সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং কানাডার মতো বাংলাদেশের আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কি? জয় বাংলার বৌদ্ধ মহানগর এবং বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমপূরের মুন্সিগঞ্জে নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে লুকানো কেন? বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির বৌদ্ধ রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর! ১২০২ সালে বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়ে বাংলাদেশের বৌদ্ধ মহানগর এবং বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমপূরের মুন্সিগঞ্জে নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে নিমজ্জিত ছিল! ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলিম বখতিয়ার খিলজি এবং ধর্মান্ধ মুসলমানদের নরহত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! কানাডার প্রথম আদিবাসী গভর্নর জেনারেল হিসেবে শপথ নিয়েছেন (6 July 2021) ইনুয়েট স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি মেরি সায়মন। সোমবার বিস্তৃত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তিনি শপথ গ্রহণ করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। দেশটির এই পদে তিনিই প্রথম আদিবাসী। বৌদ্ধদের চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার ফিরিয়ে দেয়া যে রাষ্ট্রের কর্তব্য ও দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ভুলে গেছেন।
বৌদ্ধ বাংলাদেশ মুসলমান রাষ্ট্র হয়ে অতীশ দীপঙ্করের বিক্রমপূর মুন্সীগঞ্জ হয়েছে! দেশদ্রোহী ধর্মান্ধদের বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন! বাংলাদেশে অতীতের ধর্মান্ধ রাজনীতির ক্ষত সারানোর প্রচেষ্টার অংশে এক নদী রক্ত পেরিয়ে আদিবাসী বৌদ্ধ বা সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন কি? হিন্দু ও বৌদ্ধদের কান্না বাংলাদেশে এখনও থামেনি! বাংলাদেশে হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম হিন্দু মন্দির এবং বৌদ্ধ বিহারে ধর্মান্ধ মুসলমানগণের আক্রমণ! দেশদ্রোহী জামাতের রাজনীতি হিন্দু বৌদ্ধদের মুসলমান বানাচ্ছে! বাংলাদেশের মাটিতে আজ অতীশ দীপংকরের তপস্যা বিলুপ্ত হয়নি। বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলিম বখতিয়ার খিলজি চারশত বছরের বৌদ্ধ পাল রাজত্ব, TEN BUDDHIST UNIVERSITIES INCLUDING NALANDA BUDDHIST বিশ্ববিদ্যালয় ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অমূল্য স্বাধীনতার দ্বার ভেঙ্গে দিয়েছিল। বাংলাদেশে মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করি। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সৃষ্ট বৌদ্ধদের চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার সমস্যা সমাধান করে দিন! আমরা বৌদ্ধরা আপনার বিচক্ষণতার দিকে চেয়ে আছি।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এই দেশ অসা¤প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়েছে তারই স্বপ্ন আপনি পূরণ করতে চেষ্টা করছেন তবুও কিছু রাঙ্গুনিয়ার উগ্রবাদী, সন্ত্রাস, ধর্মান্ধরা একজন নিরিহ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে লাঞ্ছিত অপদস্ত করছে যেটা বৌদ্ধদের জন্য অন্তান্ত দুঃখজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার সহযোগিতায় রাঙ্গুনিয়া স¤প্রীতি ফিরে আসুক বুদ্ধ পুত্র শরনংকর থেরকে তাহার প্রতিষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়া জ্ঞানশরন মহারণ্য পৌঁছে দিন এবং বুদ্ধ মূর্তি যারা ভাংচুর করছে তাকে আইনের আওতায় আনুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী /মাননীয় আদালত/ মাননীয় প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন ফলাহারিয়া পুণ্যতীর্থ জ্ঞানশরণ বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধমূর্তি ও কুঠির ভাঙ্গচুর, বিহারে লুটপাটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, অবিলম্বে প্রতিষ্ঠাতা পরম পূজনীয় শরণংকর ভিক্ষু মহোদয়কে পুর্নবাসন করা হউক!
হে মহামহিম মাননীয় আদালত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! ক্ষতিগ্রস্থ ও নির্যাতিত বৌদ্ধরা এই বুদ্ধপুত্র Buddhist Monk kibsKi ভিক্ষুকে তাহার প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া জ্ঞানশরন মহারন্য বিহারটি ফিরে দেওয়ার আহ্বান করছি। বৌদ্ধদের চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার ফিরিয়ে দেয়া যে রাষ্ট্রের কর্তব্য ও দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত ভুলে গেছে। বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? আজকে বাংলাদেশ বড় বড় নেতারা কই? বুদ্ধ মূর্তি ভাঙচুর, ভান্তে উপর নির্যাতন, কেন আজকে বর্বরতা এত নিষ্ঠুরতা বৌদ্ধ সমাজের মাঝে, অমানবিক তা স্বীকার করতে হচ্ছে। এটিকে স্বাধীন দেশ নয়, সংখ্যালঘুদের কোন স্বাধীনতা নেই! বাংলাদেশে ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় এভাবেই অমুসলিমদেরকে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহী ধর্মান্ধ জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে পাহাড়ে নতুন নামে তৎপর আল-কায়েদা মতাদর্শী জঙ্গিগোষ্ঠী প্রকাশ: (প্রথম আলো, প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১ বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা)! মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি ধর্মান্ধ মুসলমান জঙ্গীদের ধর্ম? ইসলামি জঙ্গীবাদের মাফিয়াচক্রে ধর্মান্ধদের মস্তক বিক্রয় করে বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিতে রামুর ইসলামি জঙ্গীরা মুসলমান হয়ে ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন’ রচনা করে কোরআন অবনামনা করেছিল কেন? বৌদ্ধ নগরী মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে লুকানো হতাশার গ্লানি বৌদ্ধদেরকে আচ্ছাদন করে ফেলে। এর পরের জীবনটা যে, কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তা কি তারা একবারও ভেবে দেখে না? বাংলাদেশে বৌদ্ধদের মৃত্যুর পরবর্তীতেও কিন্তু একটা জীবন আছে। তারা মনে করে যে, মৃত্যুই হয়তো এ ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার উপায়। কিন্তু না এটাতো অস্থায়ী একটা সমাধান মাত্র। মরে গেলাম মানে বেঁচে গেলাম না। কারণ কারো জন্য জীবনটা থেমে থাকে না!
২৫৬৫ বছর পূর্বে গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশে বিশ্বশান্তি প্রচার করতে এসেছিলেন এবং তিনি বগুড়ার পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) ও পাহাড়পুরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করতেন। সম্রাট অশোকের আমল থেকে পাল রাজাদের আমল পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম বাঙালি জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ছিল। বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির বৌদ্ধ রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর! একাদশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক এবং বিশ্বদার্শনিকতত্তে¡র মর্মভেদী দেবদূত! জয় বাংলার বিশ্ববিজয়ী দার্শনিক অতীশ দীপংকর (৯৮২-১০৫৪ খৃষ্টাব্দ) বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন! এই প্রসঙ্গে তিব্বতি পরস্পরায় অতীশের নামে ইতিকথায় উল্লেখ্য যে আদৌ তিনি তাঁর পিতা রাজা কল্যানশ্রীর কাছ খেকে মাতৃকা মন্ত্রে দীক্ষা লাভ করেছিলেন। অতৃপ্ত জ্ঞান পিপাসা তৃপ্ত করতে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় (সুবর্ণদ্বীপে জাভার বোরোবোধুর) তাঁর কল্যানমিত্র আচার্য ধর্মকীর্তির কাছে বোধিচিত্যোৎপাদ গবেষণা ও সাধনায় রত ছিলেন। একদা স্বনামধন্য বঙ্গকবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল,
“বাঙালি অতীশ লঙ্ঘিল গিরি তুষারে ভয়ঙ্কর
জ্বালিল জ্ঞানের দীপ তিব্বতে বাঙ্গালী দীপংকর।”
একাত্তরের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এবং জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী প্রশাসকগণ রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে পাকিস্তানসহ অপব্যবহার করে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা – বোনকে ধর্ষণ এবং বুদ্বিজীবি হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু সরকার জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন! ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন বঙ্গবন্ধু সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বাংলাদেশে জামায়াত রোহিঙ্গা বিষবৃক্ষ! অন্যায়কে সহ্য করা আইনের শাসনে ঘোরতর অন্যায়। দেশদ্রোহী ধর্মান্ধদের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের উপর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড দিয়ে মানবতাকে কলঙ্কিত করেছে। স্রোতস্বিনীর বুকে পাহাড়ী জনতার অশ্রু নিয়ে কর্নফুলির কান্না এখনও থামেনি।
ধর্মান্ধ মুসলমান হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব রাঙ্গুনিয়া ফলারিয়া জ্ঞানশরণ বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধমূর্তি ভেঙ্গেছে! বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমি ও বিহার বেদখলের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ স¤প্রদায় চুপচাপ থাকতে পারে না। ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৌদ্ধ বিহারে ধর্মান্ধ মুসলমানগনের আক্রমণ! জামাত হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুসলমান বানাচ্ছে! ১৯৭২ সালের ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ গণপরিষদ গৃহীত এবং ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানসহ সর্ব ধর্মের মানুষ একত্রে মানুষের ভাইবোন আত্মীয়স্বজন। কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রæ নয়। গত ২২ জানুয়ারি ২০২১ একদল সচেতন ম্রো ছাত্র স্থানীয় এনজিওকর্মী ও সমাজকর্মীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারের ‘ঈদগাহ উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংঘ’ নামক এক প্রতিষ্ঠান থেকে এই শিশুদের উদ্ধার করে। হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ট্রদ্বয় (ভারত ও ভুটান) WITH gyw³ JODDHA পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়।
মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ছিল! অথচ এই ধর্ষণ অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেছেন। রাষ্ট্রদ্রোহী ধর্মান্ধ জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে পাহাড়ে নতুন নামে তৎপর আল-কায়েদা মতাদর্শী জঙ্গিগোষ্ঠী (প্রথম আলো, প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১ বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা)!
বঙ্গকবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল,
‘আমাদের ছেলে বিজয়সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়,
সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্য্যের পরিচয়’।
বাঙালির আত্মপরিচয়ের খোঁজে ঐতিহাসিক উৎস নিরুপণ করতে ১৯২৮ সালে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে পন্ডিত ও ভাষাতত্ত¡বিদ ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুলাহ (ইংরেজীতে তাঁর পি.এইচ. ডি. থিসিসি ছিল) ‘বুড্ডিষ্ট মিষ্টিক সংস (বা বৌদ্ধ চর্যাপদ)’ শীর্ষক বই লিখেছেন! এবং ধর্মের গোড়ামি ত্যাগ করে ঐতিহাসিক উৎস নিরুপণ করতে গিয়ে ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুলাহ বলেছেন, “আমরা বলিতে পারি যে বৌদ্ধগানই (চর্যাপদ) যেমন একদিকে গজলের, তেমনি অন্যদিকে বৈষ্ণব পদাবলীর মূল উৎস। বৌদ্ধগানের “শূন্যতা বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধা হয়েছে!”
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঝোপপুর গ্রামে সন্ধান মিলেছে নতুন একটি বৌদ্ধবিহারের। এখানকার উঁচু ঢিবি খনন করে পাওয়া গেল বৌদ্ধ বিহারটির সন্ধান। এই ঢিবি নিয়ে নানা কল্প কাহিনী প্রচলিত ছিল এতকাল। ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তহুবার মন্ডল বলেছেন “আগে আমরা জানতাম এটি মথুরা পীর সাহেবের জায়গা। প্রতিবছর বৈশাখের সময় এখানে সিন্নি করা হয়। ঢিবির সামনেই ২০/২২ বছর আগে একটি মসজিদ নির্মান করা হয়েছে। এখন বৃষ্টির সময়ে সেখানে খননকৃত স্থানগুলো উন্মুক্ত নেই। তাও অল্প কিছু জায়গা ও ইটের টুকরো দেখতে পেলাম।
বৌদ্ধবিহারটির নির্মাণকাল ধরা হচ্ছে আনুমানিক পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দী সময়কাল। এ পর্যন্ত খনন করে বিহারটি থেকে মৃৎপাত্র, বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ, পাথরের টুকরো, ও প্রাচীন হাড়ের মতো প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। বর্গাকার এই বৌদ্ধবিহারে নয়টি বৌদ্ধভিক্ষু কক্ষ, কেন্দ্রীয় উপাসনালয় ও বাহির অঙ্গনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং প্রত্নতত্ত¡ অধিদপ্তরের অর্থায়নে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত¡ বিভাগের একদল গবেষক এর খননকাজ শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ে নতুন নামে তৎপর আল-কায়েদা মতাদর্শী জঙ্গিগোষ্ঠী (প্রথম আলো, প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১ বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা)! পাহাড়ে নতুন নামে উগ্রপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে আল-কায়েদা মতাদর্শী একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই মুসলমান জঙ্গীদের ইসলাম! ধর্মান্ধ মুসলমান জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ধর্মকে অপব্যবহার করে মানুষ পশু হয়েছে এবং ২০১২ সালে ২৯শে সেপ্টেম্বর রামুর ইসলামি জঙ্গীরা মুসলমান হয়ে ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন’ রচনা করেছে বৌদ্ধ বিহারে আগুন দিতে!
