অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা। তবে ফার্স্ট লেডি হলেও তিনি ছাড়ছেন না শিক্ষকতা। স্বামীর ঐতিহাসিক জয়ের পর তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের ব্যস্ততা সামলে তিনি শিক্ষকতাও চালিয়ে যাবেন। সিএনএন, আল জাজিরা।
আর এই কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিরল একটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন স্ত্রী জিল বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ফার্স্ট লেডিদের নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সেসব সামলে অন্য কাজ করা কঠিন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্স্ট লেডি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এভাবে অন্য পেশায় থাকেননি।
জো বাইডেন যেদিন মনোনয়ন নেন, সেদিন কলেজ থেকেই অনলাইনে বিবৃতি দেন জিল। তিনি বলেন, আমি অনেক অভিবাসী এবং শরণার্থীকে পড়াই। তাদের গল্প আমি ভালোবাসি। আমরা হোয়াইট হাউসে গেলেও কাজ ছাড়ছি না।
কয়েক মাস আগে ডেমোক্র্যাট পার্টির কনভেনশনে জিল বাইডেনের পরিচয় দিতে গিয়ে জো বাইডেন বলেন, দেশজুড়ে আপনাদের সবাইকে বলছি, আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষিকার কথা ভাবুন যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার মতো আস্থা আপনাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই একজন ফার্স্ট লেডি হবেন।
১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামার আমলে তার স্বামী যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন তিনি নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ৬৯ বছর বয়সি জিল কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এই নারী ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন।
জো বাইডেনের প্রথম স্ত্রী ছিলেন নিলিয়া হান্টার। ১৯৭২ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জো বাইডেন তার প্রথম স্ত্রী এবং মেয়েকে হারিয়েছেন। ২০১০ সালে ক্যানসারে নিজের বড় ছেলেকেও হারিয়েছেন তিনি।
প্রথম স্ত্রীকে হারানোর তিন বছর পর বাইডেনের ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় জিলের সঙ্গে। ওই সময় সিনেটর ছিলেন বাইডেন আর জিল তখনও কলেজছাত্রী। ১৯৭৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে বিয়ে হয় বাইডেন ও জিলের। ১৯৮২ সালে এই দম্পতির কন্যা সন্তান অ্যাশলির জন্ম হয়।