সোনা কান্তি বড়ুয়া : খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনে করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তৃতির আশঙ্কার মধ্যেই শনিবার কানাডা ও বিশ্বমানবতার জগত including রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। কানাডা ও দেশের সব গির্জায় অনুষ্ঠিত হয়েছে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি এবং সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনার আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা। বিশ্বমানবতার জগতে এই করোনা ভাইরাস হামলা কেন? করোনাভাইরাসের ঢেউয়ে বিপর্যস্ত বিশ্বের বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ! পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়।

প্রীতি ও প্রেমের পুন্য বাঁধনে মনুষ্যত্বের প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে পুরনো বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে সোয়াত জেলার ঐতিহাসিক বাজিরা শহরে খননের ফলে আরও প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া যাবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছেন ইতালীয় বিশেষজ্ঞরা। বাংলাসহ ভারতের বুক জুড়ে মাটির নীচে ও উপরে বুদ্ধমূর্তি বিরাজমান। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে ২৩০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মন্দির আবিষ্কৃত (21 December 2021 সূত্র: ইন্টারনেট)! পাকিস্তানি এবং ইতালীয় প্রতœতাত্তি¡কদের একটি যৌথ দল উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে আরও কয়েকটি বৌদ্ধ নিদর্শনের সাথে ২৩০০ বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মন্দিরের অবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। (অমিতাভ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক)! ISMEO নামে পরিচিত ইতালীয় প্রত্নতাত্তি¡ক মিশনের প্রত্নতাত্তি¡করা পাকিস্তানের প্রত্নতাত্তি¡কদের সহযোগিতায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত জেলার বারিকোট তহসিলে বৌদ্ধ আমল থেকে বাজিরা শহরের ধ্বংসাবশেষ খনন করছেন? কয়েকদিন আগে, ইতালীয় মিশন খাইবার পাখতুনখোয়ায় সম্পূর্ণরূপে একটি শাহী বিষ্ণু ইট মন্দির আবিষ্কারের ঘোষণা করেছিল।

ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে পুরনো বৌদ্ধ মন্দির মাটির নিচে লুকানো কেন?
একটা বীজকে খুব বেশিদিন মাটির তলায় লুকিয়ে রাখা যায় না। সময়ের সাথে, পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে সে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই! যদিও উপযুক্ত আলো-বাতাসের অভাবে কিছু দুর্বল বীজ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু কিছু আছে যেগুলো সকল রকম প্রতিক‚ল পরিবেশে ও আপন অস্তিত্ব সগৌরবে জানান দেয়। একটা বীজ মা থেকেই সন্তানদের মধ্যে মনুষ্যোচিত সদগুণ দয়া দাক্ষিণ্য বিনয় সৌজন্য ধৈর্য গাম্ভীর্য ঔদার্য সাহস পরাক্রম-এর দীপ্তি সঞ্চারিত হয়!

বিশ্বমানবতার জগতে মহাপুরুষ মার্টিন লুথার কিং এর ভাষায় এটাই দেখালেন যে, “কিছু মানুষ তোমাকে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে তুমি তাঁর কোনো ক্ষতি করেছ। তবু, তুমি তাঁর কাছে স্রেফ অপছন্দের মানুষ। তোমার হাঁটা-চলা, কথাবার্তা অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না। কারণ তুমি তাঁর চেয়ে ভালো “কাজ” জানো। তুমি জনপ্রিয়, তুমি বিশ্বস্ত, তুমি দায়িত্ববান, তোমাকে লোকে পছন্দ করে, সেটাও অপছন্দনীয় হওয়ার কারণ হতে পারে।

তোমার চুল তাঁর চেয়ে সামান্য বড় বা ছোট, তোমার গায়ের রঙ তাঁর চেয়ে খানিকটা উজ্জ্বল কিংবা অনুজ্জ্বল- হয়তো কারণটা এমন! কেবল কারও কোনো ক্ষতি করলেই তুমি তাঁর অপছন্দের পাত্র হবে, তা নয়। অপছন্দ-ব্যাপারটা আসে ঈর্ষাকাতরতা থেকে। মানুষের সহজাত চরিত্রেই এই অনুভূতির প্রভাব আছে।”

জয় বাংলার বৌদ্ধ মহানগর এবং বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমপূরের মুন্সিগঞ্জে নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে লুকানো কেন? বিক্রমপূরের বজ্রযোগীনির বৌদ্ধ রাজপুত্র ছিলেন অতীশ দীপংকর! ১২০২ সালে বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিল। বাংলাদেশের বৌদ্ধ মহানগর এবং বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রমপূরের মুন্সিগঞ্জে নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে নিমজ্জিত ছিল! ভরতবর্ষে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, ১২০২ সালে বখতিয়ার খিলজি বর্বরিত আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংস করেছিল বৌদ্ধ যুগের “নালন্দা” বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতে বৌদ্ধ জগত!

