অনলাইন ডেস্ক : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের মুখে হাসি দেখতে চান। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কৃষকের মুখে হাসি দেখলে হাসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষকের চোখে পানি দেখলে তার মন কাঁদে। তিনি সবসময় কৃষকের হাসিমুখ দেখতে চান। একদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেটি আজ সফলতা পেয়েছে। হাওর অঞ্চল কৃষি প্রধান অঞ্চল। তাইতো হাওর অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন একযোগে এই করোনার মধ্যেও কাজ করে চলছে। এই করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে। একারণেই যতই ষড়যন্ত্র হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ায় অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, নগদ অর্থ ও মাস্ক বিতরণ শেষে সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বসেরা। সেজন্য সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বল্পসুদে কৃষকদের কৃষিঋণ প্রদান করছে, সার, সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করেছে। কৃষকের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অথচ, বিএনপির শাসনামলে কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদেরকে হাহাকার করতে হয়েছিল। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। বিএনপি সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল। তাই এদেশের জনগণ বারবার রায় দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে।
এসময় নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায়, পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক মাল, সহ-সভাপতি বাদশা শেখ, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জমান খোকন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপমন্ত্রী জাজিরা ও নড়িয়ার পদ্মার দুই তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।