অনলাইন ডেস্ক : অদাবিকৃত মুনাফা পুঁজিবাজার স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। কিন্তু ব্যাংকিং আইনে তা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরই মধ্যে কোনো ব্যাংক ওই তহবিলে অর্থ জমা দিয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত সব ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানাতে গতকাল এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে ৩২টি ব্যাংক তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব ব্যাংকের কাছেই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো নিট লাভের ওপর প্রতিবছর লভ্যাংশ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য। নিয়মানুযায়ী তা বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসেবে তা চলে যায়। এ প্রক্রিয়ায় একটি ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়। একটি হিসাবে তা জমা দেয় লভ্যাংশ ঘোষণাকারী ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারী ঘোষিত লভ্যাংশের দাবি জানায়। প্রমাণাদি দাখিলের পরই ব্যাংকের মাধ্যমে চলে যায় বিনিয়োগকারীদের হিসাবে। বর্তমানে প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। আগে এটি অ্যানালগ বা কাগুজে প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হতো। কিন্তু বছর শেষে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও অনেক বিনিয়োগকারী তা তুলে নেয়নি বা দাবি করেনি। ফলে অদাবিকৃত মুনাফার পরিমাণ বিভিন্ন কোম্পানির কাছেই থেকে যায়। প্রতিবছর কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করতে হয়।
অদাবিকৃত এ লভ্যাংশ নিতে চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য গঠন করেছে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অদাবিকৃত জমে থাকা লভ্যাংশ এই ফান্ডে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। কিন্তু বিএসইসির এই নিদের্শনা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। এ জন্য ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স ও তদারকি সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই তহবিলে অদাবিকৃত লভ্যাংশ জমা দিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে।