অনলাইন ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের পুরো সময়ে আসা রেমিট্যান্সের অঙ্ককে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। ওই অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭৮ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এ ছাড়া গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৪ কোটি ডলার বা ৫০ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
করোনা মহামারীর মধ্যেও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির এমন প্রবণতাকে আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘অর্থবছরের আরো তিন মাস বাকি রয়েছে। গত মাসগুলোর ধারাবাহিকতায় এ তিন মাসে আরো অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসবে বলে আশা করা যায়। কারণ সামনে রোজার ঈদ আছে। প্রতি বছরই রোজার ঈদে রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।’
ফলে অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্স বেড়ে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ার এই প্রবণতার পেছনে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা বড় ধরনের অবদান রেখেছে বলে জানান কাজী ছায়েদুর।
২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রেমিট্যান্সে বাড়তি ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। অর্থাৎ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে এর সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে প্রবাসীদের স্বজনদের হাতে মোট ১০২ টাকা তুলে দিচ্ছে সরকার।