অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির আওতায় ইউক্রেন নিজের কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ইউক্রেনের পরিসংখ্যান বলছে, যুদ্ধে রুশ সেনারা আগের তুলনায় বেশি হারে নিহত হচ্ছে। এই তথ্য যাচাই না করা হলেও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিসংখ্যানটি সঠিক বলে মনে করছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেন টিকে থাকার জন্য লড়ছে। ইউক্রেন নিজের মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে এবং অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের পথে যাচ্ছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ভূমি দিয়ে দেওয়ার অর্থ রাশিয়া পুনরায় ফিরে আসতে পারে। এটা আপসের কথা নয়। আমরা কেন আপস করতে ভয় পাব? প্রতিদিন আমাদের অনেক আপস করে চলতে হয়। প্রশ্নটা হলো, আপসটা কাদের সঙ্গে? পুতিনের সঙ্গে? না। কারণ, সেখানে বিশ্বাস নেই’।
জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া বসন্তে হামলার যে আভাস দিয়েছিল, তা এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও সামরিক সহায়তা দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে পশ্চিমারা ধীরগতিতে অস্ত্র দেওয়ায় কিয়েভের হতাশা বাড়ছে।
গত মাসে ইউক্রেনে যুদ্ধের ট্যাংক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বলেছে ট্যাংকগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘অস্ত্রই একমাত্র ভাষা, যা রাশিয়া বুঝতে পারে’।
আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়াতে গত সপ্তাহে জেলেনস্কি যুক্তরাজ্য ও ইইউ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার দেশকে রক্ষার জন্য আধুনিক অস্ত্র চান। যখন তিনি আধুনিক যুদ্ধবিমান চান, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তখন বলেন, এমন কিছু সম্ভব নয়।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর দেওয়া হুমকির কথা তুলে ধরেন। লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, ইউক্রেনের একজন সেনাও যদি তার সীমান্ত ও নাগরিকদের অতিক্রম করে, তবে তিনি যুদ্ধ শুরু করবেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা (বেলারুশ) যুদ্ধে যোগ দেবে না। যদি তারা যোগ দেয়, তবে আমরাও লড়ব, টিকে থাকব। রাশিয়া যদি আক্রমণের জন্য পুনরায় বেলারুশ ব্যবহার করে, তবে এটি হবে বড় ভুল’।