সোনা কান্তি বড়ুয়া : পৃথিবীতে যতগুলি ধর্ম আছে তা’র প্রত্যেকটিতেই দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়া’ বার কথা জোর দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। ধর্ম কে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে যেন ব্যবহার করা না হয়, ইহাই ভারত এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের মত ও ইচ্ছা। বিশ্বশান্তির উৎস নিরুপণ করতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয় জাতিসংঘের ভাষণে ঘোষণা করলেন, “ভারত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পূজনীয় বুদ্ধ দিয়েছে এবং পূজনীয় গৌতমবুদ্ধই (বুদ্ধের উপদেশ) বিশ্বশান্তির উৎস ও প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি – বুদ্ধ বন্দনা! যুদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে শুক্রবার নিজের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন (September 2019 খবর এএনআই’র)।” জাতিসংঘে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুদ্ধ বন্দনা কেন?
বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞই কি হিন্দুধর্ম? বৌদ্ধদের ভারত ভ‚মি ও SOUTH ASIA দেশে সমস্ত বিষয়েই ধর্মান্ধ হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথার সুড়সুড়ি কেন? বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দু ধর্ম করতে বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল! হিন্দুপন্ডিতগণ দশরথ জাতককে বদলায়ে রামায়ণ রচনা করার পর উক্ত রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে সনাতন ধর্মের নবম অবতার গৌতমবুদ্ধকে চোর (HATE CRIME OF হিন্দুধর্ম) এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে। বৌদ্ধ জাতকই রামায়ন ও মহাভারতের উৎস! হিন্দুরাজা শশাংক বৌদ্ধদের প্রার্থনার জায়গা (৬৫০ সালে) বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষ ধ্বংস করেছিলেন! হিন্দু শাসক শশাঙ্ক, আদি শঙ্করাচার্য্য এবং কুমারিল ভট্ট ফতোয়া দিলেন, বৌদ্ধ মাত্রই বধ্য বা বৌদ্ধদেরকে হত্যা কর (পৃষ্ঠা ১২, দেশ, কলিকাতা, ৪ মে, ২০০১)।” হিন্দু ব্রাহ্মণেরা বৌদ্ধ জাতক থেকে রামায়ন ও মহাভারত রচনা করার গভীর ষড়যন্ত্র এবং রহস্য দ্রæত উদঘাটন করা হয়েছে! হিন্দু লেখকগণ বৌদ্ধ দশরথ জাতককে বদলায়ে হিন্দু রামায়ন এবং ১০০ বৌদ্ধ জাতককে বদলায়ে মহাভারত বানিয়েছে!
ভারতে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণে বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত হাজার হাজার মানুষ বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণে বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি”! শুক্লা দশমীর আলোর ঝর্ণাধারায় আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদ, “৫ অক্টোবর, ২০২২ বুধবার দিল্লির অম্বেডকর ভবনে গণ ধর্মান্তরণ ছিল। বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সেখানকার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ধর্মান্তরণে উপস্থিত আপের মন্ত্রী। ধর্মান্তরণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হিন্দুত্ব-বিরোধী শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টির এক মন্ত্রী! অভিযোগ, রাজেন্দ্র পাল গৌতম প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘আমি হিন্দু দেব-দেবীর পুজো করব না।’’ বিষয়টি নিয়ে আপের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ করেছে, ‘হিন্দুত্ব-বিরোধী’ প্রচার চালাচ্ছেন কেজরীওয়াল। রাজেন্দ্র সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, বিজেপি আসলে ‘দেশ-বিরোধী, (৫ অক্টোবর, ২০২২ )!”
মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দুরাষ্ট্র ও হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথা! হিন্দুরাষ্ট্র ও হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথায় মানবাধিকার নেই! এবং রাজা বল্লাল সেন বৌদ্ধধর্মীদের নমঃশূদ্র করতে হুলিয়া জারি করলো! ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতির প্রাচীন বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! বৌদ্ধরা কিভাবে নমঃশূদ্র হলো? In 1235 A. D. ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হুলিয়া জারি করলো। বৌদ্ধরা তা মানলো না। শুরু হলো রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ ও অত্যাচার। অকথিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বৌদ্ধরা জলে জঙ্গলে (পূর্ববঙ্গে) পালালো। ভারতে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণে বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত হাজার হাজার মানুষ!
হিন্দুরাজনীতি গৌতমবুদ্ধকে নিয়ে মিছামিছি হিন্দুর ভগবান নবম অবতার বানিয়েছেন এবং সব প্রমান ইতিহাসে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞই কি হিন্দুধর্ম? অহিংসা বৌদ্ধদের ধর্ম এবং জাতিভেদ প্রথায় (TRAGEDY OF CASTE SYSTEM) সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রশক্তির হিংসার নাম হিন্দুধর্ম! হিন্দুত্ববাদীদের হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থভ‚মি “বুদ্ধগয়া (MANAGEMENT COMMITTEE) দখল করে বৌদ্ধ ধর্মের চেতনা বিরোধী জঙ্গি ব্রাহ্মণ্য ধর্মী হিন্দু মৌলবাদের সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাস হিন্দু রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ বৌদ্ধরা নমঃশূদ্র ও দলিত হলো! ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতারণার রাজনীতিতে বৌদ্ধ সম্রাটের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মহামতি সম্রাট অশোকের বংশজ মৌর্য বংশের সর্বশেষ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল এবং মগধের সিংহাসন অধিকার করে নিজেকে হিন্দু রাজা ঘোষিত করেছিলেন। এবং তাঁর নির্দেশে বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়া কেড়ে নিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রতারণার রাজনীতিতে বৌদ্ধদের ভারত ভ‚মি ও দেশ (SOUTH ASIA) দখল করার নাম হিন্দুধর্ম!
আমার দেশ আমার পরম তীর্থভ‚মি এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র। অহিংসা বৌদ্ধদের ধর্ম এবং জাতিভেদ প্রথায় (TRAGEDY OF CASTE SYSTEM) সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রশক্তির হিংসার নাম হিন্দুধর্ম! হিন্দুত্ববাদীদের হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থভ‚মি “বুদ্ধগয়া (MANAGEMENT COMMITTEE) দখল করলেন THOUSAND YEARS AGO! ভারত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পূজনীয় বুদ্ধ দিয়েছে! হিন্দুরাজনীতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করল কেন? হিন্দু জাতিভেদ প্রথায় মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই হিন্দু রাজনীতির হিন্দু ধর্ম!
বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিত গ্রন্থানুসারে, ১৮৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে (B. C.) মৌর্য্য রাজবংশের নবম বৌদ্ধসম্রাট বৃহদ্রথের (5th Generation of Emperor Asoka) প্রধান সেনাপতি হিন্দু ব্রাহ্মণ্ পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মৌর্য্য সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে শক্তি প্রদর্শনের সময় তাকে হত্যা করে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটান ও শুঙ্গ রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করে চলেছে। বৌদ্ধ সম্রাটের ব্রাহ্মণ সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ মহামতি সম্রাট অশোকের বংশজ মৌর্য বংশের সর্বশেষ বৌদ্ধ সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করেছিল এবং বৌদ্ধ ধর্মের মুল গ্রন্থ বৌদ্ধ ত্রিপিটককে নিশ্চিহ্ন করে হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বৌদ্ধ জাতকের গল্পকে চুরি করে (১) রামায়ন (২) মহাভারত (৩) বেতাল পঞ্চবিংশতি (পঞ্চতন্ত্র), (৫) HITOPADESA এবং (৬) কথাসরিৎসাগর রচনা করেছেন! বৌদ্ধ নলিনীকা (৫২৬) এবং কট্টহারী জাতক হতে নেওয়া হয়েছে মহাভারতের শকুন্তলা ও রাজা দুস্যনের প্রেম কাহিনী। তাই বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা ছিল! হিন্দুরাজনীতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হত্যা করল কেন?
হিন্দুরাজনীতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করল কেন? “সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন যে, একদা রাশি রাশি বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির (আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়, ২২ আগষ্ট, ১৯৯৩)!” হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠতম তীর্থভ‚মি “বুদ্ধগয়া দখল করে বৈদিক পন্থীরা মিথ্যা ইতিহাস বানিয়ে বৌদ্ধ সভ্যতাকে গ্রাস করে ফেলেছে। মুসলিমিরা আসার আগে ভারতে সুদীর্ঘকাল বৌদ্ধদের সাথেই বৈদিকদের (বর্তমানের হিন্দু) দ্ব›দ্ব-সংঘাত ছিল।
জাতিভেদ প্রথার শাপমোচনে ভারত ও বাংলাদেশে বৌদ্ধ রাজত্ব ছিল! বৌদ্ধদের ভারত ভ‚মি ও বাংলাদেশ দখল করার নাম হিন্দুধর্ম! সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর বৌদ্ধ ভারতে ব্রাহ্মণ্যধর্মী হিন্দু মৌলবাদের হরিলুট! বৌদ্ধবিশ্বের প্রার্থনার জায়গা বুদ্ধগয়ায় হিন্দু রাজনীতির শিবলিঙ্গ দুর্বৃত্তপনা কেন? বৌদ্ধদের বুদ্ধগয়ায় ইতিহাসে জাতক কেড়ে নেবার নাম কি হিন্দুধর্ম? বৌদ্ধদের ভারত ভ‚মি ও SOUTH ASIA দেশে সমস্ত বিষয়েই ধর্মান্ধ হিন্দুধর্মের জাতিভেদ প্রথার সুড়সুড়ি কেন? হিন্দুরাজনীতি গৌতমবুদ্ধকে নিয়ে মিছামিছি হিন্দুর ভগবান বানিয়েছেন এবং সব প্রমান ইতিহাসে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞই কি হিন্দুধর্ম?
বাংলাদেশে বৌদ্ধ পালরাজাগণ চারশত বছর (820 to the 1144 A. D.) রাজত্ব করেছিলেন! রামুর মুসলমান হয়ে বাংলাদেশে ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে আমরা বাংলাদেশে ২৫ হাজার ইসলামী জঙ্গি রামুর বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ ট্রাজেডি করতে দেখেছি! কিন্তু ইসলাম ধর্ম অবমাননার অপবাদে রামুর মুসলমান ফেইসবুকে কোরআনের উপর পদচিহ্ন সৃষ্ট অপরাধীদের বিচার দেখিনি। বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে বাংলাদেশে বৌদ্ধ রাজত্ব!
হিন্দুরাজনীতি বুদ্ধের দেহকে দেখে কিন্তু বুদ্ধের উপদেশ মেনে চলে না এবং বুদ্ধের উপদেশ ছিল, “যে আমার দেহকে দেখে সে আমাকে দেখে না, যে আমার উপদেশ মেনে চলে সে আমাকে দেখে ও মেনে চলে।” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “তিনি (গৌতমবুদ্ধ) জন্মেছেন মানবের চিত্তে, প্রতিদিন তিনি জন্মাচ্ছেন, প্রতিদিন তিনি বেঁচে আছেন।” ভারত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পূজনীয় বুদ্ধ দিয়েছে! হিন্দুরাজনীতি সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারতকে হিন্দু ভারত করল কেন? বৌদ্ধরা কিভাবে নমঃশূদ্র হলো? ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন (In 1235 A. D.) যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হুলিয়া জারি করলো। বৌদ্ধরা তা মানলো না। শুরু হলো রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ ও অত্যাচার। অকথিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বৌদ্ধরা জলে জঙ্গলে (পূর্ববঙ্গে) পালালো। ওদের পিছনে ধাওয়া করে হত্যা করো। (গুরুচাঁদ চরিত ষষ্ঠ সংস্করণের ২৩৮ ও ২৩৯ পৃষ্ঠা দেখুন)। ব্রাহ্মন ও উচ্চবর্ণের ভারতে রক্তাক্ত দলিত বিদ্বেষ কেন? ব্রাহ্মন ও উচ্চবর্ণের হিন্দু যেই মানব, বৌদ্ধ দলিত, রোহিঙ্গা মুসলমান ও সেই মানব (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২)! ইতিহাসের আলোকে ধর্মীয় নিপীড়ন প্রতিরোধ প্রসঙ্গ প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি!
হিন্দু মন্দিরে হিন্দুরষ বুদ্ধকে পূজা করে না এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সমাজের কাছে বৌদ্ধধর্মের পতনের কারন সম্বন্ধে জবাবদিহি করেছেন, “তাঁর (গৌতমবুদ্ধের) তপস্যা কি শুধু ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে? ভারতের মাটিতে আজ তাঁর তপস্যা বিলুপ্ত হয়েছে। আমাদের অমূল্য ভান্ডারে দ্বার ভেঙ্গে গেছে। মানুষকে আমরা শ্রদ্ধা করিনে।” গৌতমবুদ্ধকে সশ্রদ্ধ বন্দনা নিবেদন করে ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, তার সরকার বিশ্ববাসীর উন্নয়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্য বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেন। ভ‚পালে সাঁচীর তোরনদ্বারের দক্ষিন তোরণের পশ্চিমের স্তম্ভের মাঝের দুটো প্যানেলে সেই মহামতি সম্রাট অশোকের তীর্থভ‚মি বুদ্ধগয়ায় মহাবোধিবৃক্ষে বুদ্ধ বন্দনার অমর এ্যালবাম আজ ও অম্লান হয়ে আছে। একদা হিন্দুধর্ম ত্যাগ করার পর সম্রাট অশোকের প্রার্থনা ছিল, “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।”
বুদ্ধ উপনিষদ” শীর্ষক বই লিখে বুদ্ধ কে হিন্দুর নবম অবতার করার ষড়যন্ত্র এবং সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ‘আল্লাহ উপনিষদ রচনা’ সম্পাদন করার পর বুদ্ধগয়া ভবিষ্যৎ বৌদ্ধজাতির উন্নতির প্রেক্ষাপট, সেই পূত পবিত্র বুদ্ধের প্রেক্ষাপট অঙ্গনে শিবলিঙ্গের গর্ত পূজায় অত্যাচার করে নষ্ঠ করে বৌদ্ধদের ভবিষ্যতকেই ভষ্মীভ‚ত করা হচ্ছে, শুধু প্রতীকিভাবে নয়, আক্ষরিক অর্থে।
হিন্দুত্ববাদীদের বৌদ্ধ প্রতারণার অভিনব কৌশল এবং হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধধর্ম গ্রহন না করে বা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী না হয়ে পূজনীয় গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুরাজনীতি নবম অবতার বানিয়ে বানিয়ে গোলে মালে আধুনিক সমাজের চোখে ধূলো দিচ্ছেন। ভারতীয় ধর্মান্ধ হিন্দুপন্ডিতগণ হাজার বছর পুর্বে অহিংসা পরমধর্ম প্রচারক এবং মানবাধিকারের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা বেদ বিরোধী গৌতমবুদ্ধকে হিন্দুধর্মের জগন্নাথ বুদ্ধ পুরাণ শীর্ষক তিন হাজার পৃষ্ঠার বই লিখে উড়িষ্যায় রথ যাত্রা এবং পুরীর বৌদ্ধমন্দিরকে জগন্নাথ মন্দির নাম বদলিয়ে দখল করেছে। ধর্মান্ধ হিন্দুশাসকগণ কর্তৃক ভারতে বৌদ্ধধর্ম ধ্বংসের সচিত্র বই উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মহাপন্ডিত বংশিধর মোহান্তি রচনা করেছেন। জগন্নাথ বৌদ্ধ বিহার ও মঠের (PURI) কিছু কিছু জায়গা আংশিক ধ্বংস করে সেখানে বৈদিক কাঠামো ও গঠন শৈলীতে গোড়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। আর গৌতম বুদ্ধের মূর্তিকে বিকৃত করে বা কিছু কিছু জায়গায় ভেঙ্গে দিয়ে (হাত, মুখ) জন্ম হয়েছে জগন্নাথ দেবের। আবার মন্দিরের গায়ে নতুন কিছু ভাস্কর্যও পরবর্তীকালে তৈরি করা হয়েছে। যেমন দেয়ালে “কাম-কলার চিত্র”।
বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক রস ও প্রজ্ঞালোকের ঝর্ণাধারায় আলোকিত “বৌদ্ধচর্যাপদ “প্রথম বাংলা বইতে ধ্যান নির্দেশের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় মহাসুখসঙ্গম। বৌদ্ধ পালরাজাগণ বাংলাদেশে চারশত বছর রাজত্ব করেছিলেন এবং ১০৪১ সালে অতীশ দীপংকর তিব্বতে যাবার পর বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্ম রাতারাতি কোথায় হারিয়ে গেল? ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া এক সময় বৌদ্ধপ্রধান দেশ ছিলো!
ইসলামি রাজনীতি বৌদ্ধধর্ম এবং বৌদ্ধ প্রধান দেশকে অজগরের মতো গিলে ফেলেছে! মুসলমান রাজনীতির আক্রমণের শিকার বৌদ্ধ ধর্ম কেন? বৌদ্ধধর্মকে ধ্বংস করার নাম বৈদিক হিন্দুধর্ম এবং রামষই পন্ডিতের লেখা “শূন্য পুরান“ শীর্ষক বই বলছে (16th Century), সন্ত্রাসী তুর্কি মুসলমান বখতিয়ার খিলজি ও মুসলমান শাসকগণ বৌদ্ধগণকে মুসলমান বানিয়েছিলেন! মহেঞ্জোদারো-হরপ্পায় বৌদ্ধধর্ম ও চর্যাপদে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ প্রসঙ্গ : ১৯৯৩ সালের ২২ আগষ্টের আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয়, “সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেমন করিয়া ভুলিয়া গেলেন অসংখ্য বৌদ্ধ ধর্মস্থান ধ্বংস করিয়া একদিন গড়িয়া উঠিয়াছিল রাশি রাশি হিন্দু মন্দির।” ভারতে সম্রাট অশোক সা¤্রাজ্যের পূজনীয় বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু রাজনীতি ধ্বংস করল কেন?
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতে ১১৯২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী বিশ্বাসঘাতক হলায়ুধ মিশ্র হিন্দু রাষ্ট্রধর্মের নেতা হয়ে বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ করতে ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন। তিনি তাঁর রচিত দিনলিপির (ডায়েরী) উক্ত বইতে মুসলিম তুর্কী মিশনের যোদ্ধাদের সাথে মহামন্ত্রীর গোপন ষড়যন্ত্রে রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খি লজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত লোমহর্ষকর বাস্তব ঘটনাবলী অকপটে রচনা করে স্বীকার করলেন। ১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়! এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MpEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!