অনলাইন ডেস্ক : বন উজাড় রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটিতে নিয়োজিত কানাডার রাষ্ট্রদূত। নতুন ওই নীতির মাধ্যমে ইইউ বন উজাড়ের সঙ্গে যুক্ত পণ্যের বাণিজ্য সীমিত করার চেষ্টা করছে। ইইউতে কানাডার রাষ্ট্রদূত আইলিশ ক্যাম্পবেল এক চিঠিতে লেখেন, নীতিতে ‘কঠিন’ কিছু বিষয় আবশ্যিক করা হয়েছে। এটি কানাডা ও ইইউর মধ্যে বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বন সংরক্ষণ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কানাডার বিরোধকে ‘আশ্চর্যজনক’ হিসেবে দেখছেন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করা আন্দোলনকর্মীরা। চিঠিতে দেখা যায়, কানাডার রাষ্ট্রদূত আইলিশ ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘কানাডা প্রস্তাবিত বন উজাড়বিরোধী নীতির উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে। তবে এই নীতির কিছু অংশ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, যেগুলো কানাডার রপ্তানি বাজারে বাধা তৈরি করবে।’
রাষ্ট্রদূত ইইউয়ের নীতির কিছু অংশ পরিমার্জনের আহ্বান জানান। বিশেষ করে বন ‘অবক্ষয়’ বিষয়টিকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করার কথা বলেন তিনি। কানাডায় ব্যাপকভাবে বন অবক্ষয় দেখা যায় বলে মনে করেন পরিবেশকর্মীরা। বন উজাড় বলতে বোঝানো হয় কোনো বনের স্থায়ী ক্ষতি করা। যেমন- বন পরিষ্কার করে কফি বা সয়াবিনের মতো ফসল চাষ করা। ইইউর প্রস্তাবিত নীতি বন উজাড় রোধের পাশাপাশি বনের অবক্ষয়ও নিশ্চিত করতে চাইছে। এতে বনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে চাওয়া হচ্ছে।
বনের অবক্ষয় জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ুর মতো বিষয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কানাডার এমন চিঠিকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন পরিবেশবাদীরা।
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কানাডার কর্মকাণ্ড পরিবেশবিদদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। গত মার্চে ৯০ জনের বেশি বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডোর কাছে খোলা চিঠি লিখে পুরনো বনে শিল্পায়নের হার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। খবর : দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি।