সোনা কান্তি বড়ুয়া : লুট হয়ে যাওয়া ‘স্বাধীনাতা’ ফিরে পাওয়ার দিন এবং আপনার শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করুন। জয়তু, ‘দেশরত্ন’ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও সমাবেশ (আওয়ামী লীগ)! আজ বাংলাদেশে জনতা একটি বিপন্ন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠনের বিচার আমরা অনেক আগে থেকে চেয়ে আসছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি ও ছাত্রদল কর্তৃক কটূক্তিএবং হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ (ITTEFAQ JUNE 05, 2022)! ৭৫-এর পুনরাবৃত্তির চিন্তা মাথায় আনলে প্রতিহত করা হবে: শেখ পরশ! রবিবার (৫ জুন) বিকেলে শরীয়তপুর সদরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ এবং দলের সকল সহযোগী সংগঠনের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: শরীয়তপুরে বিক্ষোভ মিছিল! বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা। আওয়ামী লীগ- যুবলীগ- ছাত্রলীগ মাঠে থাকতে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হবে না। বাংলাদেশের এই অর্জনকে নস্যাৎ ও উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে স্বাধীনতাবিরোধী এবং দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্র বিএনপি-জামায়াত জোট প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বারবার।

বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে: নানক
এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসাইন ফকির, পৌরসভা আওয়ামী লীগের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুমন পাহাড়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হোসেন সরদার, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারী, সাধারণ সম্পাদক খোকন বেপারী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শিকদার, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহান,সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন প্রমুখসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। লুট হয়ে যাওয়া ‘স্বাধীনাতা’ ফিরে পাওয়ার দিন। জয়তু, ‘দেশরত্ন’! ইন্দিরা প্রিয়দর্শীনি। তিনি না হলে, বিশ্বসভায় ভেটো দিয়ে মার্কিন পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতি টানতো, তিনি না থাকলে জাতির পিতার পরিবার শাহাদাৎ বরণের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় ও সুরক্ষা সম্ভব ছিলোনা। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দিরার গান্ধির প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। ইন্দিরা গান্ধী, বাংলাদেশের মানুষের জন্য অকৃত্রিম বন্ধুত্বের প্রতীক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় আলবদরের নেতৃত্বে, যে সংগঠনটি তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের (বর্তমানে ছাত্রশিবির) নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি। দীর্ঘদিন পর হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার বিচারের রায় ও তা কার্যকর হয়েছে। অনেকের বিচারকাজ চলছে। কিন্তু আইন সংশোধন না হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতাকারী এবং গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশক জামায়াত, তাদের সহযোগী ‘আল বদর’, ‘আল শামসের’ মতো সংগঠনের বিচার শুরুর উদ্যোগ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। কারণ ২০১৩ সালে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংশোধনী আনার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি।

এ বিষয়ে ১৯৭১ সালের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সংগঠনের বিচার আমরা অনেক আগে থেকে চেয়ে আসছি। সুযোগ আসার পরও সরকার কেন তা করছে না, তা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা না হলে বিচারটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। বিচারপ্রত্যাশী পরিবারগুলোর প্রতি অবিচার করা হবে। ৯৯ ভাগ শহীদ পরিবারই বলবে একাত্তরে তাদের স্বজনদের আলবদর, জামায়াত ও পাকিস্তানি হানাদাররা ধরে নিয়ে গেছে। ফলে কোনো বাহিনীর বিচার না করে, গুটিকয়েক ব্যক্তির বিচার করে দায়িত্ব শেষ- এটা হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা হাজারটা যুক্তি দিতে পারব। বঙ্গবন্ধু কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, তিনি কিন্তু তার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। এখন সরকার কারো কথা শুনবে না। তারা বঙ্গবন্ধুকে মানবে না, আমাদের কথা শুনবে না। হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করবে, তাতে কার কী করার আছে?

অথচ ২০১৩ সালের আগস্টে জামায়াতের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেয়া হয়। এতে জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ আনে তদন্ত সংস্থা। এরপর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের সমন্বয়ে একটি আইনজীবী প্যানেলও গঠন করা হয়। তারা প্রতিবেদন পরীক্ষা করে অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিলের প্রস্তুতি নিলে সরকারের তরফে জানানো হয়, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংগঠনের বিচার ও শাস্তির বিধান নেই। পরে ওই বছরই মানবতাবিরোধী অপরাধী সংগঠনের শাস্তির বিধান যুক্ত করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় আইন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে এ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ‘ব্যক্তি’ শব্দটির পরে ‘অথবা সংগঠন’, ‘দায়’ শব্দের পরে ‘অথবা সাংগঠনিক দায়’, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির’ পরে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠন’ যুক্ত করা হয়। এছাড়া বিচারে সংগঠনের দোষ প্রমাণিত হলে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান রাখা হয়।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক বলেন, সংগঠনের শাস্তি কী হবে, সেটা আইনে স্পষ্ট না থাকায় রিপোর্টটিকে চার্জ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করা হয়নি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। ব্যক্তির দায় সংগঠন এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সংগ ঠনের সেই সময়ে যে সব অঙ্গসংগঠন বা যে সব ব্যক্তি জড়িত ছিলেন, তাদের সবারই বিচার হয়। তাদের সবার ওপরই এ অপরাধের দায় চলে আসে। জঙ্গিবাদ, সা¤প্রদায়িকতাকে সমূলে উৎপাটন ও দলটির স্বরূপ উদ্ঘাটনের জন্য রিপোর্টটির অবিলম্বে যথাযথ নিরীক্ষণপূর্বক এই বিচারটি প্রকাশ্য আদালতে করার দাবি জানান সানাউল হক। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সানাউল হক।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, তদন্তের পর জামায়াতের বিচারের বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংকেত না পাওয়ায় এটি মামলা হিসেবে উপস্থাপন করা যায়নি। একপর্যায়ে আমাদের বলা হলো, ধীরে চলো (গো স্লো)। এরপরই মূলত প্রক্রিয়াটি থমকে যায়। এরপর আইনমন্ত্রী (আনিসুল হক) আইনে কিছু পরিবর্তন ও সংশোধনী আনতে চান বলে জানান। কিন্তু এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এ আইনটি সংশোধন করা হলে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ও এর মধ্যে চলে আসত।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, এখানে রাজনৈতিক কৌশল অথবা কোনো চিন্তাভাবনা রয়েছে। এমন না হলে বিষয়টি নিয়ে এত বিলম্বের কারণ ছিল না। এদিকে একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল আট বছরের বেশি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা বলছেন, সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে হাইকোর্টের ওই রায়, গোলাম আযমের রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ ও সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদই যথেষ্ট।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির (বর্তমানে প্রয়াত) গোলাম আযমের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার দলকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করে। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ঐতিহাসিক এ রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে বিচারের দাবি জোরালো হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছরেও এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধন না হওয়ায় ঝুলে আছে বিচারপ্রক্রিয়া। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা এক সময় জোরালো প্রতিশ্রæতি দিলেও এখন তারা নীরব। কেউ কেউ বলছেন, সরকারের ‘ধীরে চলো’ নীতির কারণেই জামায়াতের বিচারের বিষয়টি ঝুলে আছে। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শহীদদের পরিবার ও বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, বিচারের মাধ্যমে জামায়াত নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে আস্ফালন এখন চলছে, তা দেখতে হতো না।

পাকিস্তান ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধানে লিখে বাংলাদেশ জয়ের বিনিময়ে দেখলেন রক্তপাত এবং মৃত্যুর বিভীষিকা সাথে এই দলের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজনকে জোড়পূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা, এটি জয় নাকি পরাজয়? একি ন্যায় নাকি অন্যায়? একি বীরত্ব নাকি চরম পরাজয়? নিরপরাধ শিশু এবং নারীদের হত্যা করা কি বীরের কাজ? অন্য রাজ্য ধ্বংস করে কি নিজ রাজ্যের সমৃদ্ধি করা যায়? কেউ স্বামী, কেউ পিতা, কেউ সন্তান হারিয়ে হাহাকার করেছে-এসব মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ কি জয় নাকি পরাজয়? আমার বাংলাদেশে, আমার জন্মভূমি আমার কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থভূমি। “অশোক যাহার কীর্তি গাইল. / হিমালয় থেকে জলধি শেষ।”

