যাকরেছে! (২) সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন! (৩) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় সরকার ও উন্মেষ রায়কে কোনঠাসা করে মানসিক দিক দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। (৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বিশ্বাসের বাড়ির জমি দখল করে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এসব ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।’ নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম সম্পর্কে সুরা আল-মায়িদার ৩২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করবারই নামান্তর।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ভাষায়
“বিধির বাঁধন কাটবে তুমি, এমন শক্তিমান–
তুমি কি এমন শক্তিমান!
আমাদের ভাঙাগড়া তোমার হাতে এমন অভিমান–
তোমাদের এমনি অভিমান\
চিরদিন টানবে পিছে, চিরদিন রাখবে নীচে–
এত বল নাই রে তোমার, সবে না সেই টান\
শাসনে যতই ঘেরো আছে বল দুর্বলেরও,
হও-না যতই বড়ো আছেন ভগবান।
আমাদের শক্তি মেরে তোরাও বাঁচবি নে রে,
বোঝা তোর ভারী হলেই ডুববে তরীখান!”
ব্যাপক সংঘর্ষ তিন হিন্দু শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে মুসলমান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। আটক করা হয়েছে রাহুল দেব অপি নামের পোস্টদাতা এক কলেজ ছাত্রকে। শনিবার সদর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক কলেজ শিক্ষকসহ অন্তত ১০ ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দা এবং ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। বিক্ষোভ, র্যালিসহ গণসংযোগে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করা হয়।
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, মামলার প্রধান আসামিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তার, প্রধান আসামি ওই ছাত্রের পলাতক পরিবারের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা, নিহত শিক্ষকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থানীয় ও বাইরের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ভেদাভেদ দূর করতে আইন প্রণয়ন এবং কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
প্রসঙ্গত: সাহিত্যিক আবুল ফজলের মতে “অবিশ্বাস্য সাধনা আর দীর্ঘ আত্মনিবিষ্ট ধ্যানে মহামানব বুদ্ধ এ মহাসত্যের উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন যে, সব প্রাণই মূল্যবান, সব প্রাণই পবিত্র। প্রাণ-হনন এক গর্হিত কর্ম। সর্ব জীবে দয়া, অহিংসা পরম ধর্ম, – এমন কথা আড়াই হাজার বছর আগে সত্যই অকল্পনীয় ছিল।” বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে লেখক গোলাম মুস্তাফা, লেখক হুমায়ুন আহমেদ এবং SEVERAL মুসলমান লেখকগণ বই লিখেছেন। দেশদ্রোহী ধর্মান্ধ মুসলমানগনের আক্রমণের শিকার রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার কেন?
মানব জাতির মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ধর্মান্ধ রাজনীতির ধর্ম! ৭১-এর পরাজিত অকৃতজ্ঞ ধর্মান্ধ শক্তি এমন এক অভিশাপ যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা ‘সওয়াব’ এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, না হলে মৃত্যু। পিস কমিটির ইচ্ছানুযায়ী বিবাহযোগ্য নব মুসলিম কন্যাদের একটি অংশ পিস কমিটির অনুগত যুবকদের বাড়ীতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হয় (মুনতাসীর মামুন, রাজাকারের মন, পৃষ্ঠা ৯১)।”
বাংলাদেশ সরকারের সদিচ্ছাতে মানবাধিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন! পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ হত্যা কেন? চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা রাখার আহ্বান! দেবাশীষ রায়ের (হিল ভয়েস, ২৭ মে ২০২২, বিশেষ প্রতিবেদক:) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিধানাবলীর ভিত্তিতে আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)-সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়। চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়। গত বুধবার (২৬ মে) রাঙ্গামাটিতে এপিবিএন আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের কাছে এই আহ্বান জানান।
স¤প্রতি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের প্রতিনিধি প্রীতিবিন্দু চাকমা, অগাস্টিনা চাকমা এবং চঞ্চনা চাকমা নিউইয়র্কে জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ২১তম অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয় ২৫শে এপ্রিল থেকে ৬ই মে পর্যন্ত। এই অধিবেশনে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের উপর বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক যে দমন-পীড়ন ও চুক্তি বিরোধী তৎপরতা চালানো হচ্ছে তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। এতে উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদী ও উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী, সেনাবাহিনী এবং ডিজিএফআইয়ের মদদপুষ্ট কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ভিডিও তৈরি করে অপপ্রচার করছে!
দেশে আইনের শাসনে হিংস্র মুসলমান জনগণ ধর্মকে ঢাল তলোয়ারের মত ব্যবহার করছে! পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত (৬ : ১০৯ এবং ২২ : ৩৮) লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো, মুসলমান না হওয়ার একমাত্র শাস্তি ছিল তাৎক্ষনিক মৃত্যু। কারন লক্ষ লক্ষ বিহারি শরনাথী এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী বাংলাদেশে জামায়তের দলে যোগদান করেছে।
হিল ভয়েস, ২৯ জুন ২০২২, ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু শিক্ষকদের একের পর এক নির্যাতন ও অপমানের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ। গত ২৭ জুন ২০২২ বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী ও সদস্য সচিব রঞ্জিত কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নিন্দা ও দাবি জানানো হয়। এছাড়া একই দিন ঢাকার শাহবাগের জাতীয় যাদুঘর চত্বরে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ সংখ্যালঘু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নির্যাতন/নিপীড়নের বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধনেরও আয়োজন করে।
“মানুষ একত্রে মানুষের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন। কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রæ নয়। বিশ্বমানবতা মুসলমান রাজনীতি এবং হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্টান ধর্মে বিরাজমান। মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের অবিদ্যার গভীর অন্ধকারে অহমিকার ক্ষুধিত বন্দী শালায় হিন্দু –বৌদ্ধ খৃষ্ঠানগণ বন্দী কেন? পাকিস্তান ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে অপব্যবহার করে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল। মানুষজাতির মনের ঘরে বসত করে বিশ্বমানবতা! “প্রত্যেকেরই জীবনধারণের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি নিরাপত্তার অধিকার” মুসলমান রাজনীতি এবং হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ধর্মে বিরাজমান। ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বই হিংসায় উন্মত্তমনের বিদ্বেষটাই জামাত মৌলবাদী ধর্মান্ধদের অধর্ম!
বাংলাদেশে জনঅরণ্যের নরদেহধারী বাঙালি “লেখকগণ মানুষের কি মা বোন নেই? বুদ্ধের দোষ খুঁজে বের করতে প্রথমে বুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলার সাহস পেয়েছেন? The Bhikkhuni Council (The Enlightened Women Council), First Female Prime Minister of the World বৌদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শ্রী মাভো বন্দর নায়কে (শ্রীলংকা) এবং বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের সাবেক সভাপতি থাইল্যান্ডের রাজকুমারী পুনপিসমাই ডিসকুল সত্বে ও কোন কারনে লেখকগণ বুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলার সাহস পেয়েছেন! বাঙালি জাতির একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রহরে ‘হুতুম প্যাঁচার নক্সায় জামাত মৌলবাদীরা পাকিস্তানীদের বন্ধু হয়ে আত্মঘাতী ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠি ঘরের শত্রæ বিভীষণ এবং মুক্তিযুদ্ধে পহেলা নম্বরের দুশমন। বাংলাদেশে মনুষ্যত্ব কি মরে গেছে?
পলিটিক্যাল ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের কারনে বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মকে খারাপ সাব্যস্ত করে ইসলাম ধর্মকে মহিমান্বিত করতে লেখক গোলাম মুস্তাফা ১৯৪০ সালে “বিশ্বনবী” নামক একটি গ্রন্থ এবং লেখক হুমায়ুন আহমেদ ‘রাবনের দেশে আমি ও আমরা’ বইটি লিখেছেন (in 2010)। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশী হত্যাযজ্ঞই কি পাকিস্তানী ইসলাম?
বাংলাদেশে গত ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের উপর হওয়া নির্যাতনের তথ্য। গত ছয় মাসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের- উপর চলা মানবতা বিরোধী কর্ম। * সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়ের ৭৯ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। * হত্যার হুমকী দেওয়া হয়েছে ৬২০ জনকে। * হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে ১৪৫ জনকে। * জখম ও আহত করা হয়েছে ১৮৩ জনকে। * নিখোঁজ হয়েছে ৩২ জন।
* চাঁদাবাজী করা হয়েছে ২৭ কোটি ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পরিবার ও মন্দির লুঠ হয়েছে ১৫৬টি। * বসতবাড়ি হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ৪৬৮টি। * অগ্নি সংযোগ হয়েছে ৩৪৩টি। * ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটছে ৯৩টি। * ভূমি দখল হয়েছে ২১৫৯ একর ৩৬ শতাংশ। * দখলের তৎপরতা ৪১৯ একর ৬৩ শতাংশ। * ঘরবাড়ি দখলের ঘটনা ঘটছে ১৭টি।
* ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল হয়েছে ২৯টি। * মন্দিরের ভূমি দখল হয়েছে ২৯টি। * বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ হয়েছে ১৩২টি পরিবার। * উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছে ৭১৭টি পরিবারকে। * উচ্ছেদর হুমকী দেওয়া হয়েছে ৮৯৪৩ পরিবারকে। * দেশত্যাগের বাধ্যকরণ করা হয়েছে ১৫৪টি পরিবারকে। * দেশত্যাগের হুমকীর শিকার করা হয়েছে ৩৮৯৭টি পরিবারকে। * নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ১১৫৪২৯টি পরিবার। * সংঘবদ্ধ হামলা হয়েছে ৫০১টি। * মন্দিরে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৫৬টি।
* প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে ৫০টি। * অপহরণ করা হয়েছে ৭৭ জনকে। * বসতবাড়ি হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে ৪৬৮টি। * অগ্নিসংযোগ হয়েছে ৩৪৩টি। * ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে ৯৩টি। * ভূমি দখল হয়েছে ২ হাজার ১৫৯ একর ৩৬ শতাংশ। * ভূমি দখলের তৎপরতা চালানো হয়েছে ৪১৯ একর ৬৩ শতাংশ। * ঘরবাড়ি দখল হয়েছে ১৭টি। * ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল হয়েছে ২৯টি। * মন্দিরের জমি দখল হয়েছে ২৯টি। * বসতবাড়ি উচ্ছেদ হয়েছে ১৩২টি। * উচ্ছেদের চেষ্টা করা হয়েছে ৭১৭টি পরিবারকে।
* উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৯৪৩টি পরিবারকে। * দেশত্যাগের বাধ্যকরণ করা হয়েছে ১৫৪টি পরিবারকে। * দেশত্যাগে হুমকির শিকার ৩ হাজার ৮৯৭টি পরিবার। * নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৯টি পরিবার। * সংঘবদ্ধ হামলা ৫০১টি।
* মন্দিরে হামলা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ৫৬টি। * প্রতিমা ভাংচুর ২১৯টি।
* প্রতিমা চুরি ৫০টি। * অপহরণ করা হয় ৭৭জনকে। * অপহরণের চেষ্টা ১৫ জনকে।
* ধর্ষণ করা হয় ১৩ জনকে। * গনধর্ষণ করা হয় ১০ জনকে। * ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৩ জনকে। * ধর্ষণের চেষ্টা ১৯ জনকে। * ধর্মান্তরিত করা হয় ৯৫ জন। * ধর্মান্তরের চেষ্টা ২১ জন।
* ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা ঘটেছে দেশে ৬৩টি। * মিথ্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার বরখাস্ত চাকুরীচ্যুত জেল জরিমানার শিকার ৯৬ জন। * পরিবারকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে ৮০২ টি।
* ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অপবিত্রকরণ করা হয়েছে ৫৭টি। * ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে ৬০টি। * ধর্মীয় নিষিদ্ধ গরুর মাংস খাইয়ে অপবিত্র করা হয়েছে ১০০ জনের বেশি জনকে।
* আলাদা আলাদা ঘটনা ঘটছে ৬৩৮টি। * ক্ষতি হয়েছে ১৫২ কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
১৯৮৮ সালে তাঁর (আইভি রহমান) সভাপতিত্বে মহিলা সমিতির জরুরি সভায় রাষ্ঠ্রধর্ম বিল পাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠ মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্তাক্ত প্রান্তরে দাঁড়িয়ে সদল বলে স্বয়ং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ঘরে ফিরে আসার পর ২০১১ সালে ‘রাষ্ঠ্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে লিখে কাল কেটে কুমীর এনেছেন। প্রসঙ্গত: ১০ই জুন ১৯৮৮, ইত্তেফাক এর প্রথম পাতায় প্রেসিডেন্ট এরশাদের ‘রাষ্ঠ্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে’ প্রকাশিত খবর ছিল, “আট দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অষ্ঠম সংশোধনী বিল এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য আসিয়াছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পাইলে আমরা এই বিল বাতিল করিয়া দিব।” মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাশরের ময়দানে মরহুমা আইভি রহমানকে (রাষ্ঠ্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রয়াত স্ত্রী) কি উত্তর দেবেন যিনি ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠ শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে শহীদ হলেন (২১শেআগষ্ঠ শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে অনেকে শহীদ হয়েছিলেন)।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The Author’s World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!