সোনা কান্তি বড়ুয়া : ধর্মান্ধ ইসলাম এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ৭১-এর পরাজিত শক্তিই হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? জয় মানবতার জয়। গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেমকে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নামগৌরবোজ্জ্বল বৌদ্ধ চর্যাপদ! বাংলাদেশে বৌদ্ধ বাংলার অতীত মুখ ফোটে মনের কথা বলতে পারেনি। বাঙালির বীরত্বের “গৌরবোজ্জ্বল চর্যাপদ” ও বৌদ্ধ পালরাজাগণ বাংলাদেশে চারশত (৮ম শতাব্দী থেকে ১১ শতাব্দী) বছর GOLDEN AGE এনলাইটেনমেন্ট রাজত্ব করেছিলেন! কিন্তু কোরআনকে তলোয়ার বানিয়ে ধর্মান্ধ মুসলমান রচিত ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার ধর্মান্ধ মহোৎসব! ধর্মান্ধ জামায়াত ও মৌলবাদীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! কক্সবাজারের রামুসহ সদর, উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধমন্দিরে সা¤প্রদায়িক হামলায় বৌদ্ধ বাংলা কেঁপে উঠেছিল! ধর্মান্ধ মুসলমানগণ বৌদ্ধ বিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করতে ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন রচনা করল বৌদ্ধ নির্যাতন ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য!
আজও বাংলাদেশে বৌদ্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করা কি অপরাধ? ২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর বার্ষিক প্রতিবেদন (January 5, 2021)! বাংলাদেশে বৌদ্ধ নির্যাতন ও বৌদ্ধগণকে মুসলমান বানানোর ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র! বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে মুসলমান রাজনীতির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র কেন? উল্লেখ্য যে, বান্দরবান জেলায় ‘উপজাতীয় মুসলিম আদর্শ সংঘ’, ‘উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা’ ও ‘উপজাতীয় আদর্শ সংঘ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি সংগঠনের নাম দিয়ে উপজাতীয় নও মুসলিম জনবসতিও গড়ে তোলা হয়েছে এবং এসব সংগঠনের মাধ্যমে জুম্মদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণের কাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমানে বান্দরবান পৌর এলাকার বাস ষ্টেশনে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ৩০ পরিবারের অধিক ত্রিপুরা ও খিয়াং এবং টাংকি পাড়ায় ১৫ পরিবারের নও ত্রিপুরা মুসলিম, লামার লাইনঝিড়িতে ১৭ পরিবারের অধিক ত্রিপুরা মুসলিম ও গয়ালমারায় ৪৫টি পরিবার, আলিকদম-থানচি সড়কের ক্রাউডং (ডিম পাহাড়) এলাকায় ১৬ পরিবার ত্রিপুরা মুসলিম, আলিকদম-থানচি সড়কের ১১ কিলো এলাকায় আরো ৪৫ পরিবারের নও মুসলিমের বসবাস রয়েছে।
ভূমি ও দেশ দখল করার নাম ধর্মান্ধ মুসলমান ধর্ম! মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই ধর্মীয় উগ্রবাদ রাজনীতির ধর্মান্ধ ইসলাম ধর্ম! ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে ১২০২ সালে বিদেশী তুর্কী সন্ত্রাসী মুসলমান বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ করে গণহত্যায় চারশত বছরের (৮ম শতাব্দী থেকে ১১ শতাব্দী) বৌদ্ধ রাজত্ব বাংলাদেশ দখল করেছিল! রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী চিটিংবাজ ধর্মান্ধ হলায়ুধ মিশ্র ও চিটিংবাজ সেটেলার ধর্মান্ধ বখতিয়ার খিলজির গোপন ষড়যন্ত্রে আমাদের চারশত বছরের বৌদ্ধ রাজত্ব ও বৌদ্ধদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ছিল! অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাংলার বৌদ্ধগণ ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। চিটিংবাজী করে, বখতিয়ার খিলজির শিকষর ধর্মান্ধ মুসলমানগণকে বহু গভীরে পৌঁছে দিয়েছে। এই চালাকি আমাদের সমাজের মানুষ আজও বুঝতে পারল না। এমনকি পথঘাট বিল্ডিং জিনিসপত্র সবকিছু তারা তাদের টপবাজদের নামে রেখেছে। মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? মুসলমানদের রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধ দেশ এবং আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল!
Mr. Ashif Ikbal writes আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ার যে ভয়াবহ চিত্র আমরা বিগত দুই যুগ থেকে দেখতে পেয়েছি, সেটা কিন্তু একদিনে হয়নি। সেসব দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের লাশ আমরা দেখেছি। দেখেছি কোটি কোটি উদ্বাস্তুর আহাজারি। ধর্মীয় উগ্রবাদকে কাজে লাগিয়েই দেশগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কোথাও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়নি। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকেও সেই পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও তাদের সহযোগী দলগুলো। তারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধির পাঁয়তারা করছে। আসুন আমরা ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ করি, এসব ধান্ধাবাজ, লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীদেরকে প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি।
মীরজাফরের সাথে ইংরাজ শাসদের চক্রান্তের মতো রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র ‘র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়! ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে ‘শেক শুভোদয়া ’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন! তিনি তাঁর রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর গোপন ষড়যন্ত্রে রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভূত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। ১২০২ সালে সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলমান বখতিয়ার খিলজির বাংলাদেশ দখল করাতে এয়োদশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো!
