অনলাইন ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি নিয়ে অন্টারিও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টরন্টোর ১১১ ওয়েলেসলি স্ট্রীট ওয়েটস্থিত অন্টারিও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধনে কানাডা আওয়ামী লীগ, অন্টারিও আওয়ামী লীগ, ক্যুইবেক আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও কানাডা ছাত্রলীগ। কোভিড পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত সাপেে বিকাল ৩-১৫ মিনিটে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সু-শৃঙ্খলভাবে সকলে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ৪৫ মিনিট ব্যাপী চলে এই মানববন্ধন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার করার প্রয়োজন ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। খুনি নূর চৌধুরী ১৯৯৬ সালে কানাডায় উদ্বাস্তু হিসাবে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করে। কানাডা অভিবাসন বোর্ড (IRB) বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতাকে গুরুতর অপরাধ গণ্য করে ২০০২ সালে নূর চৌধুরী দম্পতির আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে আপিল করলেও উচ্চ আদালতে ২০০৬ সালে তারা হেরে যান। কিন্তু তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। খুনি নূরকে ফেরানোর চেষ্টার অংশ হিসাবে বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে একটি চিঠি দিয়ে কানাডায় নূর চৌধুরীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু কানাডা কর্তৃপ সেসব তথ্য দিতে অস্বীকার করলে ২০১৮ সালের জুন মাসে ‘জুডিশিয়াল রিভিউয়ের’ আবেদন করে বাংলাদেশ। এই আবেদনের পরিপ্রেেিত কানাডার ফেডারেল আদালত গত ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডোকে খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। তথাপি আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। কানাডার মত বিশ্বের অন্যতম একটি সভ্য, শান্তিপূর্ণ, আইন ও মানবাধিকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেশে মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডিত খুনি অবৈধভাবে অবস্থান করতে পারে না। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ও স্বাধীনতার স্বপরে শক্তি ও কানাডার নাগরিক হিসাবে খুনি নূর চৌধুরীকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচী ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে অন্টারিও প্রদেশের মাননীয় প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেতা আন্দ্রে হোরওয়ার্থের সদয়সমর্থন ও সহযোগিতা প্রাপ্তির প্রত্যাশা সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের মিলু, আব্দুস সালাম, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে ফায়জুল করিম, নওশের আলী, কোষাধ্য মঞ্জুর-আল-করিম রুবেল, দপ্তর সম্পাদক খালেদ শামীম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হাসমত আরা জুঁই, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা ফারহানা শান্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, বিপ্লব চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য এডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ বিন্দু, মোস্তাফিজুর রহমান, সুকমল রায়, মুশফিকুর রহমান আকন্দ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু, কানাডা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ইমরুল ইসলাম, মোরশেদ আহমেদ মুক্তা, দপ্তর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দীন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল আহমেদ, সদস্য ঝুটন তরফদার, আফিয়া বেগম ও রিনা শিকদার।

ক্যুইবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদ রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সহ-সম্পাদক যথাক্রমে মেহেদি শাওন, নয়ন পাল, দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ, কার্যকরী সদস্য শাকিব হাসান, জুলহাস উদ্দিন, সোহাগ হোসেন, শিহাব শাহরিয়ার ও ফাহিম মুনতাসির। সবশেষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া, এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল টরন্টোকে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।