অনলাইন ডেস্ক : ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণী ঈশিতা আজাদ আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। ঈশিতা আজাদ প্রথম বাংলাদেশি, যিনি ব্রিটেনের শিল্প-সংস্কৃতি খাতের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান আর্ট কাউন্সিল ইংল্যান্ডের সহায়তায় পরিচালিত এ ফেলোশিপ পেলেন।

ব্রিটেনের বিভিন্ন শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা সংগঠন থেকে মোট ১০ জনকে এবার দেওয়া হয়েছে আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপ। ব্রিটিশ বাংলাদেশি পোয়েট্রি কালেক্টিভ (বিবিপিসি) থেকে নিজের দক্ষতার গুণে এ সুযোগ পেলেন ঈশিতা আজাদ। ফেলোশিপের আওতায় তিনি এক বছরের বিশেষ কার্যক্রমে অংশ নেবেন। যার মাধ্যমে তিনি নিজের কিংবা বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহে স্বীয় দক্ষতাকে কীভাবে কাজে লাগাবেন, সে বিষয়ে ধারণা লাভ করবেন।

ঈশিতা আজাদ কর্মজীবনে একজন সফল ক্যারিয়ারের অধিকারী। তিনি এর আগে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বিবিসি মিডিয়া ট্রাস্ট, ব্রিটিশ কাউন্সিল, এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ভি অ্যান্ড ইউ বিজনেস মিডিয়াতে। এ ছাড়া টেলিভিশন উপস্থাপক, নাট্য কর্মশালাসহ ব্রিটেন, বাংলাদেশে তিনি কবিতাবিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। তাঁর এসব দক্ষতা বিবেচনায় আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপ লাভের গৌরব অর্জন করলেন।

আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপের পরিচালক মিশেল রাইট বলেছেন, ‘আমাদের ফেলোশিপ অর্জনকারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবেন এবং নিজের দক্ষতা দিয়ে ভবিষ্যতে তহবিল সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’

আর্ট কাউন্সিল ইংল্যান্ডের ফিলানথ্রপির পরিচালক ক্লেয়ার টিটলি বলেছেন, চলমান সংকটের মধ্যে নতুন ফেলোরা তাঁদের মেধা ও মনন দ্বারা তহবিল সংগ্রহের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন এবং তার মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করবেন।

ঈশিতা আজাদ বলেছেন, তহবিল সংগ্রহে তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলে সাত বছর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপেও তিনি দায়িত্বশীল পদে নিয়োজিত ছিলেন। ফলে আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপ তাকে ব্রিটেনে তহবিল সংগ্রহের কলা-কৌশল আয়ত্তে সহায়তা করবে, যা দিয়ে তিনি নিজের দক্ষতাকে আরও বেশি শাণিত করে আগামী দিনে কমিউনিটির শিল্প-সংস্কৃতিচর্চার গতি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবেন বলে আশা পোষণ করেন।

ঈশিতা আজাদের এই গৌরব অর্জনের খবরে ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন শিল্প-সাহিত্যবিষয়ক সংগঠন অভিনন্দন জানিয়েছে। সংগঠনগুলোর নেতারা বলেছেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ ধরনের দক্ষতাসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। তাহলে এই বিলেতে বাংলা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।

উল্লেখ্য, আর্ট ফান্ডরাইজিং অ্যান্ড ফিলানথ্রপি ফেলোশিপ এবার সপ্তম বছরে পদার্পণ করেছে। এর আগে আরও ৭৫ জনকে এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। তবে কোনো বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম এ সুযোগ পেলেন ঈশিতা আজাদ। বিজ্ঞপ্তি