সোনা কান্তি বড়ুয়া : আমার দেশ আমার পরম তীর্থভূমি এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র। জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও!” লোভ দ্বেষ মোহ সহ ষড়রিপুকে জয় করার নাম জগতে ‘ধর্ম!’ পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতি “মুসলিম তার নয়নমণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’- না মেনে বাংলাদেশে বাঙালির এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের বুকে আজ ও ধর্ম অপব্যবহারের বিষাদ সিন্ধু বিরাজমান! দেশে গত পাঁচ বছরে সংঘটিত জঙ্গি মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশনের শ্বেতপত্র ১৯ জানুয়ারি ২০২২ প্রকাশ করেছে। শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যালয়ে গণকমিশনের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় (দৈনিক সমকাল, 02 January 2022)! শ্বেতপত্রে ২০১৬ সালে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলা থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গি মৌলবাদী ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের পাঁচ বছরের ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতি ইসলাম ধম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ করেছিল।

একাত্তররের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাস যৌথভাবে গত বছর এ গণকমিশন গঠন করেছিল। গণকমিশনের সভাপতি বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বলা হয়, দুই খণ্ডে প্রকাশিতব্য এই শ্বেতপত্রে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের বহুমাত্রিক কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হবে। এছাড়াও জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সা¤প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নির্বাচিত কলাম, সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করা হবে। দেশ ও ভাষা বাঙালির কাছে নিরেট বাস্তব, অতিশয় অপরিহার্য। চর্যাপদ পাঠ এবং গবেষণার সময় মনে হবে বাংলা কেবল একটি দেশ নয়, সে একটি সভ্যতা, একটি সংস্কৃতি, একটি অপাপবিদ্ধ জীবনাদর্শ বা জীবন দর্শনের প্রতীক, যার মর্মবাণী হল বিশ্ব মানবতাবাদ “আমার এই ঘর ভাঙিয়াছে যেবা / আমি বাঁধি তার ঘর। / আপন করিতে গুরিয়ে বেড়াই,/ যে মোরে করেছে পর।” (কবি জসীম উদ্দীনের লেখা)!

গত ২৪শে অক্টোবর ২০০৯ (ইং) দৃষ্ঠিপাত (সমিতি), আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি চ্যাপ্টারের উদ্যোগে ডিরি র “বাস বয়েস এন্ড পোয়েটস” রেস্তেরায় বাংলাদেশের বিশিষ্ঠ সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা শাহরিয়া কবিরের “পোট্রেইট অব জিহাদ” শীর্ষক ডকুমেন্টরিতে দেখানো হয় ‘হারকাতুল এবং বাংলাভাইয়ের’ মতো উগ্রপন্থীদের উত্স জামাত যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও আলবদর ছিল। ইসলাম ধম রাজনীতির হাতিয়ার নয় যেন! ভারত বা ভুটানের আগে তো কোন মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি। পল্লী সাহিত্যে বলে, “সুখের দিনে তোমরা, দুঃখের দিনে আমরা”?

ছবিটির বিষয় বস্তু ও প্রেক্ষাপট : ‘জামাত-যুদ্ধাপরাধীরা পাকি ফৌজিবাবাদের সুতনয় বটে। ধর্মে আলাদা আলাদা কিতাব, আলাদা নবী, আলাদা মহামানব, আলাদা ঈশ্বর! তাতে ধর্মান্ধ আলবদর চক্র রাজাকার, আমষর অসুবিধা কেন? কেন সকলকে মুসলমান বানাতে হবে? কেন সকল নবী পয়গম্বরকে ইসলামের নবী বলতে হবে? কেন সকলের ধর্মকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করতে হয়? কেউ কি তার বাড়ী জমি অন্যকে দান করে দেয়? তাহলে বেহেস্ত দেবার প্রলোভনটা কী জালিয়াতি নয়? মুসলমান ছাড়া সকলেই কাফের, কেন! আমরা কি মানুষ না আমাদেরকে ধর্মের নামে অধর্মের ভূতে-পেয়েছে!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়:
“বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি।
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে ঊর্ধমুখে নরনারী।
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহপাপ, না থাকে শোকপরিতাপ।
হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক, বিঘ্ন দাও অপসারি।।
কেন এ হিংসাদ্বেষ, কেন এ ছদ্মবেশ, কেন এ মান-অভিমান ।
বিতর’ বিতর’ প্রেম পাষাণ হৃদয়ে, জয় জয় হোক তোমারি।”

ধর্মান্ধ রাজনীতিতে ইসলাম ধর্ম অবমাননার নাম হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে ধর্মান্ধ রাজনীতি পরাজিত হয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো, মুসলমান না হওয়ার একমাত্র শাস্তি ছিল তাত্ক্ষনিক মৃত্যু। সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর ফাঁদে পা দিয়ে পুলিশ বাহিনী বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। ধর্মের অবমাননার অপরাধে সংখ্যালঘু বিদ্বেসী বই সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করেছে!
ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালে ভেদ, বিসম্বাদ পূর্ণ, হিংসায় ভরপুর ও পঙ্কিল চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “অমুসলিমরা’ মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম! বাংলাদেশে মুসলমান শ্রেষ্ঠ হলে মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু ও বৌদ্ধ নিকৃষ্ঠ হয় কেন? ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে! এবং রামুর মুসলমান (ফেইসবুকে) ‘কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিলে ও রামুর মুসলমান নেতাদের বিচার হলো না কেন?

জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়; ইহাই চিরন্তন ধর্ম! বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে জামাত, রাজাকার ও আলবদর ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধদের বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর! ধর্মঅবমাননার মিথ্যা অভিযোগে কোরআন নিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও কুমিল্লা দূর্গাপূজায় ধ্বংসযজ্ঞ করেছিল। পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত (৬ : ১০৯ এবং ২২ : ৩৮) লঙ্ঘন করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর চক্র যেখানে সেখানে পুরুষদের বস্ত্র উন্মোচন করে মুসলমানিত্ব পরীক্ষা করা হতো, মুসলমান না হওয়ার একমাত্র শাস্তি ছিল তাত্ক্ষনিক মৃত্যু।
চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রাজনীতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত এবং আমাদের হিন্দু বৌদ্ধদের স্বস্তি নেই, উথলে নয়নবারি! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজবের জের ধরে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই রামুর মুসলমান নেতাদের মৌলবাদের তান্ডব রাজনীতি নির্যাতন! এ জীবন কি যাপন করা যায়? বলো, কতদিন এভাবে চলবে? আইনের চোখে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশের পুলিশ রামুর ধর্মান্ধ মুসলমানকে গ্রেপ্তার করলো না কেন? ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধদের বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর!

‘মুসলমান হও অথবা ভারতে চলে যাও’ (PARIVARTAN (News Magazine ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ গাজীপুরে একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে হিন্দু স¤প্রদায়ের উদ্দেশ লেখা একটি চিঠি রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। চিঠিতে লেখা আছে- ‘অ্যাকসেপ্ট মুসলিম, অর গো টু ইন্ডিয়া (মুসলমান হও অথবা ভারতে চলে যাও)’। সোমবার গভীর রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার শ্রী নেপাল চন্দ্রের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও নেপালের ভাই সত্যরঞ্জন সরকার জানায়, গভীর রাতে কে বা কারা মন্দিরে প্রবেশ করে একটি মুর্তির মাথা ও হাত ভাঙচুর করে। পরে শ্রী দীলিপ মাস্টারের ঘরের দরজার সামনে একটি চিঠি রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।খবর পেয়ে কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তবে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, “ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।”

বাঙালি এনলাইটেনমেন্ট যুগে (Buddhist Pala kings from 720 A.D. TO 1131 A.D.) জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও।” ১৯২৮ সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালির আত্মপরিচয়ের খোঁজে ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুলাহ (ইংরেজীতে তাঁর পি.এইচ. ডি. থিসিসি ছিল) ‘বুড্ডিষ্ট মিষ্টিক সংস (বা বৌদ্ধ চর্যাপদ)’ শীর্ষক বই লিখেছেন এবং বলেছেন, “আমরা বলিতে পারি যে বৌদ্ধগানই (চর্যাপদ) যেমন একদিকে গজলের, তেমনি অন্যদিকে বৈষ্ণব পদাবলীর মূল উত্স। ধর্ম কে অপব্যবহার করে মানুষ পশু হয়েছে বার বার অনেকবার। ইওরোপীয়ান HISTORY, FRENCH REVOLUTION and এনলাইটেনমেন্টের আলোকে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিত নয়।

বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডের সিলেবাসে ইওরোপীয়ান এনলাইটেনমেন্টের নাতিদীর্ঘ ইতিহাস সংযোজন করা নিতান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভূমেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের রাজনীতি জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে! “টালত মোর ঘর নাঁহি পড়বেসী। হাড়ীতে ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।” এর মানে, নিজ টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নাই, অথচ নিত্য ক্ষুধিত।”

পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতি দিনের পর দিন হিন্দু এবং পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণ করেছে! ভারত দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, কোন হিন্দু এবং মুসলমান রাষ্ট্রধর্ম নয়! পাঠ্যবইতে মুক্তিযুদ্ধ নিরবে কাঁদে! মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছিল! অথচ এই ধর্ষন অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় এভাবেই অমুসলিমদেরকে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এই বিষয়টি মোটেও ভালো হয়নি। এগুলো পাল্টাতে হবে। অমুসলিমরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেছেন।

২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যেসব ভূমিকা নিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরি হওয়ার আগেই নারীর সুরক্ষা নিশ্চিতে এবারও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করেছেন। জনঅরণ্যের নরদেহধারী বাঙালি মুসলমান সমাজে পশু মানুষের কি মা বোন নেই? বাঙালি মুসলমান হত্যাযজ্ঞে পাকিস্তানের ধর্মান্ধ ইসলাম!

ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়, ইহাই বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের মত ও ইচ্ছা। হিংসা ও লোভের নাম ধর্ম নয়! মুসলমান লেখকদের আক্রমণের শিকার বৌদ্ধধর্ম কেন? সেই উগ্র মুসলমান রাজনীতি কেমন করে ভুলে গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করে আফগানিস্থান Bangladesh, India, Indonesia, Malayasia এবং পাকিস্তানের বৌদ্ধ ভূমি দখল করে নিয়েছে! মুসলমান রাজনীতির গভীর চক্রান্ত ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বখতিয়ার খিলজির মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ এবং এবং পূজনীয় বুদ্ধকে সুজাতার পায়সান্ন দান সম্বন্ধে লেখক হুমায়ুন আহমেদ কিছুই লিখলেন না। থেরীগাথা পড়ার সুযোগ পেলে লেখক বুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলে লিখতে পারতেন না। বৌদ্ধগণ কি অমানবিক পলিটিক্যাল ইসলাম ধর্মের গোলাম? আল্লাহের দরবারে ইহাই কি ইসলাম জগতের বিচার? উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গৌতমবুদ্ধকে নারী বিদ্বেষী বলে কটূক্তি করে “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বই লিখেছেন!

আমাদের জাতীয় বিবেকের জবাবদিহিতার শক্তি মরে ধর্ম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামক বিভিন্নভয় ভীতির কবলে। কারন ধর্মের অপব্যবহারের কারণে মানুষ মানুষকে কাফের ও চন্ডাল বানিয়ে হত্যা করার ঘটনায় ইতিহাস রক্তাক্ত এবং ১৯৪৬ সাল থেকে বাঙালির বুকে আজ ও ধর্ম অপব্যবহারের বিষাদ সিন্ধু বিরাজমান! বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাবানদের বলি হিন্দু বৌদ্ধ নির্যাতন! হিন্দু বৌদ্ধদের কান্না বাংলাদেশে এখন ও থামেনি! দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ! কোন রাষ্ট্রধর্ম নয়। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের প্রবেশ নিষেধ। এভাবে সাধারণের ধর্মভিত্তিক হিন্দু এবং মুসলিম আবেগ আর ভ্রান্ত ধারণাকে পুঁজি করেই চলছে হিন্দু এবং মুসলিম রাজনীতি! রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশের চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের কিছু লোক জানোয়ারের মতো হিংস্রতা রয়েছে! কোরান অবমাননার গুজব ছড়িয়ে চিটিংবাজ মুসলমান রচিত ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার মহোত্সব কেন?

বেঈমান মুসলমানগণ কোরআন নিয়ে চিটিংবাজ এই পদ্ধতি বদলানোর কি উপায় নাই? রামুর বৌদ্ধ বিহারে ২০১২ সালে ২৯শে সেপ্টেম্বর ধ্বংসযজ্ঞ ট্রাজেডি কেন? কোরআন যেন বেঈমান মুসলমান রাজনীতির হাতিয়ার না হয়! মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন মুসলমান রাষ্ঠ্র একটি টু শব্দ ও করে নি। ছিঃ মানুষের অকৃতজ্ঞতা। যুদ্ধে বাংলাদেশ, (৩০ লক্ষ নিহত) ভারত ও ভুটানের অনেক সৈন্য শহীদের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। একাত্তরের দুঃখের দিনে ১ কোটি শরনার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। একাত্তরের দুঃখের দিনে বাঙালি মুসলমানগণকে বাঁচাতে কোন মুসলমান রাষ্ঠ্র পাকিস্তানের কথা না শোনে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এসেছিল কি? হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ঠ্রদ্বয় (ভারত ও ভুটান) পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়।

বাংলাদেশে পাকিস্তান ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে অপব্যবহার করে ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা – বোনকে ধর্ষন এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল! রাজাকার শাহ মোয়াজ্জেম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করতে যুদ্ধাপরাধী ও জামাতকে নিযুক্ত করে চলে গেছে। রামুর বৌদ্ধদের ঘরে আগুন দিতে মুসলমান ফেইসবুকে রচিত পবিত্র কোরাণের উপর পদচিহ্ন কার্টুনে মুসলমানদের অন্যায় ন্যায় হল, সত্য হল অসত্য, অসত্য হল সত্য, অধর্ম যুদ্ধ হল ধর্ম যুদ্ধ! আজকের রামুর ইসলামি জঙ্গীরা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পবিত্র কোরাণ শরীফকে রাজনীতির অস্ত্রের মতো ব্যবহার করে জাতিসঙ্ঘে মানবাধিকার সনদ লঙ্ঘন করেছেন।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!