তূর্কিশাসক সন্ত্রাসী বক্তিয়ার খিলজী ও রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছিলেন। আটশত বছর পর চীন ও জাপানের দুই বিলিয়ন ডলার এবং ভারত সরকারের সাহায্যে দুইহাজার আঠারো সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাস শুরু হয়েছে। দুঃখের বিষয় এই যে অমর্ত্য সেন উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ শিক্ষা প্রশাসক হয়েও বিশ্ব জনতার আকুল আশা অনন্ত পিপাসা ধ্বংস করতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটি কোটি টাকা বিভিন্নভাবে পকেটেস্থ করেছে।

একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন, “পাকিস্তান এবং ইতালীয় প্রতœতাত্তি¡করা একটি ঐতিহাসিক স্থানে যৌথ খননের সময় অন্যান্য মূল্যবান প্রতœবস্তু উদ্ধারের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে বৌদ্ধ যুগের ২,৩০০ বছরেরও বেশি পুরানো অ্যাপসিডাল মন্দির আবিষ্কার করেছেন। সোয়াতে আবিষ্কৃত মন্দিরটি পাকিস্তানের তক্ষশীলায় আবিষ্কৃত মন্দিরের চেয়েও পুরনো।” মন্দিরটিকে পাকিস্তানের প্রাচীনতম বৌদ্ধ মন্দির বলা হয়।

বৌদ্ধ যুগের প্রায় ২,৭০০টি প্রাচীন নিদর্শন যার মধ্যে রয়েছে মুদ্রা, আংটি, পাত্র এবং গ্রিসের রাজা মেনান্ডারের আমলের খরোস্তি ভাষার লেখা খননকালে আবিষ্কৃত হয়েছে।
পাকিস্তানে ইতালীয় রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস ফেরারেস জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের প্রত্নতাত্তি¡ক স্থানগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইতালীয় প্রত্নতাত্তি¡ক লুকা এম. অলিভিয়েরি এর আগে বলেছিলেন যে খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ডাকাতদের গর্তগুলির একটি সিরিজ অনুসন্ধান করা হয়েছিল এবং খননগুলি একটি বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ প্রকাশ করেছিল যা ডাকাতদের ভাঙচুর থেকে বেঁচে গিয়েছিল। বারিকোটে আরেকটি খনন কাজ যা ২০২১ সালের নভেম্বরে সম্পাদিত হয়েছিল সে সম্পর্কে, অলিভিয়েরি বলেছিলেন, “আমরা অজানা বয়সের কবরের সারি এবং অন্যান্য প্রতœতাত্তি¡ক বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছি। এই সমাধিগুলিতে মৃৎপাত্রের খণ্ড এবং অন্যান্য বিরল আবিস্কার রয়েছে যা ইন্দো-গ্রীক এবং সাকা-পার্থিয়ান যুগের (প্রাথমিকভাবে এবং প্রাথমিকভাবে) হতে পারে।”

সোয়াত জেলার ঐতিহাসিক বাজিরা শহরে খননের ফলে আরও প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া যাবে বলে আস্থা প্রকাশ করেছেন ইতালীয় বিশেষজ্ঞরা। জাদুঘর ও প্রতœতত্ত¡ বিভাগের পরিচালক ড. আবদুস সামাদ বলেন, বারিকোট সোয়াতের বাজিরা শহর তক্ষশীলার অবশেষের চেয়েও প্রাচীন। শীর্ষস্থানীয় ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রত্নতত্ত¡ বিভাগের পিএইচডি ছাত্ররা সেই স্থানগুলির খননে নিযুক্ত ছিল।

