অনলাইন ডেস্ক : কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের পর থেকে বিদেশে টাকা পাচারের হিড়িক পড়েছে। আজ বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ জুন মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন কাজী শহীদ ইসলাম। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘যাদের ধনস্ফীতির কোনো বৈধ উৎস জানা যায় না, তাদেরকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে—প্রকৃত রাজনীতিক ও রাজনীতিকে ধ্বংস করে। এরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর “জনগণই ক্ষমতার উৎসকে” বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় করে পাপলুদের পরিচর্যা করা হয়েছে নিরন্তরভাবে। পাপলুদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না। বিগত ১২ বছরে এ দেশে “ক্যাসিনো ক্যাপিটালিজম”–এর জন্ম দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক চলে বলে অভিযোগ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন ক্ষমতা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, দখল ও নিয়োগ–বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে, কুয়েতে এমপি গ্রেপ্তার তারই একটি নমুনামাত্র।’
রিজভী বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সরকারি প্রেসনোটের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। প্রতিবছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি করা হলে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ত না।
করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত ও গোছানো কোনো কাজ হয়নি জানিয়ে রিজভী বলেন, মানুষ হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা পাচ্ছে না, জনগণ দিশেহারা হয়ে রাস্তাতেই ঘুরতে ঘুরতে প্রাণ হারাচ্ছে। দিনের পর দিন ঘুরেও করোনার পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। করোনায় আক্রান্ত মানুষও চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।