সোনা কান্তি বড়ুয়া : আজ বাংলাদেশে জনতা একটি বিপন্ন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে সংগঠনের বিচার আমরা অনেক আগে থেকে চেয়ে আসছি। বাংলাদেশে হিংসায় উন্মত্ত রাজনীতিতে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে! মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত ধর্মান্ধ দেশদ্রোহী শক্তি এবং বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে! ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সেনা প্রশাসকগন জানোয়ারের মতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন? ধর্মীয় রসের ধর্মান্ধ হাঁড়িতে রাজনীতিকে মজাদার করতে দেশদ্রোহীদের রাজনীতির ষড়যন্ত্র আজ বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে!
বাংলাদেশে বৌদ্ধ দর্শনের মূল বাণী বাংলাদেশ “বহুজন হিতায় বহুজন সুখায়” আপ্ত বাক্যটি গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে সব ধরনের পথ-পদ্ধতি-মাধ্যম ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট সপরিবারে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি কেন? বাঙালি জাতির পিতা বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন জানোয়ারের মতো হিংস্রতায় সেনা নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা বাংলাদেশে এক অভ‚তপূর্ব রক্তাক্ত বিষাদ সিন্ধু। বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন বঙ্গবন্ধুকে কাফনের ভালো কাপড় দিল না! এবং ৩ নভেম্বর জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ‘৭৫ এর হাতিয়ার’ বলতে মূলত এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার কুশীলবদেরই বোঝানো হয়।
বঙ্গবন্ধু কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলেন? জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির (বর্তমানে প্রয়াত) গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার দলকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ঐতিহাসিক এ রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের অকৃতজ্ঞ সামরিক প্রশাসকগণ রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামরিক প্রশাসকগন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির এতো ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র ছিল কেন? জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মী এবং প্রশাসকগন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন এবং উগ্র জামায়াতে ইসলামী দলটির নেতাকর্মীদের বিচার না হলে তাদের ঔদ্ধত্য বাঙালি জাতিকে নষ্ট করে দেবে! বাংলাদেশে জাতির পিতৃ হত্যা ও বাহাত্তরের সংবিধান হত্যা মহাপাপ! বাংলাদেশের জন্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন!
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় আলবদরের নেতৃত্বে, যে সংগঠনটি তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের (বর্তমানে ছাত্রশিবির) নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি। দীর্ঘদিন পর হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার বিচারের রায় ও তা কার্যকর হয়েছে। অনেকের বিচারকাজ চলছে। কিন্তু আইন সংশোধন না হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতাকারী এবং গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশক জামায়াত, তাদের সহযোগী ‘আল বদর’, ‘আল শামসের’ মতো সংগঠনের বিচার শুরুর উদ্যোগ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কারণ ২০১৩ সালে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংশোধনী আনার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি।
আওয়ামি লীগ (9 June 2022) reported “৭৫-এর হাতিয়ার: স্লোগান নয়, জাতীয় হুমকি! ৭৫-এর হাতিয়ার বলতে মূলত রাজনৈতিক কিছুই নয়, বরং খুন-হত্যা ও নাশকতার ভয় দেখানো হয় শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতিকে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা, জাতীয় নেতাদের বর্বরভাবে বন্দি অবস্থায় খুন করা এবং সেনাবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশবিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বিএনপি। এসব ভয়াল ঘটনার কথা জাতিকে মনে করিয়ে দিয়ে, নতুন করে হিংস্র ঘটনা বা নাশকতা ঘটানোর হুমকি দেওয়া হয় এই স্লোগানের মাধ্যমে।
‘৭১ এর হাতিয়ার’ বলতে দেশের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের মতো করে জেগে ওঠার বা জাতীয় জাগরণের যে বার্তা দেওয়া হয় তরুণ প্রজন্মকে, ঠিক তার বিপরীত কিছু বোঝাতেই ‘৭৫-এর হাতিয়ার’ টার্মটি চালু করেছিল দেশদ্রোহীরা। ৭১ এর হাতিয়ার বলতে আমরা যেমন বুঝি- আক্রমণকারী পাকিস্তানি জান্তাদের মতো শক্তিশালী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও বীর বাঙালি বিজয় লাভ করতে পারে, ৭১ এর হাতিয়ার অর্থ অদম্য ও অজেয় বাঙালির স্বরূপ তুলে ধরা। তেমনি ৭৫ এর হাতিয়ার বলতে বোঝানো হয়- ষড়যন্ত্র, খুন, নাশকতা; দেশপ্রমিক সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার মাধ্যমে দেশজুড়ে ত্রাস চালানো, দেশের মানুষকে দাসের মতো জিম্মি করে রাখার স্বরূপই ভেসে ওঠে এই পঙ্কিল শব্দগুলোর শব্দ কানে ভেসে এলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি ও ছাত্রদল কর্তৃক কটূক্তিএবং হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ (ITTEFAQ JUNE 05, 2022)! ৭৫-এর পুনরাবৃত্তির চিন্তা মাথায় আনলে প্রতিহত করা হবে: শেখ পরশ! রবিবার (৫ জুন) বিকেলে শরীয়তপুর সদরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং দলের সকল সহযোগী সংগঠনের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: শরীয়তপুরে বিক্ষোভ মিছিল! বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা। আওয়ামী লীগ- যুবলীগ- ছাত্রলীগ মাঠে থাকতে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হবে না। বাংলাদেশের এই অর্জনকে নস্যাৎ ও উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে স্বাধীনতাবিরোধী এবং দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র বিএনপি-জামায়াত জোট প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বারবার।
বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে: নানক!
এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসাইন ফকির, পৌরসভা আওয়ামী লীগের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুমন পাহাড়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হোসেন সরদার, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারী, সাধারণ সম্পাদক খোকন বেপারী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শিকদার, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহান, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন প্রমুখসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী প্রথাগত আচার- অনুষ্ঠান বিবর্জিত বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সভ্যতার চর্চায় মাটির প্রদীপ তুল্য আলোর বিকিরণ ছড়াতে আহবান করেন। বাংলাদেশে জামায়াতের মৌলবাদের অর্থনীতি ধারণার প্রবর্তক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ “বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জঙ্গিবাদ” ‘মর্মার্থ ও করণীয়’-এ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি প্রকাশ করে! জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গণসচেতনার ওপর জোর দিয়েছেন ড. বারকাত। তিনি বলেন, গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে সব ধরনের পথ-পদ্ধতি-মাধ্যম ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে সঙ্গত কারণে জুমার নামাজ হয় এমন মসজিদে জুমার খুতবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪০টি জামে-মসজিদে গড়ে প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৬৪ লাখ মুসল্লি, যারা আবার বাড়িতে ফিরে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
২০১৩ সালের আগস্টে ধর্মান্ধ দেশদ্রোহী জামায়াতের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয়া হয়। এতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ আনে তদন্ত সংস্থা। এরপর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের সমন্বয়ে একটি আইনজীবী প্যানেলও গঠন করা হয়। তারা প্রতিবেদন পরীক্ষা করে অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিলের প্রস্তুতি নিলে সরকারের তরফে জানানো হয়, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংগঠনের বিচার ও শাস্তির বিধান নেই। পরে ওই বছরই মানবতাবিরোধী অপরাধী সংগঠনের শাস্তির বিধান যুক্ত করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় আইন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে এ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ‘ব্যক্তি’ শব্দটির পরে ‘অথবা সংগঠন’, ‘দায়’ শব্দের পরে ‘অথবা সাংগঠনিক দায়’, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির’ পরে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠন’ যুক্ত করা হয়। এছাড়া বিচারে সংগঠনের দোষ প্রমাণিত হলে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান রাখা হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক বলেন, সংগঠনের শাস্তি কী হবে, সেটা আইনে স্পষ্ট না থাকায় রিপোর্টটিকে চার্জ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করা হয়নি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। ব্যক্তির দায় সংগঠন এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সংগ ঠনের সেই সময়ে যে সব অঙ্গসংগঠন বা যে সব ব্যক্তি জড়িত ছিলেন, তাদের সবারই বিচার হয়। তাদের সবার ওপরই এ অপরাধের দায় চলে আসে। জঙ্গিবাদ, সা¤প্রদায়িকতাকে সমূলে উৎপাটন ও দলটির স্বরূপ উদ্ঘাটনের জন্য রিপোর্টটির অবিলম্বে যথাযথ নিরীক্ষণপূর্বক এই বিচারটি প্রকাশ্য আদালতে করার দাবি জানান সানাউল হক। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সানাউল হক।
একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল আট বছরের বেশি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে হাইকোর্টের ওই রায়, গোলাম আযমের রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ ও সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদই যথেষ্ট।
আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন (সমকাল: 17 JUNE 2023)! তাদের শিকড় অনেক গভীরে গ্রোথিত। দলটির শীর্ষসহ বড় বড় নেতাকে হত্যার পরও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এমনকি তারা ইতোমধ্যে তিনবার একটানা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। কিন্তু বিএনপির অবস্থা ভিন্ন। সমকাল: : কোন অর্থে ভিন্ন বলছেন? আবদুল মান্নান: এক তো বললাম সাংগঠনিক দিক। আরেকটি যেমন, বিদেশমুখী তৎপরতার কথাই চিন্তা করুন। এর আগে আমরা দেখেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
