অনলাইন ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট হলে মুসলিমদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে মুসলিমদের পাশে থাকব।’

শনিবার ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আইএসএনএ) ৫৭তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বক্তব্য দিয়ে এসব কথা বলেন বাইডেন।

বাইডেন জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথম দিনই সুনির্দিষ্ট মুসলিম দেশগুলোর ওপর অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। মুসলিম আমেরিকানরা তার প্রশাসনের প্রতিটি স্তরের অংশীদার হবে বলেও জোর দেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামোফোবিয়া বেড়েই চলেছে। শিকার হচ্ছে নানা বঞ্চনার। সেই সঙ্গে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিবাসনসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই মুসলিম, কৃষ্ণাঙ্গ ও অশ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করছেন বাইডেন। শনিবারের বক্তব্যে বাইডেন বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে ‘ইসলামোফোবিয়া’ ছড়ানো হচ্ছে। নানাভাবে মুসলিমদের ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে।

আইএসএনএ-এ বাইডেনের উপস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী রাজনীতিতে মুসলিম-আমেরিকানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে মনে করছেন মার্কিন মুসলিমরা।

বার্ষিক আইএসএনএ সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার শুরু হয়েছে। এ সম্মেলন উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় মুসলিম সমাবেশের একটি বলে মনে করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর অবশ্য সবকিছু ‘ভার্চুয়ালি’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সামাজিক ও বর্ণগত ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম’।

এর আগে এক নির্বাচনী প্রচারণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নানা মুসলিমবিরোধী নীতির সমালোচনা করেন বাইডেন। বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রথমে অনুধাবন করতে হবে ট্রাম্পের নির্যাতন, যা দেশটিতে থাকা কালো ও বাদামি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে। ট্রাম্প চার বছর ধরে আমেরিকার মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ ও তাদের অসম্মান করছেন।

২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রথমেই ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। বাইডেন বলেন, ট্রাম্প তার কথাবার্তা, নীতি-নৈতিকতা এবং কাজকর্মের মাধ্যমে দেশে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিয়েছেন।