হাসান গোর্কি : আইনস্টাইন একবার ট্রেনে উঠে কোথাও যাচ্ছেন। টিকেট কালেক্টর তাঁর কাছে টিকিট চাইলে তিনি সেটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই মহাবিজ্ঞানী যে টিকেট না করে ট্রেনে চেপে বসেননি সেটা ঐ কালেক্টর বিশ্বাস করল এবং বলল, “প্রফেসর, আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটেছেন। আপনাকে আর খুঁজতে হবে না।” কিন্তু আইনস্টাইন পকেটে না পেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে সিটের নিচে টিকেট খুঁজতে লাগলেন। বিব্রত কালেক্টর এবার একটা টিকেট এগিয়ে দিয়ে বলল, “এটা রাখুন; পরবর্তী যে কোন কালেক্টরকে দেখাবেন।” আইনস্টাইন বললেন, “না না, আমাকে ঐ টিকেটটাই পেতে হবে। ওটা না পেলে আমি জানব না আমি কোথায় যাচ্ছি!” তিনি সেদিন তাঁর গন্তব্য খুঁজে পেয়েছিলেন কিনা আমরা জানি না। তবে আমরাও যে ওরকম একটা অজানা গন্তব্যের ট্রেনে করে কোথাও যাচ্ছি সেটা আমরা জানি। বিজ্ঞান ও দর্শনে সৃষ্টি, স্রষ্টা ও মহাজগতের গন্তব্য বিষয়ে কিছু অস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় ডিসকোর্স হলো ওয়াচমেকার এনালজি। ‘পুরনো’ বলা হচ্ছে একারণে যে কালাম কসমোলোজিক্যাল আর্গুমেন্ট বা এরিস্টটলের আনমুভড মুভার তত্তে¡র সাথে এই এনালজির অনেক মিল আছে।
এরিস্টটল বিশ্বাস করতেন, কোনকিছুই ততক্ষণ নড়বে না, যতক্ষণ না, “নড়াচড়া করা কিছু” তাকে নাড়াবে। তাই একটি আদি নড়াচড়া করা কিছুর প্রয়োজন হবে যাকে কেউ নাড়ায় নি। সহজ কথায়, আমরা যে নড়াচড়া করছি সেটা কাউকে বা কিছুকে শুরু করতে হয়েছে। নিউটন প্রতিদিন নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন করতেন এবং চার্চের আদি পিতারা ছিলেন তাঁর অন্যতম অণুপ্রেরণা। তার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে একটা নিয়মে বেঁধে দিয়েছেন এবং বাইবেল রচয়িতারা ইশ্বরের অনুপ্রেরণায়-ই সেটি রচনা করেছেন। ঈশ্বর আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করেন না। বরং ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে তার তৈরি করা বিধি দিয়ে। ওয়াচমেকার এনালজির মুল ধারণা এসেছে নিউটনের এই ধারণা থেকে। তাঁর মতে একটা ঘড়ি ও মহাজগতের ‘মেকানিক্যাল পারফরমেন্স’-এ মিল আছে। ইলেকট্রন কণা নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে। চাঁদ পৃথিবীকে, পৃথিবী সূর্যকে, এবং সূর্য গ্যালাক্সি কেন্দ্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়। এখানে ঘড়ির মতো আপাত দৃশ্যমান একটা শৃঙ্খলা আছে। ঘড়ির যদি একজন নির্মাতা থেকে থাকে তাহলে মহাজগতেরও একজন স্রষ্টা থাকবে। ঘড়ির নির্মাতা ঘড়ির জন্য যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন, ঘড়ি সেই নিয়ম মেনে চলে। মহাজগতের স্রষ্টা যে বিধি তৈরি করে দিয়েছেন, মহাজগৎ সে নিয়মে চলে। এটা হলো সংক্ষেপে ওয়াচমেকার এনালজির মুল কথা। বিপরীতপক্ষে আইনস্টাইন ইশ্বরে বিশ্বাস করতেন না। তিনি এক ব্যক্তিগত পত্রে লিখেছেন, “ঈশ্বর” শব্দটি মানুষের দুর্বলতা থেকে সৃষ্ট এবং ভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত একটি শব্দ ছাড়া আর কিছুই না। বাইবেল হল কিছু গৌরবান্বিত পৌরাণিক কাহিনীর সমাহার যা অত্যন্ত শিশুতোষ। যে কোন নিগূঢ় অর্থই করা হোক না কেন তা আমার ভাবনায় কোন পরিবর্তন আনবে না।”