ভারত “ভাগ’ (Hindustan & Pakistan) আমার বিশ্বমানবতার সত্তাকেই বিভক্ত করে রেখেছে। হিন্দু মুসলমানদের হিংসা পুষে রাখা ভারত “ভাগ’ কথাটা এখানে রক্তে রাঙানো ১৯৪৭ সাল ১৪ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট! হিন্দু এবং মুসলমান অন্ধ সা¤প্রদায়িকতায় রক্তাক্ত পাক ভারত বিভাজন অপরাধ ছিল! ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান কি ভাবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করলেন? মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি ধর্মান্ধ হিন্দু (India) মুসলমানদের (Pakistan) বিভাজনের ধর্ম? রাষ্ট্র আর ধর্ম দুটো আলাদা জিনিষ। মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই কি ধর্মান্ধ হিন্দু এবং মুসলমানদের বিভাজনের ধর্ম? রাজনীতির পিঠোপিঠি এসেছিল বিভাজন-উত্তর রাজনীতি, বিভাজনের পাশাপাশি ঘটেছিল “বিভাজনের মধ্যে বিভাজন”। ‘দেশভাগ’ এখানে সর্বাত্মক : দেশের ভাগ, মানচিত্রের “ভাগ’, আত্মা, সম্পর্ক, যোগাযোগ, এমন কি আমার লিখিত “আমি’টির ও ভাগ, পার্টিশন আমার সর্বস্ব; আমার সত্তাকেই বিভক্ত করে রেখেছে। দেশের ভাগ, মানচিত্রের ভাগ, আত্মা, সম্পর্ক, যোগাযোগ? ক্রমাগত ঐতিহাসিক হতে থাকা পাকিস্তান ভারত পার্টিশন ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থানের জন্য বিপক্ষীয় জাতিকে পৃথকীকরণ করা!

ভারতে সিন্ধু প্রদেশে ৭১১ সালে মোহাম্মদ বিন কাশিম বিভিন্ন স্থানে লুট ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালিয়ে বাদর নামক স্থানে সিন্ধুর রাজা দাহিরের উপর অর্তকিত আক্রমণ চালালেন এবং বেরিয়ে আসছে সন্ত্রাসী অপরাধের ফিরিস্তি! মোহাম্মদ বিন কাশিম’র রাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধ দেশ এবং আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি কেড়ে নিল! অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাংলার বৌদ্ধগণ ইসলাম ধর্ম কবুল করেছিলেন। হিন্দু মুসলমানের স্রষ্টা এক ও অভিন্ন। যিনি রাম তিনিই রহিম। ইসলাম ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় প্রাচীন বৌদ্ধ রাজ্য আফগানিস্তান (বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি), ধ্বংস হয়েছিলেন! আফগানিস্তানের ধর্মান্ধ মৌলবাদী মুসলমান রাজনীতির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ by force মুসলমান হয়েছিলেন!

“আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআন মজীদে ঘোষণা করেছেন, “অন্য ধর্মের ধর্মস্থান ধ্বংস কর না (২২ ঃ ৩৮)। অন্য ধর্মকে গালাগাল কর না (৬ : ১০৬)। “ মনুষ্যত্বের উপর দানবের হামলা! মীরজাফরের সাথে ইংরাজ শাসদের চক্রান্তের মতো রাজা লক্ষন সেন রাজার রাষ্ট্রধর্মের মহামন্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়, Hindu Political Conspiracy to destroy Buddhism in India, এবং প্রাচীন বাংলাদেশের বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন (প্রসঙ্গত : কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা প্রদোষে প্রাকৃত জন)। ভারতে বৌদ্ধ রাজ্য ধ্বংস করতে ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে ‘শেক শুভোদয়া’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন। তিনি তাঁর রচিত দিনলিপি (ডাইরেক্টরী) উক্ত বইতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর গোপন ষড়যন্ত্রে রাজালক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজি কে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভূত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। রাতারাতি ইতিহাস তৈরী হয় না। এমনকি রাজা লক্ষন সেনের সভাকবি উমাপতি ধর পরে বখতিয়ার খিলজির সভাকবি হলেন কেন? ইহাই বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্মের ট্রাজেডি!

বিশ্বকবির ভাষায়,
“পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।”

