বিনোদন ডেস্ক : গত ১ আগস্ট রাতে নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন তার সরকারি ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই দিনের ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় সামনে আসার পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাকলায়েনকে।
আজ মঙ্গলবার পরী-সাকলায়েনের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সাকলাইনের জন্মদিনে ধারণ করা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি ও সাকলায়েন একসঙ্গে কেক কেটেছেন এবং পরীমণি তার মুখে কেক তুল দিয়েছেন। কেক কাটার পর পরীমণি তাকে চুম্বনও করেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইউটিউব ও ফেসবুকে ভিডিওটি ছাড়া হয়। ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা সাকলাইনের গোপন ভিডিও! সাকলায়েন পরীমনির সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও তাদের গোপন একটি ভিডিওটি আমাদের কাছে পাঠান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা।’
বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছের পরীমণির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা বারবার অস্বীকার করা সাকলায়েনের কাছে ভিডিওর বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এর আগে সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে তার বাসায় পরীমণির ১৮ ঘণ্টা অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম-পশ্চিম) বদলি করা হয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিমকে (ট্রেনিং) প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুজনের একজন হলেন ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) হামিদা পারভিন এবং অন্যজন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) রুমানা আক্তার। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সাভারের বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদের একটি মামলার তদন্তের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, ১ আগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পরীমণির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের রাজারবাগের অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের ৯/সি নম্বর সরকারি ফ্ল্যাটের বাসায় আসে। প্রথমে সেই গাড়ি থেকে লাল রংয়ের টি-শার্ট পরে বের হন সাকলায়েন। সাদা রংয়ের একটি স্লিপিং গাউন পরে নামেন পরীমণি। রাত সোয়া দুইটায় ওই ভবন থেকে বের হন তিনি। তবে রাতে বের হওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক, আর সাকলায়েনের গায়ে সাদা টি-শার্ট।
সম্প্রতি ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদেও পরীমণি সাকলায়েনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে পরীমণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুও এ সম্পর্কে বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন।
ডিবির এক সূত্রে জানা যায়, সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মামলার তদন্তের সময় পরীমণির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু সাকলায়েন বিবাহিত, বিষয়টি জানার পর পরীমণি ও তার মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে দীপুর উদ্যোগে পরীমণির সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। ঈদুল আজহার সময় পরীমণির বাসায় তিন দিন ছিলেন সাকলায়েন। তখন বাসায় তারা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।