ধরে নেওয়া যাক পাহাড়, পাথর, মৃত আগ্নেয়গিরি ঘেরা চিলির কোন উষর সমতলে আপনি হাজির হলেন এবং সেখানে একটা হাতঘড়ি বা টেবিল ফ্যান পড়ে থাকতে দেখলেন। তাহলে আপনি ধরে নেবেন না যে এগুলো ছড়িয়ে থাকা প্রস্তরখণ্ডের মত প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে। আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে এগুলোর একজন বুদ্ধিমান নির্মাতা আছে এবং সে এগুলো ফেলে গেছে। আবার বিস্ময়কর প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আপনার মনে হতে পারে এসবেরও একজন স্রষ্টা আছে। তার অর্থ আপনিও ওয়াচমেকার এনালজিতে বিশ্বাস করেন। আপাতত আমরা ধরে নেই আপনি নির্ভুল অনুমান করেছেন।
কিন্তু দুটি অনুমানের অল্প পার্থক্য আছে। লক্ষ করে দেখুন আমরা ঘড়ির জন্য নির্মাতা (manufacturer) এবং মহাজগতের জন্য স্রষ্টা (creator) শব্দ দুটি ব্যবহার করেছি। ঘড়ি নির্মাণ বা তৈরি করা যায়; সৃষ্টি করা যায় না। যদি কোন মন্ত্র পড়ে শূন্যে ফুঁ দিলে আমাদের সামনে একটা ঘড়ি বা মুরগির ডিম এসে পড়ত তাহলে আমরা নিজেদের ঘড়ি বা ডিমের ‘স্রষ্টা’ বলতে পারতাম। প্রকৃতিতে পাওয়া উপাদান স্টিল, তামা, নিকেল, রাবার, প্লাস্টিক- এসবের একটা কৌশলগত বিন্যাস ব্যবহার করে আমরা ঘড়ি তৈরি করি; সৃষ্টি করিনা। আপনি ইচ্ছা করলে ঘড়ি নির্মাতাকে খুঁজে বের করতে পারবেন। হয়তো দেখা যাবে ঘড়িটি জাপানের কোন কারখানায় তৈরি হয়েছে। জাপানে গিয়ে এটার কারখানা, নির্মাণ প্রক্রিয়া ও নির্মাতাকেও দেখে আসা যাবে। কিন্তু পাহাড়ের নির্মাতাকে আমরা, সাধারণ মানুষরা, দেখতে পাই না। সেকারণে আমাদের নির্ভর করতে হয় বিশ্বাসের ওপর। আর এই বিশ্বাসের ভিত্তি হলো আমাদের দেখা নিদর্শন — পাহাড়, নদী, চন্দ্র, সূর্য, বৃক্ষরাজি, প্রাণীকুল।
ওয়াচমেকার এনালজির বেশ শক্ত সমালোচনাও আছে। প্রথম বিষয় হলো এটা একটা অনুমান নির্ভর আরোহী সিদ্ধান্ত। সমালোচকরা বলছেন, পাহাড় নির্মাণ করা হয়নি; সৃষ্টি হয়েছে বা সৃষ্টি করা হয়েছে। পাহাড়ের যে নির্মাতা আছে সে অনুমানটি যত শক্তিশালীই হোক তা প্রমাণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়- যেটা সম্ভব ঘড়ির ক্ষেত্রে। এখানে দুটি অসম উদাহরণকে পাশাপাশি আনা হয়েছে, নির্মাণের সাথে সৃষ্টিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। মেঘ কে তৈরি করে এবং তা থেকে কে বৃষ্টি নামায় সে বিষয়ে সকল প্রাচীন পুরানে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা ছিল। মোটের ওপর বিশ্বাস করা হতো দেবতারা ভূভাগ থেকে আকাশে পানি তুলে নিয়ে গিয়ে মেঘ বানায় এবং সেই মেঘ গলিয়ে বৃষ্টি নামায়। মেঘকে মনে করা হতো আধা তরল, আধা কঠিন পদার্থ। পারসী ধর্মে অসুর বরুণকে “আহুরা মাজদা” বলা হয়। পরে পৌরাণিক কাহিনীতে, বরুণকে জলের দেবতা বানানো হয়েছিল। তামিল ব্যাকরণ টলকাপ্পিয়মে সমুদ্র ও বৃষ্টির দেবতা হিসাবে তাঁর উল্লেখ রয়েছে। ঋগ্বেদে অন্তরীক্ষের পুত্র সেচনসমর্থ পর্জন্যদেবকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে- “অভি ক্রন্দ স্তনয় গর্ভমা ধা উদন্বতা পরি দীয়া রথেন। দৃতিং সু কর্ষ বিষিতং ন্যঞ্চং সমা ভবন্তূদ্বতো নিপাদাঃ” (ঋগ্বেদ-৫/৮৩/৭)। অর্থাৎ : “তুমি পৃথিবীর উপর শব্দ কর, গর্জন কর, বারিদ্বারা ওষধিসমূহের গর্ভবিধান কর, বারিপূর্ণ রথদ্বারা অন্তরীক্ষে পরিভ্রমণ কর, দৃঢ়বদ্ধ নিম্নমুখ ভস্ত্রা বারিপূর্ণ মেঘকে উন্মুক্ত কর। উচ্চ ও নিম্ন স্থান সকল যেন সমতল হয়।” (ঋক-৫/৮৩/৭)।
