সোনা কান্তি বড়ুয়া : পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জুম্মদের নির্যাতনের স্মৃতির পটে জীবনের ছবি কে আঁকিয়া যায়? মহাকালের বিবর্তনের ধারায় দৃষ্টিপাত জাগ্রত মানবতার কল্যাণে নিবেদিত বাংলাদেশ! ধর্মীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্ব আর কুসংস্কার দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা যাবে না। সে সঙ্গে জঙ্গিবাদের অন্যতম শক্তি অর্থ জোগানের উৎস বন্ধ করতে হবে কঠোরভাবে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, জঙ্গিবাদের মদতদাতা, পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যে-ই হোক, তাদের কঠোর শাস্তি প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অভিশপ্ত ধর্মান্ধতায় জঙ্গিবাদীরা মানুষকে আবার অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্টেট, তালেবান ও আল কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী দেশে দেশে চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার অস্তিত্ব নিঃশেষ করার জন্য ষড়যন্ত্র প্রতিনিয়ত শাসকগোষ্ঠী চালাচ্ছে। ১৯৭২ সালে সংবিধানে আমাদের অস্তিত্বকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫ লক্ষাধিক (এখন ১২ লক্ষাধিক) সেটেলার পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা, কোনো ভ‚মি বেদখলকারীর পক্ষে কাজ করা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নয়।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম. ধর্মের জন্য? পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনতা মুসলমান নয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জুম্ম দের উপর ভ‚মি দখল, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করছে! সেনাবাহিনী ও মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতির সন্ত্রাস কেন? আজ যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বাস্তবায়ন করতেন, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা কর্তৃক জুম্মদের উপর ভ‚মি দখল, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এর মতো কার্যক্রম করতে পারতো না। আমাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার লড়াইয়ে সামিল হতে হবে।
সংহতি বক্তব্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উলিচিং মারমা বলেন, আমরা যে দিকে তাকাই সেদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ‚মি বেদখল, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, গুমের কথা। আমাদের ন্যূনতম ভ‚মি অধিকার পর্যন্ত নেই। আমরা যারা প্রতিবাদ করি তাদেরকে কখন কিভাবে ধরা যায়, তাদের কিভাবে নিঃশেষ করা যায়, শাসকগোষ্ঠী সবসময় সেই পরিকল্পনা করে থাকে। আজ যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বাস্তবায়ন হতো, তাহলে আমাদের উপর ভ‚মি দখল, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এর মতো কার্যক্রম করতে পারতো না। আমাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার লড়াইয়ে সামিল হতে হবে।
রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়িতে ভ‚মি বেদখলের প্রচেষ্টা ও সেনাবাহিনীর জুম্ম মারধরের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে পিসিপি ও এইচডাবিøউএফের বিক্ষোভ, ভ‚মি কমিশন কার্যকরের দাবি! হিল ভয়েস, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রাঙ্গামাটি: আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ বিকাল ২:৩০ টায় রাঙ্গামাটিতে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করার দাবি এবং জুরাছড়িতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্মর ভ‚মি বেদখলের চেষ্টা ও সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিবাদকারীদের মারধরের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডরেশন (এইচডাবিøউএফে) এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে ন্যায়বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে যারা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, শিশু নারীদের হত্যা করেছে। সেই হত্যাকারীদের বিচার না করে ইমডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে খুনিদেরকে পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকির দেওয়া হয়েছিল। তাদের নির্বাচন করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীরা যারা, যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলন, সেই য্দ্ধুাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে যারা কারাগারে বন্দি বা সাজাপ্রাপ্ত এমনকি সাত খুনের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদেরকেও মুক্তি দিয়ে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছিল।”
রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়িতে সেনা মদদে বহিরাগত সেটেলার কর্তৃক জুম্মর ভ‚মি বেদখলের চেষ্টা, সেনা কর্তৃক জুম্মদের নির্যাতন! হিল ভয়েস, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় স্থানীয় সেনাবাহিনীর মদদে একদল বহিরাগত মুসলিম সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্মর ভ‚মি বেদখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম হিমায়ন চাকমা, পীং-মৃত কল্প চাকমা, ঠিকানা- উপজেলা সদর এলাকা। তার জায়গার পরিমান .২০ একর, যা জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত। জায়গাটি হিমায়ন চাকমার পৈতৃক সম্পত্তি বলে জানা গেছে।
স¤প্রতি হিমায়ন চাকমা তার উক্ত স্থানে একটি সাধারণ বাড়ি নির্মাণ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানায়, আজ (১৩ জানুয়ারি ২০২৪) সকাল আনুমানিক ৮ টার দিকে ৫ জন বহিরাগত মুসলিম সেটেলার বাঙালি হিমায়ন চাকমার উক্ত জায়গাটি বেদখলের উদ্দেশ্যে জায়গাটির চারিদিকে খুঁটি পুঁতে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর জায়গার মালিক সহ জুম্ম এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে জুম্মরা পোঁতা খুঁটিগুলো উপড়ে ফেলে দিলে বেদখলের চেষ্টাকারী সেটেলাররা স্থানীয় যক্ষাবাজার সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানায়। বেদখলের চেষ্টাকারী সেটেলাররা হল- (১) মোঃ সিরাজ (৩২), পিতা-অজ্ঞাত, পেশায় দিনমজুর ও খুচরা তৈল ব্যবসায়ী; (২) মোঃ সোহেল (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, পেশায় করাট কল মিস্ত্রি; (৩) মিঠুন (২৭), চায়ের দোকানদার; (৪) মোঃ ফয়সাল (২৯), পিতা-অজ্ঞাত, পেশায় কাপড় দোকানদার ও (৫) নাম জানা যায়নি। এর কিছুক্ষণ পরই নিকটবর্তী যক্ষাবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশাররফ এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। আরও কয়েক মিনিট পর বনযোগীছড়া সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্নেল জুলকিফলী আরমান বিখ্যাত পিএসসি সেখানে এসে উপস্থিত হন বলে জানা যায়।
বাংলাদেশে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান- এ চারটিই প্রধান ধর্ম। আমাদের দেশে মসজিদের পাশে মন্দির, ঈদ ও পূজা উদ্যাপন হয়; একই সঙ্গে আজানের ধ্বনির পাশাপাশি মন্দিরে বাজে বাঁশরির সুর। আধুনিক বাংলাদেশের সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হক বলেছেন, ‘একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি,/ আজো একসাথে থাকবোই/ সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।’ বড় সাধ জাগে একবার ঈদ ও পূজায় মানবতাই হোক প্রকৃত ধর্ম দেখি!”
মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি ও অভিশপ্ত ধর্মান্ধতায় সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতায় লেখা ছিল “আজ ষড়যন্ত্রের যাঁতাকলে নানা সংকটে বৌদ্ধ রাখাইনরা বিলীন হওয়ার শঙ্কায়…. বিলুপ্ত হওয়ার পথে! সমকাল পত্রিকা থেকে (7 JULY 2023)! যুগ যুগ ধরে স্থানীয় রাখাইন আদিবাসীরা এখানে গৌতমবুদ্ধের উপাসনা করে আসছেন। তবে চিটিংবাজ দখলদারদের হ্যাপিনেস সুখের চর্চায় স্থানীয় রাখাইনদের বসতির জায়গা, কৃষিজমি, পুকুর ও শ্মশানের অনেকটাই দখল হয়ে গেছে। এবং লোভের শিকার হয়ে বিহারের অনেক জায়গাই হারিয়ে গেছে। এখনও চলছে দখল প্রক্রিয়া। এ ছাড়া জমি দখলের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কমছে এ স¤প্রদায়ের জনসংখ্যা। এ স¤প্রদায়ের লোকজন আশঙ্কা করছে, এভাবে চললে এ অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে তারা। “মুসলমান না হলে বাংলাদেশে র আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না?
বাংলাদেশে ধর্মান্ধ ধর্মের নামে মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি কেন? একাত্তরের দুঃখের দিনে বাঙালি মুসলমানগণকে বাঁচাতে কোন মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তানের কথা না শোনে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এসেছিল কি? একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে – মুক্তি বাহিনীসহ হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ট্রদ্বয় (ভারত ও ভুটান- 15 DECEMBER 1971) পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম. ধর্মের জন্য? বাংলাদেশে স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারে ইসলাম ধর্ম – ধর্ম – / বৌদ্ধধর্ম . হিন্দুধর্ম খৃষ্ঠানধর্ম কি ধর্ম নয়? এবং মুসলমান না হলে কি ভারতের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? আমরা কি মানুষ না আমাদেরকে ধর্মের নামে অধর্মের ভ‚তে পেয়েছে। বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি বা শত্রু সম্পত্তির অর্থ কি?
রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়িতে ভ‚মি বেদখলের প্রচেষ্টা ও সেনাবাহিনীর জুম্ম মারধরের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে পিসিপি ও এইচডাবিøউএফের বিক্ষোভ, ভ‚মি কমিশন কার্যকরের দাবি! হিল ভয়েস, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রাঙ্গামাটি: আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ বিকাল ২:৩০ টায় রাঙ্গামাটিতে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করার দাবি এবং জুরাছড়িতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্মর ভ‚মি বেদখলের চেষ্টা ও সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিবাদকারীদের মারধরের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডরেশন (এইচডাবিøউএফে) এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়িতে ভ‚মি বেদখলের প্রচেষ্টা ও সেনাবাহিনীর জুম্ম মারধরের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে পিসিপি ও এইচডাবিøউএফের বিক্ষোভ, ভ‚মি কমিশন কার্যকরের দাবি! হিল ভয়েস, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রাঙ্গামাটি: আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ বিকাল ২:৩০টায় রাঙ্গামাটিতে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করার দাবি এবং জুরাছড়িতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্মর ভ‚মি বেদখলের চেষ্টা ও সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিবাদকারীদের মারধরের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডরেশন (এইচডাবিøউএফে) এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এই বাস্তব সমস্যাকে উপলব্ধি করতে হবে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কেন সেনাবাহিনী সেখানে মারধর করবে। তিনি সেনাশাসনের লাগাম ধরতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক অপারেশন উত্তরণ নামক সেনাশাসন প্রত্যাহার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়সহ চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান। সমাবেশে পিসিপির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক টিকেল চাকমার সঞ্চালনায় ও জিকো চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পিসিপি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডাবিøউএফ) ও যুব সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে কয়েকশ বছরের প্রাচীন বৌদ্ধবিহারসহ ১২টি বিহার ও ২৬টি বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার ১২ বছরেও ১৮টি মামলার একটি মামলার ও বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় মানববন্ধনে বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, যারা সা¤প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারা দুর্বৃত্ত। আমরা তাদের শাস্তি চাই। “আজকের বকওয়াস রাজনীতির কারনে মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? ধর্মের নামে অত্যাচার ও হিন্দু বৌদ্ধ জনপদে মৌলবাদী তান্ডব দাহন কেন? ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম! জামাত মৌলবাদীরা মুসলিম হয়ে সে নিজ ধর্ম নিয়ে এতো ধোকা বাজির সত্য কখনো চাপা থাকে না! জনগণের ক্ষমতায়নের গণতন্ত্র বাস্তবে মুসলমান ধর্মান্ধ শাসকশ্রেণির কর্তৃত্ববাদে রূপ নিয়েছে। সমাজতন্ত্রকে মুক্তবাজারি পুঁজিবাদী জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৌদ্ধ পল্লীতে হামলার ১২ বছরে ও সংবিধান প্রজ্বলিত ধ্রæবতারা! ধর্মান্ধগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি এবং নিজ ধর্ম নিয়ে এতো ধোকা বাজিতে ও সংবিধান প্রজ্বলিত ধ্রুবতারা! সংবিধানানুসারে বাংলাদেশ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নহে। বর্তমান বাংলাদেশে জামায়াত ধর্মান্ধগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি স্ট্যাটাস দেওয়ার ইসলামীকরণ ও মৌলবাদী গোষ্ঠীদের জঘন্য চাতুরীর ইতিহাস লিখতে গেলে একটি মহাভারত লিখতে হয়। আমাদের বাংলাদেশ আমাদের ধর্ম! ‘“আমার বাপের ঘরে আগুন দিল কে রে, আমি খুঁজিয়ে বেড়াই তারে!” অহিংসা মানুষের ধর্ম এবং হিংসা ধর্মান্ধগণ ও পশুর ধর্ম। ধর্মান্ধগণ হিন্দু ও বৌদ্ধগণকে নিশ্চিহ্ন করতে ধর্মান্ধগণের ফেসবুকে ভুয়া আইডি! বেঈমান ধর্মান্ধগণ উত্তম বড়ুয়ার ভুয়া আইডি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল, এবং সেই উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ধর্মান্ধগণ হত্যাকরেছে! ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে রামুতে মিটিং-মিছিল হয়েছিল। বাংলাদেশে অতীত ও ঐতিহ্যে হিন্দু বৌদ্ধ অবদান!
আইনের শাসনে বাংলাদেশে কোরআন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই জামাতের হিংসায় উন্মত্ত সা¤প্রদায়িক রাজনীতি! ধর্ম অবমাননার অভিশপ্ত রাজনীতিতে বাংলাদেশে সংবিধান অন্ধকারে প্রজ্বলিত ধ্রুবতারা! বঙ্গবন্ধুর ভাষায়- ‘ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে লেখা’ সংবিধান গণপরিষদে গ্রহণ হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর। প্রতিবছর বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এবার সংবিধানের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে, সুবর্ণজয়ন্তীতেও সংবিধান দিবস পালনে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে এবার সংবিধানের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের চেতনা জাগ্রত রাখতে এবং অনাগত প্রজন্মের কাছে সংবিধান লালন ও বিকাশে দিনটি গুরুত্ব দিয়ে পালন করা উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজন। তাঁরা বলছেন, যে দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সংবিধান পেয়েছে, সেই দলটি টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায়। তবু সংবিধান দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না পাওয়াটা আক্ষেপের।
২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five Pages 16 & 17) বলছে “অমুসলিমরা ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম’ – শেখাচ্ছে বইসরকারি পাঠ্যবইয়ে অমুসলিমদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও বটে।’ আমাদের পাঠ্যপুস্তকের প্রথম পাতায় লেখা ছিল- মুসলমান সর্বস্ব রাজনীতি! মানুষের অনুশীলনের প্রধান বিষয়বস্তু হল মানুষ। কীরকম মানুষ? না, তার প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার কাজে নিবিষ্ট মানুষ। তা সে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাটি কী ব্যাপার? না, বেচা-কেনা ছাড়া কিছু নয়। কীরকম বেচা-কেনা? না, সবচেয়ে কম দামে কিনে, সবচেয়ে বেশি দামে বেচা। এই হল মানুষের প্রাত্যহিক অনুশীলনের বিষয় এবং এরই ওপর নির্ভর করছে কে বড়লোক হবে আর কে হবে গরিব। অর্থাৎ মানবজাতির ভবিষ্যৎ।
