অনলাইন ডেস্ক : ভারতে বাড়ি ফিরতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে পরিযায়ী শ্রমিকদের৷ ট্রেনে জায়গা না হলে বাস, ট্রাক, সাইকেল- যে যেভাবে পারছেন নিজেদের মতো করেই বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করছেন৷ গত কয়েক দিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গোটা লকডাউন পর্বে এই ছবিটাই দেখেছে ভারত৷
এই যখন পরিস্থিতি তখন সম্পূর্ণ উল্টা ছবিও সামনে এলো৷ অর্থের জোর থাকলে যে পোষ্য সারমেয়র জন্যও চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করা যায়, তা প্রমাণিত হয়ে গেল৷ সূত্রের খবর, এক শিল্পপতি তার পোষা কুকুরকে বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বইয়ে ফেরাতে একটি চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করেন৷ গত ৪ জুন মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু গিয়ে পোষ্য সারমেয়টিকে নিয়ে ফের মুম্বইতে ফিরে আসে ওই বিমান!
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পোষ্য কুকুরটিকে বেঙ্গালুরু থেকে ফেরাতে ওই শিল্পপতির পরিবারের তিনজন চার্টার্ড বিমানে বেঙ্গালুরু যান৷ বেলা দেড়টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে দু’ ঘণ্টা মতো বেঙ্গালুরুতে ছিলেন তারা৷ এর পর সারমেয়টিকে নিয়ে ওই চার্টার্ড বিমানেই তারা মুম্বই ফেরেন৷ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে এমনই খবর৷ তবে কর্ণাটক সরকারের নিয়ম মেনে চার্টার্ড বিমানের আরোহীরা কোভিড ১৯ নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ তবে যে ল্যাব থেকে ওই কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল, সেটির নাম আইসিএমআর-এর অনুমোদিত ল্যাবগুলোর তালিকায় ছিল না৷ ফলে প্রাথমিকভাবে কিছুক্ষণ বিমানের আরোহীদের শহরে ঢুকতে দেয়া নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হয়৷ পরে অবশ্য সেই অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ৷ এর পর শহরের একটি কেনেল থেকে কুকুরটিকে নিয়ে ফের বিমানবন্দরে আসেন শিল্পপতির পরিবারের সদস্যরা৷
তবে সরকারের অন্য একটি সূত্রের দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনেই এগিয়েছেন ওই চার্টার্ড বিমানের আরোহীরা৷ সূত্রটির দাবি, ‘আমরা সমস্ত রকম জরুরি পরীক্ষা করেছি এবং আর পাঁচজন যাত্রীর মতোই ওই চার্টার্ড বিমানের আরোহীদের সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ তাদের কোনো ভিআইপি সুবিধা দেয়া হয়নি৷ তারা কী উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিলেন, তা নিয়ে আমরা ভাবিত নই৷’ সূত্র : নিউজ১৮