বাংলাদেশে জামায়াতের মৌলবাদের অর্থনীতি ধারণার প্রবর্তক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ “বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জঙ্গিবাদ” ‘মর্মার্থ ও করণীয়’-এ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি প্রকাশ করে! জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গণসচেতনার ওপর জোর দিয়েছেন ড. বারকাত। তিনি বলেন, গণসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণামূলক কর্মকাÐে সব ধরনের পথ-পদ্ধতি-মাধ্যম ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে সঙ্গত কারণে জুমার নামাজ হয় এমন মসজিদে জুমার খুতবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪০টি জামে-মসজিদে গড়ে প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৬৪ লাখ মুসল্লি, যারা আবার বাড়িতে ফিরে মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নিট মুনাফা আনুমানিক ২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ মুনাফার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ ৬৬৫ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি ইত্যাদি); দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮.৮ শতাংশ ৪৬৪ কোটি টাকা আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে; বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ২৬৬ কোটি টাকা আসে ১০.৮ শতাংশ; ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০.৪ শতাংশ ২৫৬ কোটি টাকা; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসে ৯.২ শতাংশ ২২৬ কোটি টাকা; রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে আসে ৮.৫ শতাংশ ২০৯ কোটি টাকা, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে আসে ৭.৮ শতাংশ ১৯৩ কোটি টাকা, আর রিকশা, ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি, কার, ট্রাক, বাস, লঞ্চ, স্টিমার, সমুদ্রগামী জাহাজ, উড়োজাহাজের মতো পরিবহন-যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি টাকা। বিগত চল্লিশ বছরে (১৯৭৫-২০১৪) মৌলবাদের অর্থনীতি সৃষ্ট ক্রমপুঞ্জীভূত নিট মুনাফার মোট পরিমাণ হবে বর্তমান বাজার মূল্যে কমপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন ! রামুর মুসলমান হয়ে বাংলাদেশে ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে আমরা বাংলাদেশে ২৫ হাজার ইসলামী জঙ্গি রামুর বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ ট্রাজেডি করতে দেখেছি! কিন্তু ইসলাম ধর্ম অবমাননার অপবাদে রামুর মুসলমান ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন সৃষ্ট অপরাধীদের বিচার দেখিনি। ১৯৭২ সালের ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ গণপরিষদ গৃহীত এবং ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ SECULAR STATE ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে।

বাংলাদেশে সুষ্ঠু বিচার দাবি করা মানে বোকামি। কারণ আমাদের দেশের আইনের চাদরটা খুব বেশি ছোট, পা ঢাকতে গেলে মাথা বের হয়ে যায়, মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে যাবে। তাই সকলে মনুষ্যত্ব কে বিসর্জন দিয়ে চুপ করে শুয়ে আছে। পরিশেষে, ফিরে পাক মনুষ্যত্ব অংহিসা, মৈএী জাগ্রত হোক তাদের অন্তরে। সা¤প্রদায?িকতা বিনাশ হোক, স¤প্রীতি বিকশিত হোক।

কিন্তু বছর ঘুরে ফিরে – ঘটনা সত্য – স্বাক্ষী দুর্বল। উগ্র সা¤প্রদায?িকতার আগুনে জ্বলে ছিলো মানবতা। রামুর হাজার বছরের স¤প্রীতি। সেইদিন ছিলো শুভ মধু পূর্ণিমার রাত। ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২… অস¤প্রাদিয়ক বাংলাদেশ দেখেছে সেই দিন, দানবের নগ্ন উল্লাস। সমগ্র বৌদ্ধ জাতির ইতিহাসের বুকে। সূচনা হলো ঘৃণিত বর্বতারূকালো এক অধ্যায়। যেই বর্বরতা ১৯৭১ কে হার মানিয়েছিলো। আর কোন ২৯ সেপ্টেম্বর দেখতে চাই না। অস¤প্রাদয়িক স¤প্রীতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সব দেখে শোনে তিনি রাজনীতিবিদগণের কাছে বুদ্ধগয়া সম্বন্ধে জবাবদিহি করেছেন “তাঁর (গৌতমবুদ্ধের) তপস্যা কি শুধু ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে? ভারতের মাটিতে আজ তাঁর তপস্যা বিলুপ্ত হয়েছে। আমাদের অমূল্য ভান্ডারে দ্বার ভেঙ্গে গেছে। মানুষকে আমরা শ্রদ্ধা করিনে। আমাদের সেই প্রেম,মৈত্রী,করুণা,যা তাঁর দান, সব আমাদের গিয়েছে। তাঁর দানকে রুদ্ধ করেছি মন্দির দ্বার পর্যন্ত। এ জাতের কখনও মঙ্গল হতে পারে? তাঁকে বলা হয় শূন্যবাদী। তিনি কি শূন্যবাদী? তিনি বললেন, “জীবে দয়া কর।”(সৌজন্য, দেশ, কলকাতা,২ মে, ২০০৫, পৃষ্ঠা নং ৪১;ভাষন,১৮ মে,১৯৩৫ সাল,ধর্মরাজিকা বিহার,কলকাতা মহাবোধি সোসাইটি)।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!