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধদেরকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই (A father made her daughter prostitute) আপত্তিকর এবং বিব্রতকরও (Buddhist family life is not good) বটে। (১) Mr. Azizul Hoq Khan (২) Mr. Mahamudul Ala (৩) Mr. Bilas Mallik and (৪) Mr. Ujjal Chakraborty “লেখকগণ “Gender, Society and Development শীর্ষক বইটি লিখেছেন! বাংলাদেশে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।
স্টিফেন হকিং, যিনি নিজের শারীরিক পঙ্গুত্বের মধ্যেও ঈশ্বর ভরসায় বসে না থেকে অদম্য ও নিরলস প্রচেষ্টার দ্বারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে গবেষণা করে জগতকে নতুন দিশা দান করেছেন, সত্যকে উদ্ঘাটন করেছেন, বিজ্ঞানের জগতে মানুষের জ্ঞান ভাণ্ডারকে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছেন, যিনি দৃঢ? কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, ব্রহ্মাণ্ডের রচয়িতা বলে কেহ নাই এবং স্বর্গ-নরক বলতেও আলাদা কোন স্থানের অস্তিত্ব নাই। তাঁর এ গবেষণাকে মিথ্যা প্রমাণ করার মত কোনো ধম্মগুরু বা বিজ্ঞানীদের মধ্যে যদি কেহ থাকেন, তিনি তাঁদের প্রতি সামনে এসে প্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু কেহ সামনে আসার সাহস করেননি। তাঁর গবেষণাকে মিথ্যা প্রমাণের মত কেহ এখনও পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেননি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “জীবন স্মৃতির” ভাষায়: “স্মৃতির পটে জীবনের ছবি কে আঁকিয়া যায় জানি না। কি ন্তু যেই আঁকুক সে ছবিই আঁকে। অর্থাৎ যাহাকিছু ঘটিতেছে, তাহার অবিকল নকল রাখিবার জন্য সে তুলি হাতে বসিয়া নাই। সে আপনার অভিরুচি-অনুসারে কত কী বাদ দেয়, কত কী রাখে। কত বড়োকে ছোটো করে, ছোটোকে বড়ো করিয়া তোলে। সে আগের জিনিসকে পাছে ও পাছের জিনিসকে আগে সাজাইতে কিছুমাত্র দ্বিধা করে না। বস্তুত তাহার কাজই ছবি আঁকা, ইতিহাস লেখা নয়।
এইরূপে জীবনের বাইরের দিকে ঘটনার ধারা চলিয়াছে, আর ভিতরের দিকে সঙ্গে সঙ্গে ছবি আঁকা চলিতেছে। দুয়ের মধ্যে যোগ আছে অথচ দু’ই ঠিক এক নহে। আমাদের ভিতরের এই চিত্রপটের দিকে ভালো করিয়া তাকাইবার আমাদের অবসর থাকে না। ক্ষণে ক্ষণে ইহার এক-একটা অংশের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করি। কিন্তু ইহার অধিকাংশই অন্ধকারে অগোচরে পড়িয়া থাকে। যে-চিত্রকর অনবরত আঁকিতেছে, সে যে কেন আঁকিতেছে, তাহার আঁকা যখন শেষ হইবে তখন এই ছবিগুলি যে কোন্ চিত্রশালায় টাঙাইয়া রাখা হইবে, তাহা কে বলিতে পারে।
কয়েক বৎসর পূর্বে একদিন কেহ আমাকে আমার জীবনের ঘটনা জিজ্ঞাসা করাতে, একবার এই ছবির ঘরে খবর লইতে গিয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম, জীবনবৃত্তান্তের দুই-চারিটা মোটামুটি উপকরণ সংগ্রহ করিয়া ক্ষান্ত হইব। কিন্তু দ্বার খুলিয়া দেখিতে পাইলাম, জীবনের স্মৃতি জীবনের ইতিহাস নহে– তাহা কোন্এক অদৃশ্য চিত্রকরের স্বহস্তের রচনা। তাহাতে নানা জায়গায় যে নানা রঙ পড়িয়াছে, তাহা বাহিরের প্রতিবিম্ব নহে– সে-রঙ তাহার নিজের ভাণ্ডারের, সে-রঙ তাহাকে নিজের রসে গুলিয়া লইতে হইয়াছে– সুতরাং, পটের উপর যে-ছাপ পড়িয়াছে তাহা আদালতে সাক্ষ্য দিবার কাজে লাগিবে না।“
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!