আমাদের বাংলাদেশ আমাদের ধর্ম!
কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দু এবং মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু বাংলার হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা (Page 50)! আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তির ধবংসযজ্ঞ কেন? ইসলামি ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় প্রাচীন বৌদ্ধ রাজ্য আফগানিস্তান (বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি), ধ্বংস ধ্বংস! আফগানিস্তানের ধর্মান্ধ মৌলবাদী মুসলমান রাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন!
রাজনীতির ভীতির কবলে বৌদ্ধজাতি! কোথায় মানবাধিকার? কোথায় আইন? গত ২৫ মে ও ৫ জুন (২০২১) দুই ধাপে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ফলাহারিয়া গ্রামের অবস্থিত জ্ঞান শরন মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিনা নোটিশে বৌদ্ধ মন্দির ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় পুলিশ উপস্থিত ছিল আর এ ঘটনার সময় রাঙ্গুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় প্রভাবশালীর ক্যাডারের হাতে আগ্নেয়অস্ত্র ছিল। প্রশাসনে সম্মুখে অবৈধ হোক আর লাইসেন্সকৃত অস্ত্র হোক প্রদর্শন করা কতটুকু আইন সিদ্ধ? জ্ঞান শরন মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারে অনাথ শিশুরা অস্ত্র দেখে ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। শিশু ও নিরস্ত্র বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সামনে অস্ত্র প্রদর্শন কতটুকু আইন বা মানবাধিকার ক্ষুন্ন করে!
ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে এয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কি সন্ত্রাসী মুসলমান বখতিয়ার খিলজি বাংলাদেশ দখল করেছিলেন। পাকিস্তানের (তক্ষশীলা), কাশ্মীর, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া দখল করে ইসলাম প্রচার করেছেন। জনতাসহ আমরা বৌদ্ধ নির্যাতন এবং বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞের বিচার চাই। মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? ১২০২ সালে সেটেলার বখতিয়ার খিলজি ও ব্রাহ্মণদের গণহত্যায় বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিল! অতীশ দীপংকরের বৌদ্ধ বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ! আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি এবং ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস যজ্ঞ বন্ধ কর। মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের leader Saudi Arabian মুসলমান রাজনীতির দাবাখেলা! অপাপবিদ্ধ শান্তিকামী বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করতে বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে মুসলমান লেখক ও রাজনীতির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র! সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলমান বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন (in 1202A. D)!
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি / তারি দু’চারিটি অশ্রæজলে আমার দেশ আমার পরম তীর্থভূমি প্রসঙ্গ! ১০৪১ সালে অতীশ দীপংকর (৯৮২ – ১০৫৪) তিব্বতে যাবার পর বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্ম রাতারাতি কোথায় হারিয়ে গেল? একাদশ শতাব্দীতে কর্নাটকের হিন্দু রাজা বিজয় সেনের বাংলাদেশ দখল করাতে বাংলাদেশী বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। বঙ্গবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ব্রাহ্মণ্য ধর্ম। পরবর্তীকালে যার নাম দেওয়া হয় হিন্দু ধর্ম। ভারত ছিল বৌদ্ধময়। এই বাংলার পাঁচ হাত মাটি খনন করলেই উঠে আসে গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্মারক।
ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ ইসলাম ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায়, আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং পাকিস্তানে জাতির নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশের বাংলা ভাষা বন্ধ করে দিল।
রাষ্ট্রধর্মের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণের জন্য দায়ী। বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনীরা পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণ করার সাহস পেয়েছেন? ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে সন্ত্রাসী, শাসকগণ পাহাড়ী মানুষগুলোকে অজগরের মতো গিলে ফেলেছে! ভারতে এবং বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ইসলাম রাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস লেখা হলে পাঠকগণ দেখবেন, তা হলোকাষ্টের চেয়ে কম বীভৎস নয়। বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করবার জন্যে ইসলামিক মৌলবাদী রাজনীতির ষড়য়ন্ত্র কেন?
সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীর দূর্ভেদ্য একুশ (২১ বীর)-এর লংগদু জোনের উদ্যোগে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মারিশ্যার চারকিলো নামক স্থানে নতুন করে কমপক্ষে ৫০০ পরিবার মুসলিম বাঙালি সেটেলার বসতি প্রদানের জঘন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাত্যাপাড়া, ঝর্ণাটিলা, হেডম্যান টিলা, ভাইবোনছড়া, সোনাই, হাজাছড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০০/২৫০ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রতি সেটেলার পরিবারকে ৩.০ একর পাহাড় ভূমি ও নগদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে। অপরদিকে সেটেলার বাঙালিরা লংগদু উপজেলাধীন ডাকঘর মোন (বড় পাহাড়) থেকে বামে লংগদু পর্যন্ত প্রায় ৫০০ একর জায়গা তাদের নামে কবুলিয়ত আছে বলে দাবি করে জুম্মদের প্রথাগত ভূমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে।
ধর্মের নামে বৌদ্ধ জনতার জান মাল লুঠ হ’ল! দেশের উক্ত বিষাদ সিন্ধুময় ঘটনার কান্না কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” শীর্ষক বইতে অব্যক্ত বেদনার ছবি হয়ে আছে। প্রসঙ্গত একদিকে যেমন মানুষের রক্তে হোলিখেলা হলো মাটির উপর তেমনি আরেক দিকে মা বোনের ইজ্জত পর্যন্ত অব্যাহতি পেলোনা ভোগ লালসা থেকে। মানুষের দরবারে অত্যাচারিতের দুঃখের দহনে করুণ রোদনভরা ফরিয়াদে বাংলার আকাশ বাতাস কেঁদে কেঁদে গুমরে উঠেছিল কেন?
বাংলাদেশে ধর্মান্ধসেনা মদদে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সেনাবাহিনীর হাতেই জিম্মি। সমতলের অনেক লোকজনই হয়তো এটা বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও – এটাই সত্যি ! পার্বত্য চট্টগ্রামে মৌলবাদী ও জুম্ম বিদ্বেষী কিছু ইসলামী গোষ্ঠী কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে আদিবাসী জুম্মদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হচ্ছে। এমনকি লেখাপড়া শেখানোর লোভ দেখিয়ে আদিবাসী ছেলেমেয়েদেরকে তাদের মাতা-পিতা থেকে নিয়ে (Like the Canadian Residential School) ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পিতা-মাতার অজান্তে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ২০২০ সালে সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে জুম্ম নারীদেরকে ফুসলিয়ে কিংবা ভালবাসার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করা এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অনেক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যার সর্বশেষ বলি হয়েছে উখিয়া উপজেলার ৭ম শ্রেণির ১৫ বছরের ছাত্রী লাকিংমে চাকমা। এই অপ্রাপ্ত কিশোরীকে জানুয়ারিতে অপরহণ করে নিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তর করে বিয়ে করার পর ডিসেম্বরে খুন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণ ও সা¤প্রদায়িক তৎপরতা:!
২০২০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর বার্ষিক প্রতিবেদন !
সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর উদ্যোগে ২০১৯ সালের শেষে মুসলিম সেটেলার, উগ্র জাতীয়তাবাদী ও উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর সকল সংগঠনগুলোর বিলুপ্ত করে ‘পার্বত্য
চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ নামে একক সংগঠন গঠন করে দেয়া হয় এবং এই সংগঠনের নেতৃত্বে সেটেলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী তৎপরতা, ভূমি বেদখল, সা¤প্রদায়িক হামলা, নারীর উপর সহিংসতা, বহিরাগত মুসলমানদের অনুপ্রবেশ ও বসতিস্থাপন, গুচ্ছগ্রাম স¤প্রসারণ ইত্যাদি তৎপরতায় উস্কে দেয়া হচ্ছে। গঠিত হওয়ার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে
রাঙ্গামাটিতে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বান্দরবানে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সভা ঘেরাও করে।
বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে মুসলমান লেখক ও রাজনীতির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র কেন? বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রাচীন মুক্তিযুদ্ধ! ১৬৬৬ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান, আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখলে নেন। মুসলমান রাজনীতির ভীতির কবলে বৌদ্ধজাতি! ১৬৬৬ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান, আরাকানীদের পরাজিত করে বৌদ্ধ চট্টগ্রাম দখলে নেন। এবং চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ রাখেন। যাই হোক, ঐ সময় ও মুঘল সাম্রাজ্য চট্টগ্রামের সমতল অংশগুলোই নিয়ন্ত্রন করতো, এবং চাকমারা তখনো পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিলেন না। বাংলাদেশের অপাপবিদ্ধ শান্তিকামী বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘটিত! ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৯টি মামলা করা হয়।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ঘটানো ও ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে নাগরিক উদ্যোগ জোরদার করা দরকার! বখতিয়ার খিলজির গণহত্যা ও বৌদ্ধগণকে মুসলমান বানষনোর মহোৎসব! ধর্মান্ধ মুসলমান আক্রমণের শিকার রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার কেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতাই আমার ধর্ম! বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাবানদের বলি হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! প্রধানত, ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কাপ্তাই বাঁধ দেবার সময় তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) গণআন্দেলন হয়নি। কারন পাহাড়ীরা মরুক, বাঙালিরা ঠিক আছে। সা¤প্রতিক রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়ার জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে বৌদ্ধগণ কেমনে রাখে আঁখি বারি চাপিয়া!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!