র্যাবের মতো একটি বাহিনী, যারা দেশে জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষ ভ‚মিকা রেখেছে, তাদের কেন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হলো।
এখানে কি বিএনপির ভ‚মিকা নেই? আবার দেখুন, একসময় যে আমেরিকা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ছিল; এখন তাদের অগ্রাধিকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন তাদের নজর- চীন ঠেকাও।
সমকাল: আওয়ামী লীগও তো বিদেশিদের কাছে বিএনপির বিরুদ্ধে নালিশ দিয়েছিল। অতীতে জঙ্গিবাদ, সা¤প্রদায়িকতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষী-সাবুদ হাজির করেছিল দলটি।
আবদুল মান্নান: এগুলো সংবেদনশীল বিষয়। যারা জঙ্গিবাদ, সা¤প্রদায়িকতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত– তাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তার দায়িত্ব পালন করেছে। সমকাল: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সা¤প্রতিক চিঠি আপনি দেখেছেন। সেখানে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ এসেছে।”
লুট হয়ে যাওয়া ‘স্বাধীনাতা’ ফিরে পাওয়ার দিন এবং আপনার শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করুন। জয়তু, ‘দেশরত্ন’ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! বাংলাদেশে হিংসায় উন্মত্ত রাজনীতিতে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অভিষেকের তরে সোনার ঘটে আলোক ভরে! বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ALL OVER BANGLADESH INCLUDING পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও সমাবেশ (আওয়ামী লীগ)!
২০২১ সালের একুশে আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী! এবং ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভ‚লুণ্ঠিত করা; আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।
২০০৪ সালের নারকীয় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি আমরা গভীরভাবে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। সাথে সাথে আরো জানায় অপরাধীদের কে শাস্তির আওতায় আনা হোক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আল্লাহর রহমত ও জনগণের দোয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং অনেকে দেহে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।” রাজাকারগণ ইসলামের নামে একাত্তরের ২৫শে মার্চের রাত্রিতে পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খানের ৯৪ হাজার সৈন্যবাহিনীকে সাহার্য করেছিল এবং বারশত মাইল দূরের বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনতাকে তিলে তিলে হত্যা করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতের পর বাংলাদেশে ইতিহাসের আর এক কালো দিন ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের উত্থানের এক কলঙ্কিত অধ্যায় ! মৃত্যুঞ্জয়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন এদেশের মানুষের জন্য। রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। আমিও বাবার মতো সেই রক্ত দিতেই বাংলাদেশে পা রেখেছি। মৃত্যুকে সামনসামনি দেখেছি। কিন্তু কোনোদিন আমি ভীত হইনি। আমার একটাই চাওয়া এবং একটাই প্রতিজ্ঞা- যে আদর্শ নিয়ে বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন, স্বাধীনতার সেই আদর্শ বাংলার মানুষের পৌঁছে দেবো।“ বিশ্বমানবতার রক্তে কোথাও জাত ধর্ম লেখা নেই। হিংসায় উন্মত্ত রাজনীতিতে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশ ঘটানো ও ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে নাগরিক উদ্যোগ জোরদার করা দরকার!
৭১-এর পরাজিত অকৃতজ্ঞ ধর্মান্ধ শক্তি এমন এক অভিশাপ যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই এক দল বিহারীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো। ঠিক ৫০ বছর পর উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো! এই উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে হাত দিলো! ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশে শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্।
এ বিষয়ে ১৯৭১ সালের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠনের বিচার আমরা অনেক আগে থেকে চেয়ে আসছি। সুযোগ আসার পরও সরকার কেন তা করছে না, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।
আমরা মনে করি, এটা না হলে বিচারটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। বিচারপ্রত্যাশী পরিবারগুলোর প্রতি অবিচার করা হবে। ৯৯ ভাগ শহীদ পরিবারই বলবে একাত্তরে তাদের স্বজনদের আলবদর, জামায়াত ও পাকিস্তানি হানাদাররা ধরে নিয়ে গেছে। ফলে কোনো বাহিনীর বিচার না করে, গুটিকয়েক ব্যক্তির বিচার করে দায়িত্ব শেষ- এটা হতে পারে না।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি !