সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে ‘বিশ্বমানবতার আলোয় উদ্ভাসিত বাহাত্তরের সংবিধান! মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল এই সংগ্রামের (মুক্তিযুদ্ধ) মধ্য দিয়ে একটা যুক্তিবাদী সমাজ, মুক্তচিন্তার অবাধ পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বৈষম্যহীন আগামী নির্মাণ হবে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছিল, ‘আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে “আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণ উৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল (১) জাতীয়তাবাদ, (২ ) সমাজতন্ত্র, ((৩) গণতন্ত্র ও (৪ ) ধর্মনিরপেক্ষতা সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।’ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সংবিধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের উক্ত দুঃখজনক এবং ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাহাত্তরের জাতীয় সংবিধান রচিত হয়েছিল। বাহাত্তরের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। “বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ইসলামি মৌলবাদের রাজনীতি, “আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয়।”
বৌদ্ধ উত্তম কুমার বড়ুয়ার নাম দিয়ে রামুর ধর্মান্ধ মুসলমানগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি স্ট্যাটাস দেওয়ার ধোকা বাজি! ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার দুর্নীতিতে রামুর ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে বৌদ্ধ উত্তম বড়ুয়ার নাম করার গভীর যড়যন্ত্র ছিল! এবং ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে রামুতে মিটিং-মিছিল হয়েছিল। ধর্ম অবমাননার অভিশপ্ত রাজনীতিতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধর্মান্ধগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি স্ট্যাটাস দেওয়ার ধোকা বাজিতে সেই উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ধর্মান্ধগণ হত্যা করেছে! ওই সময়ে ছবি-ভিডিওতে অনেক ব্যক্তিকে চেনা গেছে। তাদের ইন্ধনে হামলা হয়েছিল। কিন্তু মামলার পর চিহ্নিত অনেক ব্যক্তি বাদ পড়েছেন। পাশাপাশি নিরপরাধ অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন। জামায়াতের ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির সেই ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার কি কেবল রাজনীতির আঙিনায় থাকা মানুষরাই করেন? বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির কথা বলে। আমরা শান্তি চাই।
রোহিঙ্গা জামাতুল মুজাহিদীনের জঙ্গিরা ভারতে বৌদ্ধদের সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থভূমি বুদ্ধগয়া মহাবোধি বিহারে মর্মন্তিকভাবে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে ছিল ২০১৩ সালের ৭ জুলাই ভোর সাড়ে পাঁচটা হতে ছয়টার সময়! স¤প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় (19 NOVEMBER 2022) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, “সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থের জোগান রুখতে দিল্লিতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘নোমানি ফর টেরর’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ৭২টি দেশের প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মূল বৈঠকের মাঝেই আজ আলাদা করে দেখা করেন দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। স্বরাষ্ট্র সূত্রের মতে, সেই বৈঠকে বাংলাদেশে বসবাসকারী সে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের উপর হওয়ার একাধিক হামলার ঘটনা এবং মন্দির ভাঙা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান অমিত শাহ। সূত্রের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের ঘটনাগুলি দমন করার পক্ষেও সওয়াল করা হয়।
বাংলাদেশে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হওয়া আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আজ বাংলাদেশের কাছে উদ্বেগ জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার থেকে (আনন্দবাজার পত্রিকা 19 NOVEMBER 2022)!
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করে ভারতের ওই উদ্বেগ জানান। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছেন সে দেশের হিন্দু স¤প্রদায়। বিষয়টি নিয়ে যাতে সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কথা বলে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। আজ বিষয়টি বৈঠকে ওঠায় আশা করা যায় আগামী দিনে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা কমবে। বাংলাদেশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা সামনে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। প্রতি বছর পুজোর সংখ্যাও বাংলাদেশে বাড়ছে। কাজেই উদ্বেগ অমূলক।
এ ছাড়া আজ দু’দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্তের নিরাপত্তাজনিত পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিষয় নিয়েও দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ওই বৈঠক প্রসঙ্গে পরে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দু’দেশের সীমান্তে হত্যা শূন্যে নিয়ে আসা নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনা হয়। একই সঙ্গে মায়ানমার থেকে চলে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে মোদী সরকার ঢাকাকে সব ধরনের সাহায্য করবে বলে আজ আশ্বাস দিয়েছেন শাহ।”
মানবাধিকারের অস্তিত্বের আলোকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধর্মান্ধ জামায়াতের ১৯৭১-এর নরহত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হওয়া আক্রমণ ও (১) স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশের সামনে’ জুতার মালা দিয়ে চরমভাবে অপমান করে পিটিয়ে হত্যা করেছে! (২) সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন! (৩ ) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় সরকার ও উন্মেষ রায়কে কোনঠাসা করে মানসিক দিক দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। (৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বিশ্বাসের বাড়ির জমি দখল করে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ এসব ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।’ নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম সম্পর্কে সুরা আল-মায়িদার ৩২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করবারই নামান্তর।
ভোরের কাগজ (EDITORIAL 18 NOVEMER 2022) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, “জামায়াতের জঙ্গি কানেকশন!” দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য মাঠে নেমেছে জামায়াত। সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলো আবার তৎপরতা শুরু করেছে। জামায়াত-জঙ্গি একই সূত্রে গাথা- এমন অভিযোগ আমরা শুনে আসছি। সেই অভিযোগ ও সন্দেহকে প্রকট করেছে জামায়াতের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাকে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা অভিযোগে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবকটি ইউনিট ও গোয়েন্দারা খুঁজে খুঁজে জামায়াতের জঙ্গি কানেকশনের তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান শুরু করেছে। নানা কারণেই গত এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এই দলটির প্রথম সারির প্রায় সব নেতা দণ্ডিত হয়েছেন। তাদের কারো কারো ফাঁসিতে ঝুলে জীবনাবসান হয়েছে। কারো প্রাণদণ্ড হয়েছে। কেউ কেউ আজীবন দণ্ড নিয়ে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। এই বাস্তবতার মধ্যেই নিবন্ধন হারানো দলটি নানাভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছে। ভেতরে ভেতরে তলা গোছানোর কাজ তারা করছেন অতি বিচক্ষণতার সঙ্গে। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে এলাকায় এলাকায় তারা করছেন গোপন বৈঠক। আলোচনার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন বসতবাড়ি, কোচিং সেন্টার ও ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সামাজিক গণমাধ্যমকে তারা প্রচারের নির্ভরযোগ্য জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক কার্যক্রম চলছে- হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার, মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ রাখছেন নেতারা।
অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেও জঙ্গি তৎপরতা থেমে নেই। জঙ্গিরা নানাভাবে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ভেতরে ভেতরে এরা সুসংগঠিত হওয়ার কাজ চালাচ্ছেন। তাদের সহিংস কর্মকাণ্ড দেশের জন্য বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। হিজরতের নামে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ঘরছাড়া অনেক তরুণ পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সংগঠনের ছত্রছায়ায় সেখানে তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। গোপনে উগ্রপন্থি কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা। হিজরতের নাম করে জঙ্গিবাদের নতুন মেরুকরণ এক ভয়াবহ নাশকতার পূর্বাভাস। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। বলা যায়, দেশে জঙ্গি তৎপরতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সা¤প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগাম তথ্য নিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। জামায়াতকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার মামলাটি ঝুলে আছে। জামায়াত সত্যি নিষিদ্ধ হবে কিনা, নিষিদ্ধ হলে জামায়াত কী কৌশল নেবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেশবাসী চান, জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে!”
আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর অভূতপূর্ব বিজয় অর্জনে এককভাবে যে উপাদানটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে তা হলো বাঙালি সংস্কৃতির শক্তি। সত্য কখনো চাপা থাকে না! ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম! বাংলাদেশে ধর্মের নামে অহং সর্বস্ব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির রাজনীতি! বিদেশী সভ্যতার হাজার বছর আগে বাঙালির গৌরব সন্তান অতীশ দীপঙ্কর বিশ্বমানবতা, মানবাধিকার ও অহিংসার মন্ত্র দিয়ে তিব্বত ও চীন সহ পৃথিবী জয় করেছিলেন। দূরদেশ থেকে চীন অতীশ দীপংকরকে সশ্রদ্ধ বন্দনা করেছেন বাংলাদেশের বাঙালি বৌদ্ধভিক্ষু অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিমন্দির প্রতিষ্ঠার মহানুভবতায়। লোভ দ্বেষ মোহ সহ ষড়রিপুকে জয় করার নাম বৌদ্ধ‘ধর্ম! সেই উগ্র মুসলমান রাজনীতি কেমন করে ভুলে গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করে আফগানিস্থান এবং পাকিস্তানের বৌদ্ধ ভূমি দখল করে নিয়েছে!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ভাষায় :
“তুমি জীবনের পাতায় পাতায় / অদৃশ্য লিপি দিয়া
পিতামহদের কাহিনী লিখিছ / মজ্জায় মিশাইয়া।
যাহাদের কথা ভুলেছে সবাই / তুমি তাহাদের কিছু ভোল নাই,
বিস্মৃত যত নীরব কাহিনী / স্তম্ভিত হয়ে বও।
ভাষা দাও তারে হে মুনি অতীত, / কথা কও, কথা কও।”
বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ! আইনের শাসনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে বাহাত্তরের সংবিধান – যে কোন সরকার লঙ্ঘন করলে আইনত দন্ডনীয়। সংবিধান রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। যে কোন সরকার বাহাত্তরের সংবিধান কাঁটা ছেঁড়া বা ধ্বংস করলে দেশের সুপ্রীম কোর্ট উক্ত সরকারকে দন্ডিত করবেন। বাহাত্তরের সংবিধান রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়ে সরকার আসবে এবং যাবে। যে কোন সরকার বাহাত্তরের সংবিধানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করার নৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। সংবিধান রক্ষাই সরকারের দায়িত্ব, বাহাত্তরের সংবিধান ধ্বংস করা হলে জাতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানি করা হয়। জয় বাংলার ধর্ম যার, যার, মনুষ্যত্বের গভীর সাধনায় বাহাত্তরের বাংলাদেশ সংবিধান সবার! বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নেতা রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না কেন?
ধিক্কার জামায়াতের ধর্মান্ধদেরকে! চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জামায়াতের মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মান্ধ রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি মানবতাবাদী একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ!
মানবাধিকারের অস্তিত্বের আলোকে ধর্মান্ধ জামায়াতের ১৯৭১-এর নরহত্যার উল্লাস মানবজাতির ধর্ম নয়! ধিক্কার জামায়াতের ধর্মান্ধদেরকে! চিটিংবাজ ধর্মান্ধ জামায়াতের মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মান্ধ রাজনীতি এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি মানবতাবাদী একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ! ৭১-এর পরাজিত শক্তিই হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার ধর্মান্ধ মহোৎসব! কোরাণকে তলোয়ার বানিয়ে ধর্মান্ধ মুসলমান রচিত ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে রামুর বৌদ্ধ বিহার ভাঙার ধর্মান্ধ মহোৎসব! জামাত ও মৌলবাদীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনে ১৯৭০-৮০-র দশকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ সরবরাহ পেয়েছে; এসব অর্থ-সম্পদ তারা সংশ্লিষ্ট আর্থ-রাজনৈতিক মডেল গঠনে বিনিয়োগ করেছে; অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফা করছে; আর এ মুনাফার একাংশ তারা ব্যয় করছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে, একাংশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রসারে, আর (কখনো কখনো) একাংশ নতুন খাত-প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে।”
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ‘ঘরে-বাইরে‘ ছোটগল্পের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে সংখ্যালঘু জীবনের এই অস্তিত্বের সংকটের আবহমান বেদনার অনুভব। মূলত ঊনবিংশ শতকের বাংলার সমাজজীবনের মধ্যে থেকেই কবিগুরুর চেতনার উন্মেষ এবং তাঁর সমসাময়িক বঙ্গসমাজের চালচিত্রের আবহাওয়ার মধ্য দিয়েই তাঁর সাহিত্যের উদ্বোধন। ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতায় ধর্মান্ধ রাজনীতিতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির সংকট! ইসলাম ধর্ম অবমাননায় হিন্দু বৌদ্ধ হত্যায় ফেক আইডিতে কোরাণ অবমাননা কেন? বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মুসলমানগণ ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে দিনকে রাত, এবং রাত কে দিন করে! ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইসলামি জঙ্গীরা রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ জনপদে আগুন দিয়ে তান্ডব দাহন করেছে।
সংবিধানে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাষ্ঠ্রধর্মের প্রবেশ নিষেধ। প্রসঙ্গত: উল্লেখযোগ্য যে, হাইকোর্টের বিচারে (রিট) ২০০৬ সালের ৩০শে আগষ্ঠ “বাংলাদেশের সামরিক প্রশাসকগন রাষ্ঠ্রদ্রোহী ছিলেন।” বাংলাদেশে ক্ষমতার লোভে জেঃ জিয়া এবং জেঃ এরশাদসহ জন প্রতিনিধিগণ বাহাত্তরের সংবিধানকে বার বার অনেকবার হত্যা করে নিজেদের রাজনৈতিক লোভ লালসা চরিতার্থ করতে ইসলাম ধর্মকে অপব্যবহার করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা করেছিল। আলোকপ্রাপ্ত বাহাত্তরের সংবিধান থেকে ঐতিহাসিক’ শব্দের অভূতপূর্ব সংযোজন হয়েছিল ধর্ম কে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়, ইহাই বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের মত ও ইচ্ছা। কারন ধর্মের অপব্যবহারের কারনে মানুষ মানুষকে কাফের ও চন্ডাল বানিয়ে হত্যা করার ঘটনায় ইতিহাস রক্তাক্ত এবং ১৯৪৬ সাল থেকে বাঙালির বুকে আজ ও ধর্ম অপব্যবহারের বিষাদ সিন্ধু বিরাজমান।
“জামায়াতকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার মামলাটি ঝুলে আছে। জামায়াত সত্যি নিষিদ্ধ হবে কিনা, নিষিদ্ধ হলে জামায়াত কী কৌশল নেবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেশবাসী চান, জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে (ভোরের কাগজ EDITORIAL 18 NOVEMER 2022)! “মানবাধিকারের আলোকে ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার অভিশপ্ত নির্লজ্জতর দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! মানুষের দেশ মানুষের মনেরই সৃষ্টি! হিন্দু যেই মানব, মুসলমান ও সেই মানব। মানুষ মানুষকে হিংসা করা আইনত: দন্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে রাষ্ঠ্রধর্মের ট্রাজেডিতে জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার ক্ষমতার মাথায় চড়ে বসা ধর্মান্ধ রাষ্ঠ্রক্ষমতার দুর্নীতির মাফিয়াচক্র। ধর্মান্ধ লোকগুলোর জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর, প্রকটতর— এবং নির্লজ্জ তর! মাথায় যখনই অক্সিজেন কম যেতে শুরু করে, তখনই তারা চার পাশের মানুষের লজ্জা, হায়া শুষে প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে বাহাত্তরের সংবিধান বাদ দিয়ে রাষ্ঠ্রধর্মের ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার দুর্নীতি কেন?
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের মানি ফর টেরর’ এবং অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের নির্লজ্জ হরিলুট এর এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা। বিগত চল্লিশ বছরে (১৯৭৫-২০১৪) মৌলবাদের অর্থনীতি সৃষ্ট ক্রমপুঞ্জীভূত নিট মুনাফার মোট পরিমাণ হবে বর্তমান বাজার মূল্যে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা। ধর্মান্ধের হিংসা উন্মত্ত রাজনৈতিক ধর্ম মানবতাকে ধ্বংস করেছে!
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরের ভাষায়
“বিধির বাঁধন কাটবে তুমি, এমন শক্তিমান-
তুমি কি এমন শক্তিমান!
আমাদের ভাঙাগড়া তোমার হাতে এমন অভিমান-
তোমাদের এমনি অভিমান\
চিরদিন টানবে পিছে, চিরদিন রাখবে নীচে-
এত বল নাই রে তোমার, সবে না সেই টান\
শাসনে যতই ঘেরো আছে বল দুর্বলেরও,
হও-না যতই বড়ো আছেন ভগবান।
আমাদের শক্তি মেরে তোরাও বাঁচবি নে রে,
বোঝা তোর ভারী হলেই ডুববে তরীখান !”
বাহাত্তরের সংবিধান আইনের শাসনে বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতিকোরআন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই জামাতের হিংসায় উন্মত্ত সা¤প্রদায়িক রাজনীতি ! জঙ্গিবাদ ছড়াতে জামায়াত ধর্মান্ধগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি শত শত হিন্দু ও বৌদ্ধদের বৌদ্ধ বিহার হিন্দু মন্দির ও বাড়িঘর ভস্মীভূত করে ইসলাম ধর্মের কোনো লাভ হয়নি। এতে আসলে এই সকল মানুষরূপী অমানুষদের লজ্জা বলিয়া কিছু নাই। বাংলাদেশে অতীত ও ঐতিহ্যে হিন্দু বৌদ্ধ অবদান এবং মুসলিম জঙ্গীরা বাঙালি’ শব্দের আবিষ্কারক ছিলেন না! বৌদ্ধ চর্যাপদের অপাপবিদ্ধ সিদ্ধপুরুষ বৌদ্ধ কবি ভুসুকু ‘বাঙালি’ শব্দের আবিষ্কারক ছিলেন।
বাংলাদেশে অতীত ও ঐতিহ্যে হিন্দু বৌদ্ধ অবদান ! বর্তমান বাংলাদেশে জামায়াত ধর্মান্ধগণের ইসলামীকরণ ও মৌলবাদী গোষ্ঠীদের জঘন্য চাতুরীর ইতিহাস লিখতে গেলে একটি মহাভারত লিখতে হয়। আমাদের বাংলাদেশ আমাদের ধর্ম! বাঙালি সংস্কৃতির মূল কথা হলো অসা¤প্রদায়িকতা ও স¤প্রীতি। বর্তমান বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে মুসলমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, চাকমা, সাঁওতালসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (INDEGENOUS) এক সঙ্গে স¤প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে বলেই সব স্রোত এক ধারায় এসে মিলিত হয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী।
প্রথম আলো (৩০ জুলাই ২০০৯) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, “পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক অস্থির জনপদের নাম।” সরকারের মেয়াদ এক যুগ পেরিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ: দশান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩৫টি ক্যাম্প ও তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।…শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ২০০টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সরকার নতুন এই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে!
মোটকথা, তিন পার্বত্য জেলায় সিভিল প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে স্থানীয় মতাকাঠামোর নিয়ন্ত্রকের আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের বিবেচনায় নেওয়া জরুরি, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর গত ১১ বছরে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো ধরনের যুদ্ধাবস্থা নেই। দু-একটি বিচ্ছিন্ন সশস্ত্র ঘটনার যে চিত্র আমরা দেখতে পাই, তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম। সুতরাং পাহাড়ে সশস্ত্র অবস্থা বিরাজমান- এই অজুহাতে এখানে কোনোভাবেই অতিমাত্রায় সেনা মোতায়েত করা যুক্তিসংগত নয়। অধিক সেনা মোতায়েনের ফলে এখানে যে বিপুল টাকার অপচয় হয়, সেনা প্রত্যাহার করে সেই টাকা পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে এবং এলাকাবাসীর জীবনমানের বিকাশে ব্যয় করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহারের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ দিক থেকে যেমন স্থিতিশীলতা আনবে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।”
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি