Home আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক : কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের কারণে আটক হওয়া ছাত্রনেতা মাহমুদ খলিলসহ সব শিক্ষার্থীর মুক্তি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তারা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে থাকেন – ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’, ‘মাহমুদ খলিলকে এখনই মুক্তি দাও’, ‘আজই সকল ছাত্রকে মুক্তি দাও’।

এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার দেখা যায়, যাতে লেখা: ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’, ‘মাহমুদ খলিলকে মুক্ত করো’।

নিউ ইয়র্ক সিটিতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিক্ষোভকারীরা টাইমস স্কয়ারে সমাবেশ করে কলম্বাস সার্কেলের দিকে মিছিল করে।

একজন প্রতিবাদকারী বলেন, মাহমুদ খলিলের ওপর আক্রমণ কেবল একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, বরং যারা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর এবং কথা বলার সাহস করে, তাদের সকলের উপর আক্রমণ।’

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের ছাত্র খলিললে ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আইসিই এজেন্টরা গ্রেপ্তার করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তার ছাত্র ভিসা এবং গ্রিন কার্ড বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ার পর এই গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন খলিলের বিরুদ্ধে ‘হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। যদিও এর সাপেক্ষে কোনো প্রমাণ দেখানো হয়নি। বর্তমানে তাকে লুইসিয়ানা রাজ্যের একটি আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আটকের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তার প্রশাসন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

তার মন্ত্রী রুবিও শুক্রবার বলেন, আগামী দিনে আরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার খলিলের আইনজীবীদের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফেডারেল এজেন্টরা তাকে তার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে গ্রেপ্তার করে। ফুটেজে দেখা যায়, খলিল শান্তভাবে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছেন।

খলিলের আইনজীবীরা বলেছেন, সংবিধানের ‘প্রথম সংশোধনীর আওতায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলার অধিকার অবশ্যই আছে। তাকে গ্রেপ্তার করাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের ওপর বৃহত্তর দমন-পীড়নের অংশ।

Exit mobile version