এই গোষ্ঠী দাওয়াতুল ইসলাম নামের একটি সংগঠনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি কাজ চালাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত একাধিক সূত্র জানায়, দাওয়াতুল ইসলাম নামের সংগঠনের আড়ালে পার্বত্য এলাকায় এই উগ্রবাদী কার্যক্রমের নেতৃত্বে আছেন মাহমুদুল হাসান গুনবী। তিনি বান্দরবানের লামা ও খাগড়াছড়িতে দুটি জঙ্গি আস্তানাও গড়ে তুলেছেন। সেখানে এই গোষ্ঠী ২০ থেকে ২৫ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে।
জঙ্গি কার্যক্রমে গোয়েন্দা নজরদারিতে যুক্ত একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, উগ্রবাদী ওয়াজের জন্য পরিচিত মাহমুদুল হাসান গুনবী বর্তমানে আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা। তবে তিনি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন, দাওয়াতুল ইসলাম নামের একটি সংগঠনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এই সংগঠনের কার্যক্রমের নামে পার্বত্য অঞ্চলে এবং উত্তরবঙ্গে চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম ও উগ্র মতাদর্শ প্রচার করে আসছেন। আনসার আল ইসলাম নিজেদের আল–কায়েদার ভারত উপমহাদেশের (একিউআইএস) শাখা দাবি করে থাকে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, মাহমুদুল হাসান গুনবী ‘মানহাজি’ নামক একটি উগ্রবাদী গ্রুপের মুখ্য ব্যক্তি হিসেবেও কাজ করছেন। তিনিসহ তিনজন এই গ্রুপের অন্যতম দায়িত্বশীল। বাকি দুজন হলেন মাওলানা হারুন ইজহার ও আলী হাসান ওসামা। এই দুজন গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। এই মানহাজি গ্রুপও হেফাজতে ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গোপনে তৎপর রয়েছে। মানহাজি গ্রুপও আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণ করে এবং হেফাজতে ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সংগঠিত হয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পেরেছে।
মাহমুদুল হাসান গুনবীও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে সখ্য রেখে এই সংগঠনকেও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হেফাজতের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে গুনবীর ছবি দেখা গেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাহমুদুল হাসান গুনবী হেফাজতের কোনো কমিটি বা পদে নেই। তাঁর বিভিন্ন বয়ানে এনজিওবিরোধী বক্তব্য থাকে, বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায়। স¤প্রতি বান্দরবানে ওমর ফারুক নামে একজন নও–মুসলিম খুন হয়েছেন। সেই ওমর ফারুকও মাহমুদুল হাসান গুনবীর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে শুনেছি।’
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত সূত্রগুলো বলছে, দাওয়াতুল ইসলামের বর্তমান আমির মাহমুদুল হাসান গুনবী। সংগঠনটির এর আগে আমির ছিলেন মাওলানা নাজিমুদ্দিন। তিনি জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। দাওয়াতুল ইসলামের সদস্য সাইফুল ইসলাম, আবদুল হামিদ, আনিছুর রহমান ও হাসান এর আগে জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গুনবীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাওলানা আলী হাসান ওরফে ওসামাকে গত মে মাসে রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জাতীয় সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আলী হাসান ওসামার সঙ্গে আনসার আল ইসলামের আরও কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মাহমুদুল হাসান গুনবীর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য সামনে আসে। সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় গুনবীকে পলাতক আসামি হিসেবে দেখানো হয়। গত মে মাসে ওই মামলার পর গুনবী আত্মগোপনে চলে যান। খাগড়াছড়ির গহিন পাহাড়ে আত্মগোপনে আছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুনবীকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক দফা পাহাড়ে অভিযানও চালায়।
দাওয়াতুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান গুনবীর বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে দাওয়াতুল ইসলামের নাম বলেছে। সংগঠনটি উগ্রবাদী কার্যক্রমে যুক্ত বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গুনবী সম্পর্কেও আমাদের কাছে কিছু গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তিনি উগ্রবাদী বক্তব্য ও শিক্ষা দেওয়ার নামে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে গ্রেপ্তার হওয়া আনসার আল ইসলামের কিছু জঙ্গির কাছ থেকেও তথ্য পেয়েছি। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী ও সংস্থার মতো আমরাও তাঁকে খুঁজছি।’
গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেম কে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নাম বৌদ্ধ চর্যাপদ ! কোরাণের উপর পদচিহ্ন কে বৌদ্ধদের (U.Barua) নাম করার গভীর যড়যন্ত্র ও বিগত ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে ২৫ হাজার জঙ্গী রামু সহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বসতিতে আগুন দিয়ে পরম পূজনীয় বুদ্ধমূর্তি এবং বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসযজ্ঞে তান্ডব দাহন করেছে। বাংলাদেশে পাহাড়ী জুহ্মষ বৌদ্ধ হয়ে জন্ম গ্রহন করা কি অপরাধ? অসহায় গরীব জনতার বিবেকের শক্তি মরে মুসলমান ধর্ম নামক নামক ভীতির কবলে! বাংলাদেশী পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণ কি ইসলাম ধর্ম? ধর্মান্ধ মুসলমান স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণের জন্য দায়ী। বাংলাদেশে গৌরবোজ্জ্বল প্রতিরক্ষা বাহিনীরা পাহাড়ী মেয়েদেরকে ধর্ষণ করার সাহস পেয়েছেন? ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে সন্ত্রাসী,শাসকগণ পাহাড়ী মানুষগুলোকে অজগরের মতো গিলে ফেলেছে !
লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!