সেরীন ফেরদৌস : সনাক্ত করতে পারি অথবা না-পারি, আমাদের প্রত্যেকের চোখে/মনে অদৃশ্য এক চশমা সেঁটে আছে যার ভেতর দিয়ে দুনিয়াকে দেখি এবং ব্যাখ্যা করি। এই অদৃশ্য চশমাটি তৈরি হয়ে আছে আমাদের বোধ, বুদ্ধিমত্তা, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভৌগোলিক, পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাব, শিক্ষা, জীবনবোধ, চিন্তা প্রভৃতি নানা উপাদান দিয়ে। সংস্কৃতির খামের ভেতরে থাকা এই উপাদানগুলো সর্বদা সক্রিয় থেকে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তৈরি করতে থাকে। ভালো-মন্দ, বিশ্বাস, নীতি-নৈতিকতার মতো র্স্পশকাতর সিদ্ধান্তগুলোও ওইচোখে দুনিয়া দেখে নিয়ে থাকি। ফলে নিজের অবস্থানের ভেতর দিয়ে বাইরের পৃথিবীকে যে গ্রহন-র্বজন বা ব্যাখ্যা করি, তার ভেতরে পক্ষপাতমূলক বা নিজস্ব সিদ্ধান্তমূলক (জাজমেন্টাল) ব্যাপারটি থেকেই যায়! বিপদের দিক হচ্ছে, এই অনিবার্যতায় আমরা এমনই অভ্যস্ত হয়ে পরি, সেটাকে অত্যন্ত সাবলীল বা স্বাভাবিক মনে হতে থাকে। আমাদের নিজেদের সহি, ঠিক-বেঠিক ইত্যাদি অন্যের জন্য সহি বা ঠিক-বেঠিক মনে করতে থাকি। সহজে নিজেদের ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতাটা বুঝতে পারা যায় না। বিজ্ঞজনেরা যখন বলেন, ’নিজেকে জানো’ তার আসল অর্থ হলো- তাঁরা আসলে ওই সেঁটে থাকা অদৃশ্য চশমাটিকেই বারবার উল্টেপাল্টে দেখার কথা বলেন। আবার অনেকগুলো মানুষ মিলেও কোনো একটি ধারণা বা বিশ্বাসকে, অথবা কোনো একটি ভুল ধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে পারি এই ভেবে যে, এটাই একমাত্র সঠিক! সে যাই হোক, ভূমিকা দিতে হচ্ছে এজন্যে যে, গত বছর থেকে উত্তর আমেরিকার সৃষ্টিশীলতার জগতে বেশকিছু ‘স্টেরিওটিপিক্যাল’ বিষয়ের ব্যবহার ও প্রচার নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা- সমালোচনার গন্ডি পেরিয়ে প্রতিবাদের রূপ নিয়েছে শিশুসাহিত্য ও শিশুতোষ নানা অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট নিয়ে।
শিশুদের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হবার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। একটি শিশু কোনো একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতির খামের ভেতর দিয়ে যখন বেড়ে উঠতে থাকে, তার পক্ষে, পরবর্তী জীবনে অত্যন্ত সতর্কতার পরও সেই প্রভাবের পুরোপুরি বাইরে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে। শিশুমানস গঠনে বই, ছবি, অডিও-ভিজ্যুয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! কারণ শিশুরা নিজে পড়া শেখার বহু বহু আগেই তথ্য ধারণ করতে শিখে যায় ছবি দেখে এবং অন্যের উচ্চারণ করা শব্দ বা গল্প থেকে। তাই গত কয়েক দশকের বাস্তবতায় একটি সমাজের শিশুরা বই-টিভি-কম্পিউটার-ভিডিও গেম ইত্যাদির ভেতর দিয়ে কোন বার্তা কতদুর পর্যন্ত পাচ্ছে সেটা আলোচনার শীর্ষে উঠে আসছে। গতবছরের প্রায় পুরোটা সময় সময় ধরেই অত্যন্ত জনপ্রিয় শিশু সাহিত্য সিরিজ বা গল্পের বইয়ে রেসিজম, মিসোজিনির বীজ রয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় অডিও ভিজিওয়্যাল কনন্টেন্টগুলো নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
শিশুদের জন্য ড: সুস এর গল্পের বই নিয়ে হৈচৈ
গত ৫০ বছর ধরে এই লেখকের শিশুতোষ সিরিজ গল্পের বই পড়ে পড়ে উত্তর আমেরিকার এবং সারা পৃথিবীর অন্যান্য শিশুরাও বড় হচ্ছে। ডা: সুসে’র প্রথম ছাপা হওয়া বইগুলো যারা পড়েছিলো, তারাও এখন মাঝবয়সী। লেখক নিজেও মারা গেছেন ১৯৯১ সালে। এ সিরিজের মোট ৪০টি গল্পের বইয়ের নানা নাম থাকলেও লেখকের নামেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বইগুলো শেষ পর্যন্ত। বইগুলোর আলাদা আলাদা গল্পের নাম নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায়নি। এই শিশুতোষ বইগুলো এতই জনপ্রিয় যে শুধুমাত্র আমেরিকায়, ২০২০ সালেই ৩৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বইগুলো। তবে জনপ্রিয় হবার কারনও রয়েছে। জীবন সম্পর্কে নানারকম মূল্যবোধ, সামাজিক আচার-ব্যবহার এবং পরষ্পরের প্রতি সহনশীলতার গল্প রয়েছে সেখানে। রয়েছে পরিবেশরক্ষা এবং অন্য মানুষ-পশু-পাখির প্রতি দয়ালু হবার কথা। তবে স¤প্রতি সেই বইগুলোর ভেতর থেকে ৬টি বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এর ভেতরে বর্ণবাদের বীজ রয়ে গেছে বলে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর থেকেই দফায় দফায় আলোচনা ও বিশেষজ্ঞ মতামত শেষে এবছরের মার্চের দুই তারিখে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান “ড: সুুস এন্টারপ্রাইজ” ভবিষ্যতে ওই ৬টি গল্পের বই আর প্রকাশ অথবা বিক্রি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, “ওই বইগুলোতে মানুষকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়েছে যা কিছু মানুষের মনে কষ্ট দেয় এবং তা ক্ষতিকর!”
প্রকাশকের পক্ষ থেকে এহেন বক্তব্য প্রচারিত হ্ওয়ার পর নানা দেশে বইগুলো নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনার দাবি ওঠে। টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরী এই বইগুলো লাইব্রেরীর সংগ্রহে রাখবে কীনা সেটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টরন্টোর মতো মাল্টিকালচারাল একটি শহরের পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষের এই পর্যযালোচনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ান ডায়াসফোরার বই বিক্রেতারা। তারা সাদা কানাডীয়ানদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলছেন, ড: সুস এর চরিত্রের সাথে সমাজের একটি বড় অংশের চরিত্রের মিল রয়েছে এবং তারা ড: সুস পছন্দ করছে। লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ সেই অংশকে চটাতে চাইছে না বলেই নাকচ হয়ে যাওয়া বইগুলো তাৎক্ষনিকভাবে লাইব্রেরী থেকে না সরিয়ে রিভিউ নাটকের আয়োজন করছে। কিন্তু টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ বলছে আমাদের প্রচলিত রীতিই অনসরণ করবো যা অন্য যে কোনো বইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সময় করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন হলো বইগুলো নিয়ে সমস্যাটা কি ছিলো! একটা বইয়ের (ইফ আই র্যান দ্য জু) ভেতরে আফ্রিকানদেরকে হেয় করে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আফ্রিকানদের কোনো ভালো পোশাক নেই, ঘাসের ল্যাঙ্গট পরে থাকে আর তারা গরিলাদের মতো লাফালাফি করে। সেখানে বইটির ইলেোস্ট্রশনেও আফ্রিকানদের তেমন করেই আঁকা হয়েছে। আরেকটি বইতে (এন্ড টু থিংক দ্যাট আই স ইট অন মলবেরি স্ট্রিট) চীনাদেরকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে তারা কাঠি দিয়ে খায় বলে এবং তাদের চোখ নিয়ে ঈঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আছে। বইয়ের কাহিনীতে একটি সাদা লোক আরেকটি কালো লোককে হেয় করছে আর একটি সাদা বালক ৩ জন এশিয়ানের মাথায় বন্দুক ধরে প্রশ্ন করছে। আপাত দৃষ্টিতে দৃশ্যগুলো নিরীহ মনে হলেও টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সোশ্যাল এ- কালচারাল বিশেষজ্ঞ ল্যান্স ম্যাকক্রিডি সিবিসি-কিডস এর সাথে কথা বলতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মানুষ সম্পর্কে এই ইমেজগুলো ক্ষতিকর এবং আপত্তিকর। কারণ এগুলো রেসিস্ট স্টেরিওটাইপ থেকে নেয়া হয়েছে। স্টেরিওটাইপ এমন একটা ব্যাপার যা কোনো মানুষ, দল বা কোনো জিনিসকে অতিরিক্ত সরল করে অন্য অনেক মানুষ বিশ্বাস করে অথচ যার কোনো প্রকৃত সত্যতা আসলে নেই। কোনো কিছুর গভীরে না গিয়ে হরেদরে সাধারনীকরণের কারণে আসল তথ্যগুলো হারিয়ে যায় এবং ভুল ধারণা তৈরি হয়। তাই ড: সুস তার বইয়ে যে কথাগুলো লিখেছেন সেগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশুরা সেগুলো বিশ্বাস করে ফেলে সহজেই যার প্রভাব তাদের ভেতরে সারাজীবনই থেকে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। অথবা তারা শৈশবেই অন্যদেরকে বিচার করতে থাকে সেই দৃষ্টিভঙ্গীতে। তিনি বলেন, একটি বাচ্চা যখন মাত্র পড়তে শিখছে এবং তার পড়ার বইতে স্টেরিওটিপিক্যাল চরিত্রগুলো পাচ্ছে তখন সে আসল চরিত্রগুলো সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারে না। ওইগুলোই সে বিশ্বাস করে থাকে। অথচ তথ্যগুলো সরবাংশে ভুল।
এ প্রসঙ্গে আফ্রিকান বংশোদ্ভুত কালো ম্যাকক্রিডির নিজের স্মৃতিটুকু উল্লেখ করার মতো। কালোদের সম্পর্কে নানারকম স্টেরিওটাইপ ধারনার শিকার তিনি নিজে। ছোটবেলায় নিজে স্কুলে সাদা বাচ্চাদের নানারকম হয়রানিতে পরেছেন তিনি। একবার একটি সাদা শিশু তাকে বলেছিলো যে, কালোরা স্টুপিড হয়। উত্তরে শিশু ম্যাকক্রিডি বলেছিলো যে, সে মোটেই স্টুপিড নয় এবং তার হেরিটেজ নিয়ে সে গর্বিত। তখন সাদা শিশুটি বলেছে, আফ্রিকানরা সব গরীব, মাটির কুড়েঘরে থাকে এবং তারা বোকা। এখন এই সাদা বাচ্চাটির একটি গোটা মহাদেশের মানুষ সম্পর্কে এই ধারণা কি করে হলো? ম্যাকক্রিডির মতে, ড; সুস এর মতো বই এবং অন্যান্য অডিও-ভিজুয়াল বায়াস মেটিরিয়ালগুলো এই ক্ষতিকর ধারণা ছড়ায়। এক গ্রæপ আরেক গ্রæপকে হেয় ভাবতে শেখে। অথচ আমাদের পৃথিবীটা বিভিন্ন গ্রæপের মানুষের বসবাসের কারনেই সুন্দর, আকর্ষণীয় আর গুরুত্বপূর্ণ। এই বহুবিচিত্রতার সৌন্দর্যটি শিশুটি প্রশংসা করতে পারলো না বা সম্মান করতে শিখলো না। তার মনের ভেতরে ক্লেদ তৈরি হলো আরেকটি জাতির জন্য। এগুলো আক্ষেপের। অতীতের এ ভুলগুলো আমরা এখন সনাক্ত করতে পারছি এটা ভালো, তবে ক্ষতিও হয়ে গেছে অনেক। তবে ম্যাকক্রিডি ড: সুস এর বই পড়া বন্ধের দাবি করেন না। তিনি বলেন, এগুলো পড়া বন্ধ করার দরকার নেই । কিন্তু ক্ষতিকর এ উপাদানগুলো নিয়ে আলোচনা-সনাক্তকরণ চলতে থাকুক।
ম্যাকক্রিডির এ দাবির যৌক্তিক কারণ আছে। চলতি সময়ের শিক্ষা কারিকুলামসহ আরো অনেক সাহিত্য উপাদানেই নানা মাত্রায় মানুষে মানুষে প্রভেদের বীজ আছে- যেমন, সেক্সিস্ট, হোমোফোবিক, রেসিস্ট, এন্টিইমিগ্রেন্টদের নিয়ে আপত্তি তোলার মতো মন্তব্য আছে। আমরা যতোটা ভাবি, তার চাইতেও বেশি পরিমাণে আছে। বেশিরভাগ সময়েই এগুলো উপেক্ষা করে যাওয়া হয়। তিনি মনে করেন সময় এসেছে এ নিয়ে আরো বেশি কথা বলার, আলোচনা করার।
পুরোনো ডিজনি মুভি স্টেরিওটাইপ
ডিজনি প্লাস এর পুরোনো ছবিগুলোর স্টেরিওটাইপ নিয়ে গত বছরের হৈ চৈয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ছবির চরিত্র পরিবর্তনের কাজ চলছে। যেমন একটি কার্টুন ডাম্বো এবং আরেকটি আলাদিন। এগুলোর স্টেরিওটাইপ চরিত্রগুলো বদলের কাজ শুরু হয়েছে। ডিজনির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ওই ধরনের ছবিগুলোতে মানুষ এবং ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো আগেও ভুল এবং ক্ষতিকর ছিলো, এখনও ক্ষতিকর। তারা বলছে অতীতের এ ভুলগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাই এবং নানা সংস্কৃতি ও মানুষকে গ্রহণযোগ্য উপায়ে ভবিষ্যতে উপস্থাপনা করতে চাই। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক আদিবাসী অধ্যাপক ইভ টাক জোর দিয়ে বলেন যে, যে কোনো স্টেরিওটাইপ ধারনার সাথে কখনোই বাস্তবের মিল থাকে না। আর শিশুদের মুভি বা কার্টুনগুলোতে সেই চরিত্রগুলোকে আরো বিকৃত ও বড় করে দেখানো হয়ে থাকে। ফলে এর ক্ষতিকর প্রভাব স্থায়ী হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে শিশুমননে। যে ছবিগুলো ইতিমধ্যে বানানো হয়ে গেছে এবং প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলোতে ডিসকেইমার দেয়া হচ্ছে, “এই অনুষ্ঠানটি যেমন করে অতীতে বানানো হয়েছে তেমন রেখেই প্রচার করা হচ্ছে। এগুলোর ভেতওে কিছু পুরোনো সাংস্কৃতিক ধ্যান-ধারণার চিত্র পাওয়া যেতে পারে।”
স্টেরিওটাইপ মুভি-সাহিত্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ে ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানী তাদের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মুভি “ফ্রোজেন-২” এর নির্মাণে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফ্রোজেন ছবিটি মূলত ‘সামি’ আদিবাসীদের জীবন নিয়ে তৈরি। এই আদিবাসীরা মূলত: নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ইত্যাদি এলাকার উত্তরের বাসিন্দা। যেকোনো সমালোচনা বা সাংস্কৃতিক বিচ্যুতি এড়াতে ডিজনি কোম্পানি ওই নির্দিষ্ট এলাকার সংশ্লিষ্ট লোকজনকে নিয়েই সিরিজ এ মুভিটি বানাচ্ছে। তারা স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সাথে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও করেছে।
পশ্চিমের সাহিত্য এবং সংস্কৃতি জগতে এখন অন্য সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়টি বেশি বেশি মনোযোগ পেতে শুরু করেছে। ফলে দীর্ঘগদিন ধরে তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে বাজারে থাকা বই, সিনেমায় অন্য কোনো সংস্কৃিত বা কোনো দেশ সম্পর্কে আপত্তি করার মতো কোনো উপাদান থেকে থাকলে সেগুলো নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে, সেগুলো সংশোধনের উপায় খোঁজা হচ্ছে। পশ্চিমা সভ্যতায় যেনো নতুন এক হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এগুলো উপেক্ষা করে যাওয়া হয়। তিনি মনে করেন, সময় এসেছে এ নিয়ে আরো বেশি কথা বলার, আলোচনা করার।