ইসলাম ধর্ম কে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়, ইহাই বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের মত ও ইচ্ছা। বাঙালি এনলাইটেনমেন্ট যুগে জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও।” মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চারিদিকে শুধু মানুষের আহাজারি, হাহাকার। বিভেদ বিদ্বেষের নামই কি রাজনীতি? ধর্মান্ধের হিংসা উন্মত্ত রাজনৈতিক ধর্ম মানবতাকে ধ্বংস করেছে! ধর্মের নামে‘ধর্ম যার, যার, সংবিধান সবার’! ১০ বছরে বাংলাদেশে ৯ লক্ষ হিন্দু কমেছে (টরন্টোর বাংলা কাগজ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২)!

ধর্ম কে অপব্যবহার করে মানুষ পশু হয়েছে বার বার অনেকবার। ইসলাম ধর্মের নামে অহং সর্বস্ব রাজনীতি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল একাত্তরের আটকে পরা বিহারী শরনার্থীদের সম্বন্ধে একটা টু শব্দ ও করেন না। প্রসঙ্গত: বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, কোন রাষ্ঠ্রধর্ম নয়:! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকাররা ‘সওয়াব ’ এর আশায় জোর করে মুসলমান করেছে হিন্দুদের, মুসলমান না হলে মৃত্যু। পিস কমিটির ইচ্ছানুযায়ী বিবাহযোগ্য নব মুসলিম কন্যাদের একটি অংশ পিস কমিটির অনুগত যুবকদের বাড়ীতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করা হয় (মুনতাসীর মামুন, রাজাকারের মন, পৃষ্ঠা ৯১)। ধর্ম যার, যার, বাংলাদেশ সবার! রাজাকার শাহ মোয়াজ্জেম Prime Minister হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করতে যুদ্ধাপরাধী ও জামাতকে নিযুক্ত করে চলে গেছে। জে: জিয়াউর রহমান এবং জে: এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রাষ্ঠ্রদ্রোহী রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে পলিটিক্যাল ইসলামের অমাবস্যার আলোয় বে-আইনি রাজনীতিতে খাল কেটে কুমির আনে। ভারতের দুর্র্ধষ জঙ্গী ড. মুফতি ওবায়দুল্লাহর (জনকন্ঠ, ১৮ই জুলাই, ২০০৯) ঢাকায় গ্রেফতার হলো এবং তার স্বীকারোক্তিতে পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর – ই তৈয়বা ও সামরিক গোয়েন্দা আই এস আইয়ের ১৫ বছরে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ৫টি Jihadi ভাই” নামক রাষ্ঠ্রদ্রোহী সন্ত্রাসী দল তৈরী করে চলেছে। অমর শহীদ মিনারের দেশে রাজাকার এবং যুদ্ধপরাধীদের কোন জায়গা নেই।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, জামায়াতের বিচারের উদ্যোগ সরকারের রয়েছে। আইনের খসড়া সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলেই বিচারের উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া যাবে না। বিচার হবে এটুকু বলতে পারি। আমরা চেষ্টা করব। এ বিষয়ে জানতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে বিষয় উল্লেখ করে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাসকে এই প্রজন্মের কাছে তাদের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে ‘আপনার শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করুন। আগামীর চোখে বাংলাদেশ’।

আমার চোখে বাংলাদেশ! পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাথে হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ঠ্রদ্বয় (ভারতও ভুটান) পাকিস্তানের AGAINST যুদ্ধ করে! গোটা দেশ সেই সমস্ত বীর, সাহসীদের আত্মত্যাগের প্রতি সবসময় ঋণী থাকবে।’ “দুঃখের তপস্যা আজ ও হয়নি সমাপন।” পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী!

লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!