জুয়েল রাজ, লন্ডন থেকে : মৃত্যু উপেক্ষা করেই, করোনাভাইরাসের লকডাউন ঘোষণার প্রায় ১০৬ দিন পর শনিবার থেকে সরব হয়ে উঠছে ব্রিটেন। পানশালা, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হচ্ছে। প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে ব্যস্ত নগরী লন্ডনসহ পুরো ব্রিটেন। শনিবার থেকে বেশ বড়ধরনের লকডাউন শিথিলের পথে যাচ্ছে দেশটি।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যাপক আকারে লকডাউন শিথিলের ফলে করোনার গাইডলাইন উপেক্ষার আশঙ্কা করছে সরকার। এর ফলে গত সপ্তাহের মতো সমুদ্র সৈকতে অনাকাঙ্খিত ভীড় বাড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।এই দিনটিকে সামনে রেখে শুক্রবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে লাইভ প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ইংল্যান্ডের চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস উইটি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশবাসীকে নিরাপদে বসন্ত উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরা বলেছেন, করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। তবে প্রদত্ত গাইডলাইন না মানলে সরকার পুনরায় লকডাউন আরোপ বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও দেশবাসীকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস উইটি বলেছেন, লকডাউন শিথিল হলেও কেউই করোনা ঝুঁকিমুক্ত নয়।

এদিকে করোনাভাইরাসে গত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রিটেনে আরো ১শ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ব্রিটেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১শ ছাড়িয়েছে।