অনলাইন ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করব। মুজিববর্ষে কমপক্ষে একজন খুনিকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. মোমেন পলাতক খুনিদের দেশে ফেরত আনার জন্য প্রবাসীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন সকলের সহায়তা কামনা করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থানরত খুনিদের দেশে আনার বিষয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহেরও আহবান জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান শাসনামলে প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন বাঙালির অধিকার আদায় এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু তাকে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এটা আমাদের জন্য একটি বড় কলঙ্ক। এ কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে আমরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মুজিববর্ষে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা ২১ আগস্ট হামলায় জড়িতদেরও বাংলার মাটিতে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে চাই। জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে বলে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কার সম্ভব হয়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করায় আমরা মুজিববর্ষ পালন করতে পারছি এবং আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না; আর যত দিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন। বঙ্গবন্ধু উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কেবল নিজে দেখেননি, তিনি তা আমাদের হৃদয়ে গেঁথে দিয়ে গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে দেশের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সব করেছেন। দেশকে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ‘আমরা বিজয়ের জাতি এবং আমরা পারব’- এ মানসিকতা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছেন।

‘জনতার প্রত্যাশা’ নামক সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য এডভোকেট মো: নূরুল আমিন রুহুল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: আকরাম হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা মীর মোহাম্মদ আবু হানিফ।