বিনোদন ডেস্ক : বরিশাল থেকে ফেরার পথে রাস্তায় ফলের দোকান থেকে ফল খেয়ে সন্তান ও বাসার কয়েকজনসহ অসুস্থ হয়ে পড়েন পরীমণি। তারপর থেকে ছেলে পদ্ম ও তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অসুস্থ অন্যরা খানিক সুস্থ হলেও পদ্মর শরীর ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল। আজ বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্তানকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে বিমানে চেপে বসেছেন পরীমণি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘ওরা (পরীমণি, গাড়িচালকসহ তার বাসার কয়েকজন) তো সবাই মিলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এখন অনেকটা ওভারকাম করেছে। কিন্তু ওর (পরীমণি) ছেলে এখনও অসুস্থ। ওর (পদ্ম) সবকিছুই খারাপ। শরীরে দুটি কঠিন ভাইরাস ধরা পড়েছে। সেকারণে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সরাসরি ভারত নেওয়া হচ্ছে। পরীও অসুস্থ। কিন্তু কিছু করার নেই। কেননা ছেলে অসুস্থ। পরীমণি তাই অসুস্থ শরীর নিয়েই ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে।’

পদ্মকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরীমণির ভারতযাত্রার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমেও জানিয়েছেন চয়নিকা। সেখানে লেখেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য সরাসরি কলকাতার পথে পরীমণি। পদ্ম খুব খুব অসুস্থ। তার দুইটা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীও পুরোপুরি সুস্থ না। কিন্ত কিছুই করার নেই।

এরপর পদ্মর জন্য দোয়া চেয়ে চয়নিকা চৌধুরী লেখেন, ‘আপনারা সবাই পদ্মর জন্য পরীর জন্য দোয়া করবেন। যেন আমাদের আদরের বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষ্ট পাচ্ছিল।’

পরীর এই দুর্দিনে ভিসাজনিত জটিলতায় সঙ্গী হতে পারেননি চয়নিকা। বিষয়টি পোড়াচ্ছে তাকে। তিনি পরীর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ান ভিসা থাকলে সত্যি তোমার আর পুন্য/পদ্ম (দুই নামেই ডাকা হয় পরীমণির ছেলেকে) এর পথের সাথী হতাম, আমাকে বলতে হতো না। তুমি তা জানো। আমি জানি, আমি সঙ্গে গেলে তোমার অনেক রিলিফ লাগত। তোমাকেও এইভাবে ছেড়ে দিতে আমার ভালো লাগেনি। অনেক কান্না পাচ্ছে তোমাদের এয়ারপোর্টে বিদায় দেওয়ার সময়।’

এরপর পরীকে যোদ্ধা সম্বোধন করে লিখেছেন, ‘পরী,আমি জানি তুমি ফাইটার। তুমি অনেক বুদ্ধিমতী,তুমি অনেক ধৈর্যশীলা মানুষ। তুমি একাই সব পারবে। আমি শিওর। তুমি জয়ী হয়েই আসবে। তোমার ছেলে বড় হয়ে তোমার এই জীবনের গল্প মনে রাখবে আর প্রাউড ফিল করবে। মা এত্ত ভালোবাসা আর আশীর্বাদ তোমার আর পদ্মর জন্যে। সাবধানে থেকো। তোমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তোমার সাথে সবসময় আছে,থাকবে।’

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বরিশালে নানার বাড়ি গিয়েছিলেন পরীমণি। সেখান থেকে ফেরার সময় বাইরের খাবার খাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সবাই মিলে। বিষয়টি নেট দুনিয়ায় জানিয়ে সেসময় পরীমণি লিখেছিলেন, ‘বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচজন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য এখনও হসপিটালাইজড!’

পরী আরও লিখেছিলেন, ‘নানু বাড়ি থেকে ভীষণ রকম গুড এনার্জি নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করবো ভাবছিলাম। গতকাল আমার ওয়েব ফিল্ম কাগজের বৌ এর প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিলো এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হচ্ছিল খুব।’

এ সময় বাইরের খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। লিখেছিলেন, ‘শীতকালে সবাই খাবার দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে নিরাপদ থাকা মুশকিল।’