এখন আমরা জানি যে সমুদ্রের পানি বাস্পীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করে এবং তাপমাত্রা কমে গেলে তা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি আকারে ভূ-পৃষ্টে নেমে আসে। জলের দেবতা বরুণ বা অন্তরীক্ষ-পুত্র সেচনসমর্থ পর্জন্যদেবের কোন ভূমিকা এক্ষেত্রে থেকে থাকলে সেটা আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে ধরা পড়বে না। বরং তাদের ভূমিকার ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় যখন কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানো সম্ভব হয়। বিজ্ঞানীরা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ক্যালসিয়াম অক্সাইড এবং ইউরিয়ার একটা মিশ্রণ বিমান দিয়ে ট্রপোস্ফিয়ার-এ ছড়িয়ে দেন যা বায়ু থেকে আর্দ্রতা আহরণ করে ঘনীভবন প্রক্রিয়ার সূত্রপাত ঘটায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সোডিয়াম ক্লোরাইড (যা আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করি) বা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের গুঁড়া (ডাস্ট) একইভাবে বিমান দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ঐ কৃত্রিম মেঘের দ্রæত ঘনীভবন হয় এবং তা পতনশীল অবস্থায় পৌঁছে। তৃতীয় পর্যায়ে ঐ মেঘের ওপর সিলভার আয়োডাইডের স্ফটিক ছিটিয়ে দেওয়া হলে ঐ মেঘের জলীয় বাষ্প বড় পানির ফোঁটায় পরিণত হয় এবং বাতাসে ভাসতে না পেরে বৃষ্টি আকারে নেমে আসে। এই বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে জলের দেবতার ভূমিকা (যদি সত্যি থেকে থাকে) বুঝতে হবে অতিন্দ্রীয় ক্ষমতা বা নির্ভার বিশ্বাস দিয়ে।
আইনস্টাইন বা হকিংরা মনে করেন মহাবিশ্ব কে সৃষ্টি করেছে সেটা জিজ্ঞেস না করে জিজ্ঞেস করা উচিত “কী মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছে?” তারা “সৃষ্টি করা” শব্দগুচ্ছটির চেয়ে “উদ্ভূত হওয়া” পদবাচ্যটিকে বেশি উপযুক্ত মনে করেছেন। যে পাথরখন্ডটিকে আপনি চিলির উষর সমতলে দেখেছিলেন সেটা কেউ সৃষ্টি করে সেখানে ফেলে রেখেছে, নাকি সেটা বিলিয়ন বছরের প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত হয়েছে সেটা আপনি আর একবার ভাবতেই পারেন। তবে সেখানেও একই সমস্যা থেকে যাবে। “বিলিয়ন বছরের প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ড” কীভাবে শুরু হয়েছিল তার উত্তর সিঙ্গুলারিটির ধারণা থেকে পাওয়া যাবে কিন্তু কেন শুরু হয়েছিল সেটা পাওয়া যাবে না।
ওয়াচমেকার এনালজির দ্বিতীয় যে বিষয়টিকে এর সমালোচকরা সামনে আনেন সেটা হলো, ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু ইশ্বরের তৈরি বিধিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলা। তাদের কথা হলো এই সুসংবদ্ধ বিধির মধ্যে এমন কিছু (যেমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী) আমরা দেখি কেন যা আমাদের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনে। গ্রীকরা বিশ্বাস করতো দেবতা পসিডন যখন মানুষের ওপর কোন কারণে রাগান্বিত হন তখন তাদের ভয় দেখিয়ে সাবধান করার জন্য মাটিতে পদাঘাত করেন; ফলে ভূমিকম্প হয়। পশ্চিম আফ্রিকার মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবীটা একটা দৈত্যের মাথা। বৃক্ষরাজি সেই দৈত্যের মাথার চুল। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী সেখানে পরজীবির মত বাস করে। দৈত্য যখন মাথা নাড়ায় তখন ভূমিকম্প হয়। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবী ভূ-ভাগ যে সাতটি টেকটনিক প্লেটের ওপর আছে সেগুলোর সংঘর্ষ, চ্যুতি বা শীলায় পীড়নের ফলে যে শক্তি মুক্ত হয় তা-ই ভূত্বকে আঘাত করে ভূমিকম্প ঘটায়। বেশিরভাগ ভূমিকম্প হয় সমুদ্রে (কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ সমুদ্র)। দেবতা পসিডন মানুষের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিরান সমুদ্রের নিচে ভূমিকম্প ঘটান কেন সেটা বোঝা যায় না।
বাংলাদেশে জলোচ্ছ্বাস বারবার শুধু দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে! রংপুর বা বগুড়ায় জলোচ্ছ্বাস হয় না। কারণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় হয় তা এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক কারণে পৌঁছায় না। যদি ব্যাপারটা তা-ই হয় তাহলে শাস্তি দেওয়ার জন্য দেবতা পসিডনের ক্ষুব্ধ হবার যুক্তিটি গৌণ হয়ে পড়ে। ওয়াচমেকার এনালজিতে এই বিশৃঙ্খলাকে স্বর্গীয় বিধি বা ইউনিভার্সাল ল’র ব্যত্যয় মনে করা হয়নি; অংশ মনে করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যত্যয়, বিশৃঙ্খলা, ব্যতিক্রম- সবকিছু নিয়েই ইউনিভার্সাল ল তৈরি করা হয়েছে। ওয়াচমেকার এনালজিতে আরও একটা অসম উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে। যে বিধিগুলোকে ব্রহ্মাণ্ডঘড়ি সচল রাখার ক্ষেত্রে আমরা কার্যকর দেখছি সেগুলো মহাজগৎ সৃষ্টি হবার পরে তৈরি হয়েছে। এগুলো দৃশ্যমান ও অনুধাবনযোগ্য। কিন্তু মহাবিশ্ব উদ্ভবের কারণ অনুধাবন যোগ্য নয়- কারণ তা ঘটেছিল মহাবিশ্বের উদ্ভবের পূর্বে।
পাঠকদের জন্য সাত দিনের দুটি হোমওয়ার্ক দিয়ে লেখাটা শেষ করি। এক। বিজ্ঞানীরা মনে করেন বিগ ব্যাং এর আগে স্থান ও সময় ছিল না। শূন্য স্থানও ছিল না। আপনি কল্পনায় এরকম একটা অবস্থার কথা ভাবুন যখন কোথাও কোন বস্তু ছিল না, সময় ছিল না এমনকি শূন্যস্থানও ছিল না। দুই। আজ থেকে দুই বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে সমুদ্র, পাহাড়, বৃক্ষরাজি, সমভূমি ছিল। গাছে গাছে ফুল ফুটত, ফল ধরত, নদীতে জোয়ার ভাটা হতো। আকাশে চাঁদ উঠত। ধূলিঝড়, বরফপাত, সাইক্লোন হতো। এই দৃশ্যগুলো দেখার কেউ ছিল না। তাহলে এগুলো কেন ঘটত? এখন তো ঘটে আমাদের শান্তি বা শাস্তি দেওয়ার জন্য!
hassangorkii@yahoo.com
রয়্যাল রোডস ইউনিভার্সিটি, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, জুলাই ২০, ২০২১।